সংস্কৃত ব্যাকরণের এক জটিল সূত্রের সমাধান করেছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ বছর বয়সী পিএইচডি ছাত্র ড. ঋষি রাজপোপাট। বিষয়টিকে ইতোমধ্যে বৈপ্লবিক বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংস্কৃত ভাষার পণ্ডিত পাণিনির রচিত গ্রন্থের এই সমাধানের ফলে পাণিনির ব্যাকরণ কম্পিউটারের মাধ্যমে শেখানো সহজ হবে।
আজ থেকে প্রায় ২ হাজার বছর আগে অষ্টাধ্যয়ী লেখা হয়েছিল। সংস্কৃত কীভাবে লিখতে-পড়তে হবে, ভাষাবিজ্ঞানের সেই পাঠ দিয়েছিল এই বই। এটি ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব, বাক্য গঠন এবং ব্যাকরণের গভীর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। যে কোনো সংস্কৃত শব্দে মূল এবং প্রত্যয় কীভাবে যোগ করা যেতে পারে এবং ব্যাকরণগত সঠিক শব্দ ও বাক্য কীভাবে গঠন করা যায়, তার নিয়ম এই বইয়ে আছে। এ ব্যাপারে পাণিনি মোট ৪ হাজার নিয়ম তৈরি করেছিলেন।
কিন্তু পণ্ডিতরা পরে দেখেন যে এই বইয়ে লেখা দুই বা ততোধিক নিয়ম একটা বাক্য তৈরিতে প্রযোজ্য হচ্ছে। যা নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়। এর সমাধানও পাণিনি তৈরি করেছিলেন। তিনি একটি মূল নিয়ম তৈরি করে বলেছিলেন, এক ক্ষেত্রে যদি তার লেখা ব্যাকরণের দুটি নিয়ম কার্যকরী হয়, তবে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় নিয়মটি গ্রহণ করতে হবে বা মানতে হবে। কিন্তু, তারপরও ধারাবাহিকভাবে সেই নিয়ম কার্যকর করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা থেকেই যাচ্ছিল। যার ফলে বাড়ছিল ব্যতিক্রমের সংখ্যা।
ঋষি রাজপোপাট মূলত সেই সমস্যারই সমাধান করে ফেললেন। ‘পাণিনি উই ট্রাস্ট’ শিরোনামে থিসিসে ড. রাজপোপাট একটি সরল পথ দেখিয়েছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন যে এতদিন পর্যন্ত পাণিনির শেখানো মূল নিয়মকেই আমরা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে এসেছি। রাজপোপাটের দাবি, পাণিনি দুটি নিয়ম কোনো একটি ক্ষেত্রে কার্যকর হলে, পরবর্তী নিয়ম ব্যবহার করতে হবে, এমনটা বলেননি।