ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বোরহানউদ্দিন সাংস্কৃতিক সংসদ কমিটি গঠন রসিক মেয়র কে দুদকের চিঠি সরিষার ক্ষেতের সৌন্দর্যের আড়ালে ভয়ংকর রাসেল ভাইপার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টা। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা ,পুণরায় ফলপ্রকাশের দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর উৎদোগে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা-২০২৫ সম্পূর্ণ। ফরিদগঞ্জে সিএনজি ছিনতাই অপরাধে আটক একজন। যে কোটার জন্য আমার ভাই মরলো, যে কোটার জন্য সরকার পতন হলো, সে কোটা আনল কারা? বকশীগঞ্জের নিলক্ষিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির ৫ সদস্যকে বহিস্কারের দাবি বিএনপি মুনাফেক স্বাধীনতা বিরোধী দল নয় ধর্মনিরপেক্ষ দল – হাফিজ ইব্রাহিম

বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম,দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধের দাবিতে দুর্গাপুরে মানববন্ধন।

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে চলমান অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গাপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে ২০জানুয়ারি রোজ সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম,দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধের দাবি জানানো হয়৷

এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মো: ফজলুল হক,সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মো: রফিকুল ইসলাম বাদশা,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মির্জা নজরুল,শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ,ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব বোরহান উদ্দিন,ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মো: জালাল উদ্দিন এবং শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবুল।

মানববন্ধন শেষে ইউএনওর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়,দুর্গাপুর উপজেলার ২নং দুর্গাপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় ব্রীজ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে,তাছাড়া ফারংপাড়া বটতলা সোমেশ্বরী নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো কাজের প্রাক্কলন অনুযায়ী গুণগত মান ধরে রাখছে না। অত্যন্ত নিম্নমানের সিমেন্ট এবং ঢালাইয়ের জন্য প্রাক্কলন অনুযায়ী ২.৫ বালুর পরিবর্তে অত্যন্ত নিম্ন মানের বালু দিয়ে ব্রীজের পাইলিংয়ে ঢালাই দেয়া হচ্ছে। ৪২০ গ্রেড রডের পরিবর্তে একেবারে নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্রীজের পাইলিংয়ের গভীরতা ৪৫ ফুট এর পরিবর্তে-২০/২৫ ফুট পাইলিং করে নামকাওয়াস্তে কাজ সেরে যাচ্ছে। যার ফলে ব্রীজের কাজগুলোর গুণগত মান অক্ষুন্ন থাকছে না। এই নিম্নমানের ব্রীজগুলো অচীরেই সামান্য পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ধ্বসে পড়ার সম্ভবনা আছে। এতে করে জন দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি হবে, পাশাপাশি সরকারি অর্থের মারাত্মক অপচয় হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিন সাংস্কৃতিক সংসদ কমিটি গঠন

বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম,দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধের দাবিতে দুর্গাপুরে মানববন্ধন।

আপডেট সময় ০৪:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে চলমান অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গাপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে ২০জানুয়ারি রোজ সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম,দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধের দাবি জানানো হয়৷

এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মো: ফজলুল হক,সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মো: রফিকুল ইসলাম বাদশা,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মির্জা নজরুল,শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ,ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব বোরহান উদ্দিন,ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মো: জালাল উদ্দিন এবং শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবুল।

মানববন্ধন শেষে ইউএনওর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়,দুর্গাপুর উপজেলার ২নং দুর্গাপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় ব্রীজ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে,তাছাড়া ফারংপাড়া বটতলা সোমেশ্বরী নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো কাজের প্রাক্কলন অনুযায়ী গুণগত মান ধরে রাখছে না। অত্যন্ত নিম্নমানের সিমেন্ট এবং ঢালাইয়ের জন্য প্রাক্কলন অনুযায়ী ২.৫ বালুর পরিবর্তে অত্যন্ত নিম্ন মানের বালু দিয়ে ব্রীজের পাইলিংয়ে ঢালাই দেয়া হচ্ছে। ৪২০ গ্রেড রডের পরিবর্তে একেবারে নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্রীজের পাইলিংয়ের গভীরতা ৪৫ ফুট এর পরিবর্তে-২০/২৫ ফুট পাইলিং করে নামকাওয়াস্তে কাজ সেরে যাচ্ছে। যার ফলে ব্রীজের কাজগুলোর গুণগত মান অক্ষুন্ন থাকছে না। এই নিম্নমানের ব্রীজগুলো অচীরেই সামান্য পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ধ্বসে পড়ার সম্ভবনা আছে। এতে করে জন দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি হবে, পাশাপাশি সরকারি অর্থের মারাত্মক অপচয় হবে।