ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বকশীগঞ্জের নিলক্ষিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির ৫ সদস্যকে বহিস্কারের দাবি বিএনপি মুনাফেক স্বাধীনতা বিরোধী দল নয় ধর্মনিরপেক্ষ দল – হাফিজ ইব্রাহিম বকশীগঞ্জে ব্রিজ নির্মাণের ঢালাই কাজ উদ্বোধন মিঠাপুকুরের দুর্গাপুর ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা ও উদযাপন অনুষ্ঠান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম,দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধের দাবিতে দুর্গাপুরে মানববন্ধন। রামগঞ্জে নিখোঁজের চার দিন পর খাল থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার কমলনগরে ৪নং চর মার্টিন কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ  বাগমারায় জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী কেন্দুয়া সান্দিকোণা ইউনিয়নের হলি চাইল্ড কিন্টার গার্ডেন এন্ড হাইস্কুলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত দেশ গঠনে জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না

একটা টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করিনি : তাকসিম এ খানচ

এ পর্যন্ত একটা টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করেননি দাবি করে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, ‘আমার যা উপর্জন তা সবার কাছে স্পট। আয়কর নথিতে আমার সব উপার্জনের তথ্য স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে। এর বাইরে একটা টাকাও আমি অসৎভাবে আয় করেনি।’

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আমার যে বেতন তা সবার কাছেই ওপেন একটি বিষয়। তাই এখান লুকোচুরির কিছু নেই। এই বেতন ছাড়া আমার আয়ের আর কোনও পথ নেই। আমি যা আয় করি তা সম্পন্ন সৎভাবে উপার্জন করি যার একটি টাকাও আমার অবৈধ নয়। এই আয় দিয়ে আমার যেভাবে চলা যায় সেভাবেই আমি চলি। আমার স্ত্রী সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ওয়েল স্টাবলিস্ট তাই তাদের টাকা পাঠানোর আমার কোন দরকার হয় না।’

তাকসিম এ খান বলেন, ‘আমি দুর্নীতি করেছি এমন অনেক রিপোর্ট এর আগে প্রকাশ হয়েছে; কিন্তু আমি তো কোনও দুর্নীতি করিনি। তাই সেই সব অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যে রিপোর্ট করা হলো সেটাও ভিত্তিহীন। যুক্তরাজ্যে আমার কোনও বাড়ি নেই। সেখানে ১৪টি বাড়ির ডাহা মিথ্যা একটি প্রতিবেদন ছাপানো হলো। সেখানে আমার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান তারা দুজনেই ওয়েল জব করে। তারা সেখানে চমৎকারভাবে প্রতিষ্ঠিত। তাই তাদের কাছে টাকা পাঠানোর কোনও দরকার নেই। আমার টাকারও তাদের কোনও প্রয়োজন নেই। বরং আমার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তারাই আমাকে মাঝে মধ্যে টাকা পাঠায়।’

ঢাকায় কোনও সম্পত্তি, জমি, বাড়ি কেনার কখনই কোনও দরকার হয়নি জানিয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ির দিক থেকে অনেক সম্পত্তি, জমি পেয়েছেন। সে কারণে আমার ঢাকায় কোনও কিছু কেনার কখনও দরকার হয়নি। এছাড়া আমার স্ত্রী-সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ভালো চাকরি করায় তাদের সেখানেও ভালো অবস্থান আছে। এদিকে আমি যা বেতন পায় সব মিলিয়ে আমাদের ভালোভাবে আল্লাহর রহমতে চলে যাচ্ছে। তাই দুর্নীতি, অসৎ উপায়ে উপার্জনের কোনও দরকার হয় না আমার।’

এদিকে ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করা দুটি অভিযোগের অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলেছেন আদালত। সোমবার (৯ জানুয়ারি) একটি জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বকশীগঞ্জের নিলক্ষিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির ৫ সদস্যকে বহিস্কারের দাবি

একটা টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করিনি : তাকসিম এ খানচ

আপডেট সময় ০১:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

এ পর্যন্ত একটা টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করেননি দাবি করে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, ‘আমার যা উপর্জন তা সবার কাছে স্পট। আয়কর নথিতে আমার সব উপার্জনের তথ্য স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে। এর বাইরে একটা টাকাও আমি অসৎভাবে আয় করেনি।’

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আমার যে বেতন তা সবার কাছেই ওপেন একটি বিষয়। তাই এখান লুকোচুরির কিছু নেই। এই বেতন ছাড়া আমার আয়ের আর কোনও পথ নেই। আমি যা আয় করি তা সম্পন্ন সৎভাবে উপার্জন করি যার একটি টাকাও আমার অবৈধ নয়। এই আয় দিয়ে আমার যেভাবে চলা যায় সেভাবেই আমি চলি। আমার স্ত্রী সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ওয়েল স্টাবলিস্ট তাই তাদের টাকা পাঠানোর আমার কোন দরকার হয় না।’

তাকসিম এ খান বলেন, ‘আমি দুর্নীতি করেছি এমন অনেক রিপোর্ট এর আগে প্রকাশ হয়েছে; কিন্তু আমি তো কোনও দুর্নীতি করিনি। তাই সেই সব অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যে রিপোর্ট করা হলো সেটাও ভিত্তিহীন। যুক্তরাজ্যে আমার কোনও বাড়ি নেই। সেখানে ১৪টি বাড়ির ডাহা মিথ্যা একটি প্রতিবেদন ছাপানো হলো। সেখানে আমার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান তারা দুজনেই ওয়েল জব করে। তারা সেখানে চমৎকারভাবে প্রতিষ্ঠিত। তাই তাদের কাছে টাকা পাঠানোর কোনও দরকার নেই। আমার টাকারও তাদের কোনও প্রয়োজন নেই। বরং আমার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তারাই আমাকে মাঝে মধ্যে টাকা পাঠায়।’

ঢাকায় কোনও সম্পত্তি, জমি, বাড়ি কেনার কখনই কোনও দরকার হয়নি জানিয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ির দিক থেকে অনেক সম্পত্তি, জমি পেয়েছেন। সে কারণে আমার ঢাকায় কোনও কিছু কেনার কখনও দরকার হয়নি। এছাড়া আমার স্ত্রী-সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ভালো চাকরি করায় তাদের সেখানেও ভালো অবস্থান আছে। এদিকে আমি যা বেতন পায় সব মিলিয়ে আমাদের ভালোভাবে আল্লাহর রহমতে চলে যাচ্ছে। তাই দুর্নীতি, অসৎ উপায়ে উপার্জনের কোনও দরকার হয় না আমার।’

এদিকে ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করা দুটি অভিযোগের অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলেছেন আদালত। সোমবার (৯ জানুয়ারি) একটি জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন।