কেন্দ্রের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার স্ত্রী রিনিকি ভূঁইয়া শর্মা। এমনই অভিযোগ কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর।
তার দাবি, কেন্দ্রের কাছ থেকে “ক্রেডিট লিংকড” সরকারি সাহায্য বা ভর্তূকি নিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী রিনিকি। এই অভিযোগ ঘিরেই এখন সরগরম আসামের রাজনীতি।
সোশ্যাল মিডিয়াতে গৌরব গগৈ দাবি করেন, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল নিজেই সংসদে এই ভর্তূকি দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। কেন্দ্রের কাছ থেকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য ১০ কোটি সাহায্য পেয়েছেন রিনিকি ভূঁইয়া শর্মা।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা দাবি করেন, কেন্দ্রের কাছে তাঁর স্ত্রী সংস্থা কোনও আর্থিক সাহায্য পায়নি। বিজেপির রাজনীতিবিদদের পরিবারের নিজের কোম্পানি চালানোর অধিকার আছে। যদি তাঁরা সরকারি ভর্তুকি পাওয়ার যোগ্য হন, তাহলে তাঁরা সেটা পেতেও পারেন।
কিন্তু এই ক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রী লোন ও সাবসিডি পাননি। কংগ্রেসের সাংসদের টুইট শেয়ার করেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন। তিনি বলেন, ” যদি কেউ ওই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমি যেকোনও শাস্তিগ্রহণ করতে রাজি।
এমনকি আমি রাজনীতি থেকেও অবসর নেব” সেই সঙ্গেই এই অভিযোগ করার জন্য গৌরব গগৈর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুশিয়ারি ও দেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতে রিনিকি ও জানান, ২০০৬ থেকেই তাঁর সংস্থা কাজ করছে। কেন্দ্রের কাছে থেকে পিএম কিষান সম্পদ স্কিমে ভর্তুকি পাওয়ার সব যোগ্যতা তাদের ছিল।
কিন্তু তাঁরা কোনও টাকা পাননি। যদিও এতে দমে যাননি গৌরব গগৈ। তারপরেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রীকে বিনামুল্যে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। গৌরবের পরামর্শ তাঁদের মানহানি মামলায় যেন পীযুষ গোয়েল এবং বিজেপি সাংসদ পল্লব দাসকে ও যুক্ত করা হয়।
এদিকে বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী যে কেন্দ্রের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়েছেন, তার প্রমাণ তাদের কাছে আছে।
এদিকে, বিধায়ক অখিল গগৈ দাবি করেন, জমির সিলিং অ্যাক্ট লংঘন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী। যেখানে কারোর নামে ৫০ বিঘার বেশি জমি থাকতে পারে না, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর নামে তার থেকে বেশি জমি আছে।