নাহিদ রানা শেষ কিছু দিনে আছেন বেশ ছন্দে। জাতীয় দলের হয়ে পারফর্ম করছেন, অভিষেক বছরেই পেয়ে গেছেন প্রতিপক্ষের সমীহ। সে ছন্দটা বিপিএলেও টেনে আনলেন তিনি।
ঘণ্টায় ১৪০ কিমি গতি তোলা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে তার। এমন গতিময় বোলারদের চোট বেশ ভোগায়। ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার নাহিদ অবশ্য সেসব নিয়ে ভাবছেন না, জানালেন সেসব শঙ্কা সামনে নিয়েই এগোতে হবে।
সবশেষ ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২১ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। সে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও বনে গেছেন তিনি। ম্যাচ শেষ করে ২২ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় বললেন, ‘মানুষ যুদ্ধে নামলে গুলি খায়, ক্রিকেট খেলতে নামলে চোটে পড়তে হয়। মেইনটেইনের কথা যা ফিটনেস সব নিজে করতেসে। বিসিবি যে শিডিউল দিসে সব মেনে চলার চেষ্টা করছি।’
চোট সামলাতে ফিটনেস নিয়ে কাজ করা জরুরি। বিসিবি আর রংপুর রাইডার্সের ফিজিওদের তত্ত্বাবধানে সেটা করছেনও নাহিদ। তিনি বলেন, ‘বায়েজিদ ভাই ফিজিও আছে। উনার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। রংপুর দলে সজীব ভাই আছে। সবার সাথেই কথা হয়।
‘দেখুন, আমি শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেললাম ওয়েস্ট ইন্ডিজে। মাঝে গ্যাপ ছিল। তখন প্ল্যান দিয়েছিল, ফিটনেস এবং ম্যাচের। এভাবে ফিটনেস করবা, ম্যাচ খেলবা। বিসিবিও বলসে আমার বডি ঠিকাছে, আমিও ভেবেছি ঠিকাছে।’
এবারের বিপিএলে নাহিদ রানা মাঠে যেমন পারফর্ম করছেন, মাঠের বাইরে প্রতিপক্ষের প্রশংসাও আদায় করেছেন বেশ করে। অ্যালেক্স হেলস, শাহিন আফ্রিদি, শন টেইটরা তার তারিফ করেছেন বারবার।
তবে নাহিদ সেসব গায়ে মাখছেন না। বললেন, ‘জিনিসগুলো থেকে আমি দূরে থাকার চেষ্টা করি। তবে মানুষ মানুষের প্রশংসা করবেই। মানুষের শুনতে ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি এগুলো থেকে দূরে থাকার। এগুলো কম আসলে নিজের ভেতর ক্ষুধাটা বেশি থাকবে।’
অভিষেকের প্রথম বছরে তারকাখ্যাতি পেয়ে বসে অনেকেই হারিয়ে গেছেন। তবে নাহিদ সে দলে পা বাড়াচ্ছেন না আদৌ। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে কখনও তারকা মনে করতেছি না। আমি আপনাদের মত নরমাল মানুষ। নরমাল থাকার চেষ্টা করতেছি।’
সংবাদ শিরোনাম ::
‘মানুষ যুদ্ধে নামলেই গুলি খায়’, চোট নিয়ে রানার দর্শন
- আমাদের মার্তৃভূমি ডেস্ক :
- আপডেট সময় ০১:০৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
- ৫০৫ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