ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে সদরে অভিযানে ৩ একর বনভূমি উদ্ধার গাজীপুর টঙ্গীতে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক গুরুতর আহত হাজী শরীয়তউল্ল্যাহ কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২৫ ভোলা-শিবপুরে নদী ভাঙ্গন রোধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন প্রগতি লাইভ ইন্সুরেন্স লিমিটেড মরহুম আবু জাফর( স্বর্ণকার) মৃত্যুদাবীর চেক প্রদান কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালিত কুমিল্লায় তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে কাবাডি, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ও দাবা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত বোরহানউদ্দিনে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রদের এলাহি কান্ড রয়্যাল এনফিল্ড কিনে না দেয়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ কিশোরের! পটুয়াখালীতে ১০টি মাঠে ড. আজহারীর মাহফিল জনসমুদ্রে পরিনত

দেশ গড়ার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : যবিপ্রবি উপাচার্য

  • হানিফ
  • আপডেট সময় ০৯:১৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫০৮ বার পড়া হয়েছে

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহীদের রক্ত এখনো শুকিয়ে যায়নি। আমরা একটি সুন্দর দেশ গড়ার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করে যাব। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে তাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমরা দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে এই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে যবিপ্রবির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বর্ণিল পথ আলপনা, কেক কাটা, পিঠা উৎসব, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, বেলুন ওড়ানো, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)।

সকাল ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান ফটক থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রা শেষে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।

উদ্বোধন শেষে যবিপ্রবি উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও আগত অন্যান্য অতিথিরা বিভিন্ন বিভাগের পোস্টার প্রেজেন্টেশন, পিঠা উৎসবের স্টল ও পথ আল্পনাসমূহ পরিদর্শন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭টি বিভাগ, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বিল্পব-২৪, উদ্যোক্তা স্টলসহ পিঠার বাহারি নামকরণ করে। স্টলগুলোতে নানা ধরন, বাহারি আকৃতি ও ঋতু বৈচিত্র্য অনুযায়ী সুস্বাদু পিঠার পসরা দেখে সবাই চমৎকৃত হন।

দুপুর ১টায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মাঠে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, যবিপ্রবি প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও দেশ ও বিদেশের মধ্যে আলোকবর্তিকা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সম্মিলিত চেষ্টায় জ্ঞান ও বিজ্ঞানে যবিপ্রবি বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। গবেষণায় নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বকে নতুন অনেক কিছু দিবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাই।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে নবনিযুক্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হোসাইন আল মামুন বলেন, অতি সম্প্রতি শীর্ষে আরোহণ করা বিশ্ববিদ্যালয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কর্ম, প্রতিটি অবদান বিশ্বের ওপর প্রভাব পড়বে, সেই অগ্রযাত্রায় যবিপ্রবি শামিল হয়েছে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় আরোও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মীর মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির ডিনস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সম্মানিত রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক নার্গিস বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানরা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক এএইচএম শাহারিয়ার। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অতিথি শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গাজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি অনুষদের অধীনে ২৭টি বিভাগ রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে প্রায় ৪ হাজার ৬২২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকসহ মোট ৩৪৯ জন শিক্ষক, বিভিন্ন গ্রেডের ১৬৩ জন কর্মকর্তা এবং ৩৪৬ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে সদরে অভিযানে ৩ একর বনভূমি উদ্ধার

দেশ গড়ার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : যবিপ্রবি উপাচার্য

আপডেট সময় ০৯:১৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহীদের রক্ত এখনো শুকিয়ে যায়নি। আমরা একটি সুন্দর দেশ গড়ার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করে যাব। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে তাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমরা দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে এই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে যবিপ্রবির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বর্ণিল পথ আলপনা, কেক কাটা, পিঠা উৎসব, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, বেলুন ওড়ানো, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)।

সকাল ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান ফটক থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রা শেষে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।

উদ্বোধন শেষে যবিপ্রবি উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও আগত অন্যান্য অতিথিরা বিভিন্ন বিভাগের পোস্টার প্রেজেন্টেশন, পিঠা উৎসবের স্টল ও পথ আল্পনাসমূহ পরিদর্শন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭টি বিভাগ, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বিল্পব-২৪, উদ্যোক্তা স্টলসহ পিঠার বাহারি নামকরণ করে। স্টলগুলোতে নানা ধরন, বাহারি আকৃতি ও ঋতু বৈচিত্র্য অনুযায়ী সুস্বাদু পিঠার পসরা দেখে সবাই চমৎকৃত হন।

দুপুর ১টায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মাঠে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, যবিপ্রবি প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও দেশ ও বিদেশের মধ্যে আলোকবর্তিকা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সম্মিলিত চেষ্টায় জ্ঞান ও বিজ্ঞানে যবিপ্রবি বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। গবেষণায় নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বকে নতুন অনেক কিছু দিবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাই।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে নবনিযুক্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হোসাইন আল মামুন বলেন, অতি সম্প্রতি শীর্ষে আরোহণ করা বিশ্ববিদ্যালয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কর্ম, প্রতিটি অবদান বিশ্বের ওপর প্রভাব পড়বে, সেই অগ্রযাত্রায় যবিপ্রবি শামিল হয়েছে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় আরোও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মীর মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির ডিনস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সম্মানিত রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক নার্গিস বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানরা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক এএইচএম শাহারিয়ার। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অতিথি শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গাজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি অনুষদের অধীনে ২৭টি বিভাগ রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে প্রায় ৪ হাজার ৬২২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকসহ মোট ৩৪৯ জন শিক্ষক, বিভিন্ন গ্রেডের ১৬৩ জন কর্মকর্তা এবং ৩৪৬ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন।