বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, একটা মানুষের ৮০০ বাড়ি থাকে বিদেশে, ১৪ বিলিয়ন ডলার দেশ থেকে পাচার হয়ে যায়। এই ঘটনা জেনে এত ঘৃণা লেগেছে। মানুষ এতটা লোভী হতে পারে। কতটা লোভী মানুষের কাছে আমরা আমাদের রাজনীতি নিয়ে গেছি, ভাবতে অবাক লাগছে। এই রাজনীতির অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে এই আইনজীবী বলেন, ২০১৮ সালে একটা গ্রাফিতি ছিল দেয়ালে দেয়ালে, রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে। তাই জুলাইয়ের এই আন্দোলন হঠাৎ ঘটে যাওয়া কিছু নয়, এটা অনেক আগে থেকে সমাজের একটা অংশ ফ্যাসিবাদের টপ টু বটম পর্যন্ত পরিবর্তন চেয়েছে, রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তন চেয়েছে। তাই এটা শুধু দেড় মাসের আন্দোলন বলা যাবে না।
রুমিন ফারহানা বলেন, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য দরকার রাজনীতির পরিবর্তন। রাজনীতির পরিবর্তন না হলে শুধু সরকার পতনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না। রাজনীতি যদি ঠিক না হয়, তাহলে একটা নির্বাচন, একটা শাসন পরিবর্তন কখনো সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারবে না। আর এই রাজনীতি পরিবর্তনের দায়িত্ব শুধু রাজনীতিবিদদের নয়, এখানে জনগণের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই রাজনীতিবিদদের দুর্বৃত্তায়ন হওয়ার কতটুকু স্বাধীনতা দেবেন, সেটা আপনারাই নির্ধারণ করবেন। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির জন্য জনগণকে এটার পরিবর্তন করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন সাইফুল হক, আবু সাঈদ খান প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহ্বায়ক শেখ আব্দুর নূর। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের সদস্যসচিব বাবর চৌধুরী।