ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদেরসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা। পটুয়াখালীতে অগ্নিকাণ্ডে ৬ টি দোকান পুড়ে ভস্মিভূত, ক্ষতি অর্ধ কোটি টাকা এসআই কামাল প্রত্যাহার হলেও এএসআই তানভীর বহাল তবিয়তে গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে চলছে বুঙ্গার ব্যবসা বৈষম্য বিরোধীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা গাজীপুরে দিন দিন কমছে বনভূমি-জলাশয়,বাড়ছে দখলকারী কবিরহাটের অবৈধ ইটভাটা ভেঙ্গে দিয়েছে প্রশাসন জাফলংয়ে জুম পাড় কেটে পাথর উত্তোলন, হুমকিতে বল্লাঘাট মন্দির ও ফসলি জমি মিঠাপুকুরে ওয়ার্ল্ডভিশণ কতৃক শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ দিশেহারা ইটভাটার মালিকেরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি ক্রেতা শূন্য ইটভাটা নাগেশ্বরীর কচাকাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্বসাধারণের জন্য এম্বুলেন্স প্রধান

ময়নামতিতে জমি দখলের চেষ্টা ও ভূমি মালিকের উপর হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

কুমিল্লা কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুর গ্রামে আদালতের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা ও ভূমি মালিক খন্দকার মোতাব্বির আহমেদ জনিকে হত্যার চেষ্টা করে উল্টো তার বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির অভিযোগ আনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগির পরিবার। সোমবার (২৭ জানুয়ারি)রাতে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী জনির মাতা ফারজানা আহমেদ।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফারজানা ট্রান্সপোর্ট অফিস কর্মকর্তা ইউনুছ, জনির খালা ডালিয়া, ভুমি ক্রেতা আলী করিম ও হাবিবুর রহমানসহ আরো অনেকে। জনির মাতা ফারজানা আহমেদ জানান, আমার ছেলের প্রতিষ্ঠানে ঢুকে আমার ছেলে ও ম্যানেজার রানাকে মারধর করে হত্যার চেষ্টা করে ভুমি দস্যু আবুল কালাম, প্রবাসী সুলতান বাহিনী। পরে উল্টো চাদাঁবাজি ও হামলার অভিযোগ এনে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করানো হয়েছে। যা খুবই দু:খজনক ও নিন্দনীয়। বিগত ১৫ বছরে আমার ছেলের প্রতিষ্ঠান ৩ বার ভাংচুর করা হয়েছে।আমার ছেলের বিরুদ্ধে যদি এক ফুট জায়গা দখলের কোন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে আইনানুযায়ী যে কোন বিচার মেনে নিবো। আমাদের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমার ছেলের বিরুদ্ধে যে চাদাঁবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। ফারজানা আহমেদ আরো জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় বুড়িচং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বুড়িচং থানায় অভিযোগ করে ফেরার পথে বাদির উপর পুনরায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ট্রান্সপোর্ট মালিক স্থানীয় বাসিন্দা মৃত নাজির উদ্দিন আহমেদ ও ফারজানা আহমদের পরিবারের সাথে স্থানীয় হাবিবুর রহমান সর্দারের জায়গা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আদালতে মামলা চলে আসছে। বর্তমানে এই জায়গাটিতে তাদের সন্তান খন্দকার মুতাব্বির আহমেদ জনি ফারজানা ট্রান্সপোর্ট এর অফিস ও ইন্টারনেট অফিস চালাচ্ছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুর এলাকায় ফারজানা ট্রান্সপোর্ট ও ডেফোডিল আইটি ইন্টারনেট অফিসে আদালতে চলমান মামলা উপেক্ষা করে পেশিশক্তির জোরে হামলা চালায় ও জমি দখল করতে আসে হাবিবুর রহমান উরফে হাবু সরদার ও তার সন্ত্রাসীরা। ওই মুহর্তে অফিসে উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সপোর্টের স্বত্যাধীকারি খন্দকার মুতাব্বির আহমেদ জনি।হত্যার উদ্দেশ্যে জনির উপর হামলা করলে ম্যানেজারের চিৎকারে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে জনিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। তবে সন্ত্রাসীরা ম্যানেজার নুরুল ইসলাম রানা ও অফিসে উপস্থিত কয়েকজনকে মারধর করে ও ট্রান্সপোর্ট ও অনলাইন অফিস ভাংচুর করে।এবিষয়ে ম্যানেজার বাদি হয়ে রামপাল এলাকার আবুল কালাম সর্দার ,সুলতান আহমেদ সরদার, মোঃ আতিক, মোঃ কাশেম, মোঃ জুয়েল, মোঃ ফারুকসহ আরও অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ বুড়িচং থানায় জমা দেন। বুড়িচং থানায় অভিযোগ দিয়ে ফেরার পথে খাড়াতাইয়া এলাকায় আসলে কয়েকটি মটর সাইকেল সিএনজি আটকিয়ে তাকে মারধর করে । এতে তার পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হামলায় আরও উপস্থিত ছিলো ইমরুল, মোস্তফা, বিল্লাল, কালা মিয়া সহ বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। খন্দকার মুতাব্বির আহমেদ জনির পরিবার আরো জানায়, তার উপর হামলাকারীরা পূর্ব পরিকল্পনা করে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে। কারন ঘটনার পর দিনই আসামীদের ৪ জন দেশত্যাগ করে। তারা বিমানের টিকেট নিশ্চিত করে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু এলাকার সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসায় তার প্রাণ রক্ষা পায়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদেরসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা।

