বিধ্বস্ত সময়েও থেমে নেই মাদক ও দেহ ব্যাবসা রমরমা চলছে দারুসসালাম থানাধীন এলাকায় ঢাকার গাবতলী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনালের সামনে অবস্থিত টায়ারপট্টি’র হোটেল রজনীগন্ধ্যা ও বলাকা আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে আসছে অনৈতিক দেহ ব্যবসা। আর ওই হোটেলে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরাসহ বিভিন্ন শহর ও গ্রামঞ্চাল থেকে আগত যাত্রী ও মোটর শ্রমিকদের আনাগোনাই বেশি। এতে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। হোটেলে এই ব্যবসার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন হোটেলটির ম্যানেজার ও । অনেক কিছুই ম্যানেজ করে এ কাজ করা হয় বলে জানা যায়।
সরেজমিন গেটে ঢুকতেই দেখা যায় বাবু সোনা আসো বলে রিসিপশনে দাঁড়িয়ে আছেন একজন। দ্বিতীয় ধাপে আসবে কাস্টমারের পছন্দের নারী খোঁজ মিলবে, ইচ্ছে মতো রমনীদের দেখে-শুনে কথা বলে পছন্দ করার বিষয়টি। রুমে রুমে রয়েছে একাধিক নারী। বিভিন্নভাবে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে তারা ব্যস্ত। পছন্দ হলে চলে দরকষাকষি। বাস্তবে এমন চিত্র দেখা গেছে যে, দরকষাকষির এক পর্যায়ে হোটেল থেকে ফিরে আসতে গেলে যে কোনো একজন একটু আড়ালে ডেকে নিয়ে কিছু অশ্লীল কথা বলে। একই সাথে বিভিন্নভাবে অঙ্গাভঙ্গির মাধ্যমে আকৃষ্ট করার চেষ্টাও করছে হোটেলে থাকা মেয়েরা। কৌশলে পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে কলেজ ছাত্রী বলে দাবি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব অবৈধ দেহ ব্যবসায় জড়িতরা বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও গ্রামঞ্চাল থেকে এসেছে তারা। এদের রয়েছে এক ধরনের দালাল চক্রের নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকার পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করে আসছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গেলে হোটেল কর্তৃপক্ষ –হোটেল রজনীগন্ধ্যার মালিকঃ মিঃ জোলাস মেনেজার আলমগীর হোসেন ও হোটেল বলাকা আবাসিক এর মালিক-১, ওসমান ও মালিক-২ ছামাদ এর কাছে ওই অবৈধ কর্মকান্ডের তথ্য আনতে প্রতিবেদকের বাধা সৃষ্টি করে। আবাসিক হোটেলের নামে দিনের পর দিন চলছে এই রমরমা দেহ ব্যবসা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবাসিক হোটেলে কর্মরত এক ব্যক্তি দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে জানান, আমি এখানে চাকরি করি। হোটেলের মালিক পক্ষ বিভিন্ন বয়সের নারীদের নিয়ে এসে অসামাজিক কর্মকান্ডের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
এই অবৈধ অসামাজিক ব্যবসার বিষয়ে হোটেল বলাকা মালিক, ওসমান, ছামাদ ও রজনীগন্ধ্যা হোটেলের ম্যানেজার ও মালিক মিঃ জোলাস ও আলমগীর ধামকিও চাদাবাজী মামলা করবেন বলে জানান, এ ব্যবসা ঢাকা শহরে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এবং চলবে আপনার কিছু করার থাকলে করেন।
এই বিষয়ে দারুসসালাম থানার ওসি দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের অবৈধ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা কাউকে চালাতে দেওয়া হবে না।