ঢাকা ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও নিজেকে ক্ষমতাবিমুখ এক নির্মোহ ব্যক্তিত্বে পরিনত করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। প্রায়াত কোকোকে নিয়ে একান্ত স্বাক্ষাৎকারে বিএনপি নেতা মাওলানা শামীম আহমেদ অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র ‍বিতরণ শিক্ষক নিয়োগে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের পর চাঞ্চল্য তৈরি হলেও অধরা খায়রুল ইসলাম (২য় পর্ব) গায়েবী ছাত্রীকে জায়েজে প্রধান শিক্ষক মনোজের অভিনব কূটকৌশল রাজধানী হাজারীবাগে নকশা ছাড়া সাততলা বাড়ি, জানেনা রাজউক নকশা বহির্ভূত বাড়ি নির্মাণ: রাজউকের নোটিশের জবাব দিতে গড়িমসি ভবন মালিকের নির্মম নির্যাতনের বিচার পাবেন কী ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা? ঢাবি এলাকায় লম্পট বাবার যৌন নির্যাতনে মেয়ের মৃত্যু! নেত্রকোনায় আলোর ফেরিওয়ালা সেজে দুর্নীতির গডফাদার : অধ্যক্ষ ফারুকের বিচার ও অপসারণ দাবি

আওয়ামী লীগ সরকার একটা অর্থও অপচয় করে না : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সরকার একটা অর্থও অপচয় করে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি অর্থ ব্যয় করা হয় মানুষের স্বার্থে, কল্যাণে, ভালো-মন্দের জন্য। রিজার্ভ থেকে কেউ পয়সা তুলে নিয়ে চলে যায়নি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) মনে সব সময় ওই রকম ভয় থাকে। তাদের নেতা তারেক জিয়া মানি লন্ডারিং কেসে সাত বছরের কারাদণ্ড পেয়েছে। ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড পেয়েছে এবং সে পলাতক আসামি। মানি লন্ডারিং যাদের অভ্যাস, তারা ওইটাই জানে যে টাকা বুঝি সব নিয়েই যেতে হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়-’ বিরোধী দল থেকে প্রায় প্রশ্ন করে, এর সাথে সারা বাংলাদেশে একটা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করে। তাদের আমি বলতে চাই, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন রিজার্ভ ছিল মাত্র ২.৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এটা বৃদ্ধি পেয়েছিল মাত্র ৫ বিলিয়নের মতো। এ জায়গা থেকে আমরা ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে সক্ষম হই। করোনা ভাইরাসের কারণে যোগাযোগ, যাতায়াত, আমদানি সব কিছু প্রায় বন্ধ ছিল। যখন যোগাযোগটা খুলে গেছে তখন আমাদের আমদানি করা, বিশেষ করে করোনা ভাইরাস ও ইউক্রেন-রাশিয়ার কারণে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। যে মন্দা দেখা দিয়েছে, তার আঘাতটা তো আমাদের দেশে এসে পড়েছে। আজকে রিজার্ভের টাকা থেকে আমদানি ব্যয় মেটাতে হচ্ছে, পাশাপাশি আমরা বিনাপয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। করোনা পরীক্ষাও বিনা পয়সায় করেছি। পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশও বিনা পয়সায় টেস্টিংও করেনি, ভ্যাকসিনও দেয়নি। আমরা নগদ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনি, এরপরে কিছু অনুদান পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম সারা বিশ্বে বেড়ে গেছে, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে, ভোজ্যতেল, গম, ভুট্টা, ডাল, যা কিছু আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে দাম বেড়েছে। চাল আমরা উৎপাদন করছি, খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ, তারপরে আমাদের কিছু আমদানি করতে হয়। বন্যায় যখন ফসল নষ্ট হলো তখন চাল আমদানি করতে হয়েছে। আমরা যতটুকু খরচ করেছি, তা জনগণের কল্যাণে, জনগণের স্বার্থে করা হয়েছে। জনগণের খাদ্য কেনা, ক্যানসারের ওষুধ কেনা, জনগণের মঙ্গলের জন্য আমাদের করতে হয়েছে। সার, জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ আমাদের ক্রয় করতে হচ্ছে। আমাদের রিজার্ভের টাকা দিয়ে আমরা বিমান ক্রয় করেছি। নদী ড্রেসিং আমাদের নিজেদের রিজার্ভের টাকা দিয়ে করেছি। কিছু কিছু বিনিয়োগ করেছি এই কারণে, আমরা যদি অন্য দেশের ব্যাংক থেকে লোন নেই, আমাকে সুদসহ সেই ডলার পরিশোধ করতে হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, শ্রীলংকা যখন অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে তাদেরও কিছু টাকা আমরা ধার দিয়েছি। এখান থেকে কেউ পয়সা তুলে নিয়ে চলে যায়নি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও নিজেকে ক্ষমতাবিমুখ এক নির্মোহ ব্যক্তিত্বে পরিনত করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। প্রায়াত কোকোকে নিয়ে একান্ত স্বাক্ষাৎকারে বিএনপি নেতা মাওলানা শামীম আহমেদ

