সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে চাপ প্রয়োগ করছে জার্মানী। ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের শাসনের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ২৭ দেশের জোট ইইউ। এখন নতুন প্রশাসনের ওপর থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায় জার্মানি।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
সম্প্রতি সিরিয়ায় সফর করে এসেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। সঙ্গে ছিলেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ নোয়েল ব্যারোট। ইউরোপের এই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থনের চিহ্ন হিসাবে এই সফর করেন। যেখানে তারা গত মাসে বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে সাহায্য করার সমর্থন প্রকাশ করেন।
এছাড়া জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি নারীদেরও সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানাতে এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল।
জার্মান কূটনীতিকরা বলছেন, বার্লিন এখন সিরিয়ার সরকারি পরিষেবাগুলির সাথে আর্থিক লেনদেন সহজতর করার জন্য চাপ দিচ্ছে। এছাড়া সিরিয়ার বেসরকারী পুঁজি স্থানান্তরের উপর বিধিনিষেধ সহজ এবং জ্বালানি ও বিমান খাতে নিষেধাজ্ঞার অবসান চায়।
চলতি মাসের ২৭ জানুয়ারি ব্রাসেলসে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরদের একটা সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে ব্রাসেলসে। এই বৈঠকে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইউউর নীতির যে কোনও পরিবর্তনের জন্য সব সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন।
এদিকে সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আগামী ছয় মাসের জন্য সিরিয়ায় কিছু কার্যক্রমের উপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সিরিয়ার নতুন প্রশাসনকে ছয় মাসের জন্য জ্বালানি বিক্রি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক লেনদেনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর পথ সহজ করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। দামেস্কের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য জোরেশোরে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।