যতদিন সংকট থাকবে ততদিন স্বল্প আয়ের মানুষদের ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে পণ্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সংকট যতদিন আছে, ততদিন আমরা টিসিবির মাধ্যমে পণ্য দিয়ে যাব। তবে আমরা এ কার্যক্রম বেশিদিন চালাতে চাই না। আমরা চাই এই অবস্থার উন্নয়ন ঘটুক। যেসময় থেকে উন্নয়ন ঘটবে আমরা আর এই কার্যক্রম চালাব না। তবে মানুষের যতদিন কষ্ট হচ্ছে বলে মনে হবে ততদিন আমরা এটা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। আমরা টিসিবির পণ্য বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি, তবে দাম কমলে পণ্যের পরিমাণ আরও সমন্বয় করা হবে।
আরেক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, গত এক বছরে আমরা টিসিবির মাধ্যমে ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার পণ্য দিয়েছি। টিপু মুনশি বলেন, আজকে ১০ জানুয়ারি। আজকে থেকে ৫২ বছর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি কারাগার থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন। স্বাধীনতার সেই থেকে আজ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে। আজকে আমরা যেই প্রক্রিয়ায় পণ্য দেওয়া হচ্ছে এর শুর বঙ্গবন্ধুই করেছিলেন। ১৯৭২ সাল থেকেই টিসিবির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু গরিবদের মাঝে স্বল্প মূল্যে পণ্য দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। আমরা সবাই জানি ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ে দেশের পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি পাবে। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কোভিড ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় আমরা বেশ ভালো আছি। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমরাই সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছি।
বর্তমানে পাঁচ কোটি মানুষ টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষকে ভালো রাখতে সংকটের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক সংকটের সময় কম দামে গরিব মানুষদের টিসিবির পণ্য দিতে প্রধানমন্ত্রীই নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীই আমাকে নির্দেশ দিলেন এক কোটি পরিবারকে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য দিতে হবে। দেশের স্বীকৃত গরিবের সংখ্যা সাড়ে তিন কোটি। তার মানে টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে পণ্য দেওয়ায় প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ এ পণ্য পাচ্ছে। সুতরাং স্বীকৃত গরিবদের ছাড়াও প্রায় দেড় কোটি মানুষ টিসিবির পণ্য পাচ্ছে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ফোরকানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।