ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাবি ও সাত কলেজের সংঘর্ষের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বললেন আসিফ নজরুল ময়নামতিতে জমি দখলের চেষ্টা ও ভূমি মালিকের উপর হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন আওয়ামী লীগ কখনো স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ছিল না: যুবদল সাধারণ সম্পাদক নয়ন শিবচরে সাংবাদিকের বসত বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর শীতকালীন জাতীয় ত্রুীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয় কুমিল্লার তিন উপজেলায় একদিনে ৩ জনের লাশ উদ্ধার বোরহানউদ্দিনে মাটি কেটে ইট ভাটায় পরিবহনের দায়ে জরিমানা মিঠাপুকুরে এমপিএইচডিও সংস্থার উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ বোরহানউদ্দিনে ১২৯ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ বিয়াম ল্যাবরেটারী স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেখানো আমাদের কর্তব্য : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছে। এখানে দল মত নির্বিশেষে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই সম্মানের ব্যবস্থা আমরা করেছি। ১৯৭১ সালে যারা জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করেছে, বিজয় এনেছে, তাদেরকে সম্মান দেখানো আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ‘বীর নিবাস’ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেলে তারা যেন সম্মান পায় সেই ব্যবস্থা করেছি। জাতির পিতা যেমন তাদের সন্তানদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, নির্যাতিত মা-বোনদের জন্য একটা কোটা সিস্টেমের ব্যবস্থা করেছিলেন, আমরা সরকারে আসার পর শুধু মুক্তিযোদ্ধা না, তাদের সন্তান ও বংশ পরম্পরায় যারা আসবে তারাও যেন প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রায় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

সরকারপ্রধান আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছি। ন্যূনতম ভাতা এখন ২০ হাজার টাকা করেছি। তাছাড়া অনেকের ঘর নেই, বাড়ি নেই, মানবেতর জীবন-যাপন করছে; এটা আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার। একজন মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষা করবে বা রিকশা চালাবে অত্যন্ত আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা যখন ক্ষমতায় তখন এটা হতে পারে না। সেজন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘর-বাড়ি তৈরি করেছি, জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা এবং তাদের জন্য বৈশাখী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

পাঁচ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বীর নিবাস হস্তান্তর করা হয়। এ বছর ৩০ হাজার বীর নিবাস তৈরি করে দেওয়া হবে জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের যুদ্ধ এটা জনযুদ্ধ ছিল। এখানে সশস্ত্র বাহিনী, আনসার ও পুলিশ বাহিনী ছাড়াও সাধারণ জনগণ শত্রুর মোকাবিলায় মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। যার যা আছে তা নিয়েই শত্রু মোকাবিলা করেছে। এ ধরনের জনযুদ্ধ খুব কমই দেখা যায়। যেটা জাতির পিতার নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ করেছে।

তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে যে বিজয় করেছি, সেই কথাটা যেন মানুষ ভুলে গিয়েছিল। তার কারণ হচ্ছে যে, ’৭৫ জাতির পিতাকে হত্যার পর ইনডেমনিটি জারি করে হত্যাকারীদের বিচার থেকে রেহাই দিয়ে, তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে, ব্যবসা-বাণিজ্য দিয়ে পুরস্কৃত করেন। অপর দিকে যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল, হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে যারা ছিল তাদেরকে ক্ষমতায় বসান। তারাই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, উপদেষ্টা, তারাই ক্ষমতায় বসেন। স্বাভাবিকভাবে মুক্তিযোদ্ধারা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এমন কী চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধার পরিবার হলে তাদেরকে দেওয়া হতো না। এই ধরনের দুর্ভাগ্য মতো পরিবেশ ২১ বছর পর্যন্ত চলে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতা যাওয়ার জন্য এই ১৫ ফেব্রুয়ারি একটা ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছিল। যে নির্বাচনে ২ শতাংশ ভোটও পড়েনি। সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে খালেদা জিয়া নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা এসেছে এই ঘোষণা দেয়। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার নিয়ে অনেক সচেতন। তাদের ভোট চুরি হয়েছিল বলে সেখানে আন্দোলন হয়, সেই আন্দোলনের ফলে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ১ ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করার একটা দিন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবি ও সাত কলেজের সংঘর্ষের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বললেন আসিফ নজরুল

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেখানো আমাদের কর্তব্য : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০১:১৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছে। এখানে দল মত নির্বিশেষে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই সম্মানের ব্যবস্থা আমরা করেছি। ১৯৭১ সালে যারা জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করেছে, বিজয় এনেছে, তাদেরকে সম্মান দেখানো আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ‘বীর নিবাস’ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেলে তারা যেন সম্মান পায় সেই ব্যবস্থা করেছি। জাতির পিতা যেমন তাদের সন্তানদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, নির্যাতিত মা-বোনদের জন্য একটা কোটা সিস্টেমের ব্যবস্থা করেছিলেন, আমরা সরকারে আসার পর শুধু মুক্তিযোদ্ধা না, তাদের সন্তান ও বংশ পরম্পরায় যারা আসবে তারাও যেন প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রায় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

সরকারপ্রধান আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছি। ন্যূনতম ভাতা এখন ২০ হাজার টাকা করেছি। তাছাড়া অনেকের ঘর নেই, বাড়ি নেই, মানবেতর জীবন-যাপন করছে; এটা আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার। একজন মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষা করবে বা রিকশা চালাবে অত্যন্ত আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা যখন ক্ষমতায় তখন এটা হতে পারে না। সেজন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘর-বাড়ি তৈরি করেছি, জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা এবং তাদের জন্য বৈশাখী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

পাঁচ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বীর নিবাস হস্তান্তর করা হয়। এ বছর ৩০ হাজার বীর নিবাস তৈরি করে দেওয়া হবে জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের যুদ্ধ এটা জনযুদ্ধ ছিল। এখানে সশস্ত্র বাহিনী, আনসার ও পুলিশ বাহিনী ছাড়াও সাধারণ জনগণ শত্রুর মোকাবিলায় মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। যার যা আছে তা নিয়েই শত্রু মোকাবিলা করেছে। এ ধরনের জনযুদ্ধ খুব কমই দেখা যায়। যেটা জাতির পিতার নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ করেছে।

তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে যে বিজয় করেছি, সেই কথাটা যেন মানুষ ভুলে গিয়েছিল। তার কারণ হচ্ছে যে, ’৭৫ জাতির পিতাকে হত্যার পর ইনডেমনিটি জারি করে হত্যাকারীদের বিচার থেকে রেহাই দিয়ে, তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে, ব্যবসা-বাণিজ্য দিয়ে পুরস্কৃত করেন। অপর দিকে যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল, হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে যারা ছিল তাদেরকে ক্ষমতায় বসান। তারাই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, উপদেষ্টা, তারাই ক্ষমতায় বসেন। স্বাভাবিকভাবে মুক্তিযোদ্ধারা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এমন কী চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধার পরিবার হলে তাদেরকে দেওয়া হতো না। এই ধরনের দুর্ভাগ্য মতো পরিবেশ ২১ বছর পর্যন্ত চলে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতা যাওয়ার জন্য এই ১৫ ফেব্রুয়ারি একটা ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছিল। যে নির্বাচনে ২ শতাংশ ভোটও পড়েনি। সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে খালেদা জিয়া নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা এসেছে এই ঘোষণা দেয়। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার নিয়ে অনেক সচেতন। তাদের ভোট চুরি হয়েছিল বলে সেখানে আন্দোলন হয়, সেই আন্দোলনের ফলে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ১ ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করার একটা দিন।