ঢাকা ১১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসআই কামাল প্রত্যাহার হলেও এএসআই তানভীর বহাল তবিয়তে গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে চলছে বুঙ্গার ব্যবসা

  • সিলেট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৮:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫২১ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে ভারতীয় অবৈধ বুঙ্গার ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার সীমান্ত এলাকাগুলোতে চলছে ভারতীয় চোরাচালানের রাজত্ব।
জানা গেছে, স্থানীয় থানা পুলিশের এএসআই তানভীরের সাথে হাত মিলিয়ে চোরাকারবারি গোলাম হোসেন বাহিনীর সদস্যরা বিছনাকান্দি- হাদারপাড় বাজার এলাকা থেকে ভারতীয় প্রতি গরু-মহিষ থেকে দুই হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। উভয়ে মিলে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা অবৈধ বাণিজ্য মেতেছে। এই বাহিনির দৌরাত্বে অতিষ্ঠ সীমান্ত এলাকার শান্তিকামী মানুষ।

অন্যদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দির আলোচিত চোরাকারবারি গোলাম হোসেন ওরফে বুঙ্গাড়ি গোলাম হোসেন বহাল তবিয়তে রয়েছে। তিনি বর্তমানে বিছনাকান্দি হাদার পাড় এলাকায় অবৈধ টাকা আদায়ের লাইনের দায়িত্বে পালন করছে। বিছনাকান্দি ও রুস্তম পুর/সহকারি বিট অফিসার এএসআই তানভীরের সাথে রয়েছে চোরাকারবারী গোলাম হোসেনের গভীর সখ্যতা। যার ফলে সে চাঁদাবাজির মহারাজা হয়ে উঠেছে গোলাম হোসেন। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আওয়ামী যুবলীগ নেতা আলোচিত চোরাকারবারি গোলাম হোসেন মাদক চোরাচালানসহ অস্ত্র ব্যবসার সাথে সাথে জড়িত রয়েছে। তার পরিচালনায় ভারতে পাচার হচ্ছে দেশীয় রসুন, স্বর্ণ, হুন্ডির টাকাসহ বিভিন্ন পন্য সামগ্রী ।ফেরত আসছে ভারত থেকে গরু, মহিষ, শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, মদ,ইয়াবা, ফেনসিডিলও বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোন। আর এসব কাজে গোলাম হোসেনের সহযোগী এএসআই তানভীর।
চিহ্নিত চোরাকারবারী গোলাম হোসেন ভারতীয় চোরাচালান চক্রের কাছ থেকে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের নামে প্রতিদিন রাতে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। কোন চোরাকারবারী চাঁদা দিলেই পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে আদায় করছে টাকা। ভারত থেকে ভারতীয় গরু, ও মহিষ, প্রতি ২০০০ টাকা চাঁদা আদায় করে গোলাম হোসেন বাহিনীর সদস্যরা।
সূত্র জানায়, কিছুদিন পূর্বে এসআই কামাল ও এএসআই তানভীরের বিরুদ্ধে পাথর হরিলুট ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সামনে আসলে এসআই কামালকে প্রত্যাহার হয়। কিন্তু, একই অভিযোগে অভিযুক্ত এএসআই তানভীর রয়ে যায় বহাল তবিয়তে। প্রশ্ন উঠেছে – প্রত্যাহার না হওয়ায তানভীরের খুঁটির জোর কোথায়?
এ বিষয়ে গোলাম হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি চোরাচালানের সাথে জড়িত বলে বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ৫ তারিখের আগে আরও জমজমাট ব্যবসা ছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকার কারণে একটু খারাপ সময় যাচ্ছে। আমি একজন বুঙ্গার ব্যবসায়ী এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে জানতে গোয়াইনঘাট থানার ওসি জানান, সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এসআই কামাল প্রত্যাহার হলেও এএসআই তানভীর বহাল তবিয়তে গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে চলছে বুঙ্গার ব্যবসা

আপডেট সময় ০৮:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে ভারতীয় অবৈধ বুঙ্গার ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার সীমান্ত এলাকাগুলোতে চলছে ভারতীয় চোরাচালানের রাজত্ব।
জানা গেছে, স্থানীয় থানা পুলিশের এএসআই তানভীরের সাথে হাত মিলিয়ে চোরাকারবারি গোলাম হোসেন বাহিনীর সদস্যরা বিছনাকান্দি- হাদারপাড় বাজার এলাকা থেকে ভারতীয় প্রতি গরু-মহিষ থেকে দুই হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। উভয়ে মিলে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা অবৈধ বাণিজ্য মেতেছে। এই বাহিনির দৌরাত্বে অতিষ্ঠ সীমান্ত এলাকার শান্তিকামী মানুষ।

অন্যদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দির আলোচিত চোরাকারবারি গোলাম হোসেন ওরফে বুঙ্গাড়ি গোলাম হোসেন বহাল তবিয়তে রয়েছে। তিনি বর্তমানে বিছনাকান্দি হাদার পাড় এলাকায় অবৈধ টাকা আদায়ের লাইনের দায়িত্বে পালন করছে। বিছনাকান্দি ও রুস্তম পুর/সহকারি বিট অফিসার এএসআই তানভীরের সাথে রয়েছে চোরাকারবারী গোলাম হোসেনের গভীর সখ্যতা। যার ফলে সে চাঁদাবাজির মহারাজা হয়ে উঠেছে গোলাম হোসেন। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আওয়ামী যুবলীগ নেতা আলোচিত চোরাকারবারি গোলাম হোসেন মাদক চোরাচালানসহ অস্ত্র ব্যবসার সাথে সাথে জড়িত রয়েছে। তার পরিচালনায় ভারতে পাচার হচ্ছে দেশীয় রসুন, স্বর্ণ, হুন্ডির টাকাসহ বিভিন্ন পন্য সামগ্রী ।ফেরত আসছে ভারত থেকে গরু, মহিষ, শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, মদ,ইয়াবা, ফেনসিডিলও বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোন। আর এসব কাজে গোলাম হোসেনের সহযোগী এএসআই তানভীর।
চিহ্নিত চোরাকারবারী গোলাম হোসেন ভারতীয় চোরাচালান চক্রের কাছ থেকে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের নামে প্রতিদিন রাতে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। কোন চোরাকারবারী চাঁদা দিলেই পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে আদায় করছে টাকা। ভারত থেকে ভারতীয় গরু, ও মহিষ, প্রতি ২০০০ টাকা চাঁদা আদায় করে গোলাম হোসেন বাহিনীর সদস্যরা।
সূত্র জানায়, কিছুদিন পূর্বে এসআই কামাল ও এএসআই তানভীরের বিরুদ্ধে পাথর হরিলুট ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সামনে আসলে এসআই কামালকে প্রত্যাহার হয়। কিন্তু, একই অভিযোগে অভিযুক্ত এএসআই তানভীর রয়ে যায় বহাল তবিয়তে। প্রশ্ন উঠেছে – প্রত্যাহার না হওয়ায তানভীরের খুঁটির জোর কোথায়?
এ বিষয়ে গোলাম হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি চোরাচালানের সাথে জড়িত বলে বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ৫ তারিখের আগে আরও জমজমাট ব্যবসা ছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকার কারণে একটু খারাপ সময় যাচ্ছে। আমি একজন বুঙ্গার ব্যবসায়ী এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে জানতে গোয়াইনঘাট থানার ওসি জানান, সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে পুলিশ তৎপর রয়েছে।