ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও নিজেকে ক্ষমতাবিমুখ এক নির্মোহ ব্যক্তিত্বে পরিনত করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। প্রায়াত কোকোকে নিয়ে একান্ত স্বাক্ষাৎকারে বিএনপি নেতা মাওলানা শামীম আহমেদ অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র ‍বিতরণ শিক্ষক নিয়োগে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের পর চাঞ্চল্য তৈরি হলেও অধরা খায়রুল ইসলাম (২য় পর্ব) গায়েবী ছাত্রীকে জায়েজে প্রধান শিক্ষক মনোজের অভিনব কূটকৌশল রাজধানী হাজারীবাগে নকশা ছাড়া সাততলা বাড়ি, জানেনা রাজউক নকশা বহির্ভূত বাড়ি নির্মাণ: রাজউকের নোটিশের জবাব দিতে গড়িমসি ভবন মালিকের নির্মম নির্যাতনের বিচার পাবেন কী ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা? ঢাবি এলাকায় লম্পট বাবার যৌন নির্যাতনে মেয়ের মৃত্যু! নেত্রকোনায় আলোর ফেরিওয়ালা সেজে দুর্নীতির গডফাদার : অধ্যক্ষ ফারুকের বিচার ও অপসারণ দাবি

কিছু না করেও তিতাস কর্মকর্তার স্ত্রী দেড় কোটি টাকার মালিক

শরীফা আক্তার পেশায় গৃহিণী। নথিতে তার পেশা ব্যবসায়ী উল্লেখ করলেও নেই কোনও ট্রেড লাইসেন্স বা অন্য কোনো দালিলিক প্রমাণ। এমনকি অনুসন্ধানকালে পাওয়া যায়নি আয়ের কোনও তথ্য। তারপরও প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদের মালিক তিনি।

তবে শরীফা আক্তার বাস্তব জীবনে কোনও কাজ না করলেও তার স্বামী প্রকৌশলী মো. সিদ্দিকুর রহমান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বড় কর্মকর্তা। বর্তমানে তিতাসের সিস্টেম অপারেশনের উপমহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। তার অবৈধ রোজগারকে বৈধ করতে গিয়ে মামলার ফাঁদে পড়ে গেলেন শরীফা।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে স্বামীর বিরুদ্ধেও ১ কোটি ২২ লাখ ২৩ হাজার ১৮০ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্বামী-স্ত্রী মিলিয়ে পৌনে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।

প্রথম মামলায় শুধু স্বামী সিদ্দিকুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় মামলায় স্বামীর অবৈধ আয়কে বৈধ করতে সহযোগিতা করার অপরাধে স্ত্রী শরীফা আক্তারকে এক নম্বর ও সিদ্দিকুরকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২২ লাখ ২৩ হাজার ১৮০ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে তাকে আসামি করে প্রথম মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অন্যদিকে তিতাস গ্যাস টি অ্যান্ড ডি কোম্পানি লিমিটেডে কর্মরত থেকে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বৈধ করার উদ্দেশে নিজের স্ত্রীর নামে সম্পদ গড়েছেন। স্ত্রীকে মোট এক কোটি ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ১৯৫ টাকার সম্পদ অর্জনে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে দ্বিতীয় মামলায়। মামলা দুটিতে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও নিজেকে ক্ষমতাবিমুখ এক নির্মোহ ব্যক্তিত্বে পরিনত করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। প্রায়াত কোকোকে নিয়ে একান্ত স্বাক্ষাৎকারে বিএনপি নেতা মাওলানা শামীম আহমেদ

কিছু না করেও তিতাস কর্মকর্তার স্ত্রী দেড় কোটি টাকার মালিক

আপডেট সময় ০১:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শরীফা আক্তার পেশায় গৃহিণী। নথিতে তার পেশা ব্যবসায়ী উল্লেখ করলেও নেই কোনও ট্রেড লাইসেন্স বা অন্য কোনো দালিলিক প্রমাণ। এমনকি অনুসন্ধানকালে পাওয়া যায়নি আয়ের কোনও তথ্য। তারপরও প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদের মালিক তিনি।

তবে শরীফা আক্তার বাস্তব জীবনে কোনও কাজ না করলেও তার স্বামী প্রকৌশলী মো. সিদ্দিকুর রহমান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বড় কর্মকর্তা। বর্তমানে তিতাসের সিস্টেম অপারেশনের উপমহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। তার অবৈধ রোজগারকে বৈধ করতে গিয়ে মামলার ফাঁদে পড়ে গেলেন শরীফা।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে স্বামীর বিরুদ্ধেও ১ কোটি ২২ লাখ ২৩ হাজার ১৮০ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্বামী-স্ত্রী মিলিয়ে পৌনে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।

প্রথম মামলায় শুধু স্বামী সিদ্দিকুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় মামলায় স্বামীর অবৈধ আয়কে বৈধ করতে সহযোগিতা করার অপরাধে স্ত্রী শরীফা আক্তারকে এক নম্বর ও সিদ্দিকুরকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২২ লাখ ২৩ হাজার ১৮০ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে তাকে আসামি করে প্রথম মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অন্যদিকে তিতাস গ্যাস টি অ্যান্ড ডি কোম্পানি লিমিটেডে কর্মরত থেকে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বৈধ করার উদ্দেশে নিজের স্ত্রীর নামে সম্পদ গড়েছেন। স্ত্রীকে মোট এক কোটি ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ১৯৫ টাকার সম্পদ অর্জনে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে দ্বিতীয় মামলায়। মামলা দুটিতে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।