আওয়ামী লীগ সরকার একটা অর্থও অপচয় করে না : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ১২:৫০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

আওয়ামী লীগ সরকার একটা অর্থও অপচয় করে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি অর্থ ব্যয় করা হয় মানুষের স্বার্থে, কল্যাণে, ভালো-মন্দের জন্য। রিজার্ভ থেকে কেউ পয়সা তুলে নিয়ে চলে যায়নি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) মনে সব সময় ওই রকম ভয় থাকে। তাদের নেতা তারেক জিয়া মানি লন্ডারিং কেসে সাত বছরের কারাদণ্ড পেয়েছে। ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড পেয়েছে এবং সে পলাতক আসামি। মানি লন্ডারিং যাদের অভ্যাস, তারা ওইটাই জানে যে টাকা বুঝি সব নিয়েই যেতে হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়-’ বিরোধী দল থেকে প্রায় প্রশ্ন করে, এর সাথে সারা বাংলাদেশে একটা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করে। তাদের আমি বলতে চাই, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন রিজার্ভ ছিল মাত্র ২.৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এটা বৃদ্ধি পেয়েছিল মাত্র ৫ বিলিয়নের মতো। এ জায়গা থেকে আমরা ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে সক্ষম হই। করোনা ভাইরাসের কারণে যোগাযোগ, যাতায়াত, আমদানি সব কিছু প্রায় বন্ধ ছিল। যখন যোগাযোগটা খুলে গেছে তখন আমাদের আমদানি করা, বিশেষ করে করোনা ভাইরাস ও ইউক্রেন-রাশিয়ার কারণে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। যে মন্দা দেখা দিয়েছে, তার আঘাতটা তো আমাদের দেশে এসে পড়েছে। আজকে রিজার্ভের টাকা থেকে আমদানি ব্যয় মেটাতে হচ্ছে, পাশাপাশি আমরা বিনাপয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। করোনা পরীক্ষাও বিনা পয়সায় করেছি। পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশও বিনা পয়সায় টেস্টিংও করেনি, ভ্যাকসিনও দেয়নি। আমরা নগদ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনি, এরপরে কিছু অনুদান পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম সারা বিশ্বে বেড়ে গেছে, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে, ভোজ্যতেল, গম, ভুট্টা, ডাল, যা কিছু আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে দাম বেড়েছে। চাল আমরা উৎপাদন করছি, খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ, তারপরে আমাদের কিছু আমদানি করতে হয়। বন্যায় যখন ফসল নষ্ট হলো তখন চাল আমদানি করতে হয়েছে। আমরা যতটুকু খরচ করেছি, তা জনগণের কল্যাণে, জনগণের স্বার্থে করা হয়েছে। জনগণের খাদ্য কেনা, ক্যানসারের ওষুধ কেনা, জনগণের মঙ্গলের জন্য আমাদের করতে হয়েছে। সার, জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ আমাদের ক্রয় করতে হচ্ছে। আমাদের রিজার্ভের টাকা দিয়ে আমরা বিমান ক্রয় করেছি। নদী ড্রেসিং আমাদের নিজেদের রিজার্ভের টাকা দিয়ে করেছি। কিছু কিছু বিনিয়োগ করেছি এই কারণে, আমরা যদি অন্য দেশের ব্যাংক থেকে লোন নেই, আমাকে সুদসহ সেই ডলার পরিশোধ করতে হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, শ্রীলংকা যখন অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে তাদেরও কিছু টাকা আমরা ধার দিয়েছি। এখান থেকে কেউ পয়সা তুলে নিয়ে চলে যায়নি।