ময়নামতিতে জমি দখলের চেষ্টা ও ভূমি মালিকের উপর হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৯:০২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

কুমিল্লা কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুর গ্রামে আদালতের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা ও ভূমি মালিক খন্দকার মোতাব্বির আহমেদ জনিকে হত্যার চেষ্টা করে উল্টো তার বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির অভিযোগ আনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগির পরিবার। সোমবার (২৭ জানুয়ারি)রাতে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী জনির মাতা ফারজানা আহমেদ।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফারজানা ট্রান্সপোর্ট অফিস কর্মকর্তা ইউনুছ, জনির খালা ডালিয়া, ভুমি ক্রেতা আলী করিম ও হাবিবুর রহমানসহ আরো অনেকে। জনির মাতা ফারজানা আহমেদ জানান, আমার ছেলের প্রতিষ্ঠানে ঢুকে আমার ছেলে ও ম্যানেজার রানাকে মারধর করে হত্যার চেষ্টা করে ভুমি দস্যু আবুল কালাম, প্রবাসী সুলতান বাহিনী। পরে উল্টো চাদাঁবাজি ও হামলার অভিযোগ এনে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করানো হয়েছে। যা খুবই দু:খজনক ও নিন্দনীয়। বিগত ১৫ বছরে আমার ছেলের প্রতিষ্ঠান ৩ বার ভাংচুর করা হয়েছে।আমার ছেলের বিরুদ্ধে যদি এক ফুট জায়গা দখলের কোন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে আইনানুযায়ী যে কোন বিচার মেনে নিবো। আমাদের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমার ছেলের বিরুদ্ধে যে চাদাঁবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। ফারজানা আহমেদ আরো জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় বুড়িচং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বুড়িচং থানায় অভিযোগ করে ফেরার পথে বাদির উপর পুনরায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ট্রান্সপোর্ট মালিক স্থানীয় বাসিন্দা মৃত নাজির উদ্দিন আহমেদ ও ফারজানা আহমদের পরিবারের সাথে স্থানীয় হাবিবুর রহমান সর্দারের জায়গা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আদালতে মামলা চলে আসছে। বর্তমানে এই জায়গাটিতে তাদের সন্তান খন্দকার মুতাব্বির আহমেদ জনি ফারজানা ট্রান্সপোর্ট এর অফিস ও ইন্টারনেট অফিস চালাচ্ছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুর এলাকায় ফারজানা ট্রান্সপোর্ট ও ডেফোডিল আইটি ইন্টারনেট অফিসে আদালতে চলমান মামলা উপেক্ষা করে পেশিশক্তির জোরে হামলা চালায় ও জমি দখল করতে আসে হাবিবুর রহমান উরফে হাবু সরদার ও তার সন্ত্রাসীরা। ওই মুহর্তে অফিসে উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সপোর্টের স্বত্যাধীকারি খন্দকার মুতাব্বির আহমেদ জনি।হত্যার উদ্দেশ্যে জনির উপর হামলা করলে ম্যানেজারের চিৎকারে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে জনিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। তবে সন্ত্রাসীরা ম্যানেজার নুরুল ইসলাম রানা ও অফিসে উপস্থিত কয়েকজনকে মারধর করে ও ট্রান্সপোর্ট ও অনলাইন অফিস ভাংচুর করে।এবিষয়ে ম্যানেজার বাদি হয়ে রামপাল এলাকার আবুল কালাম সর্দার ,সুলতান আহমেদ সরদার, মোঃ আতিক, মোঃ কাশেম, মোঃ জুয়েল, মোঃ ফারুকসহ আরও অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ বুড়িচং থানায় জমা দেন। বুড়িচং থানায় অভিযোগ দিয়ে ফেরার পথে খাড়াতাইয়া এলাকায় আসলে কয়েকটি মটর সাইকেল সিএনজি আটকিয়ে তাকে মারধর করে । এতে তার পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হামলায় আরও উপস্থিত ছিলো ইমরুল, মোস্তফা, বিল্লাল, কালা মিয়া সহ বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। খন্দকার মুতাব্বির আহমেদ জনির পরিবার আরো জানায়, তার উপর হামলাকারীরা পূর্ব পরিকল্পনা করে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে। কারন ঘটনার পর দিনই আসামীদের ৪ জন দেশত্যাগ করে। তারা বিমানের টিকেট নিশ্চিত করে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু এলাকার সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসায় তার প্রাণ রক্ষা পায়।