ঢাকা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতা দখলের পর প্রথম চীন সফরে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান

আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে চলতি সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। যা ২০২১ সালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর এই নেতার প্রথম চীন সফর।

এই সফর নিয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘জান্তা প্রধান চীনের কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক ও আলোচনা করবেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের বিষয়ে কাজ করবেন।’

মিয়ানমার জান্তা এমন এক সময় এই সফরটি করছেন; যখন দেশটির সামরিক সরকারের কাছ থেকে বৃহৎ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠিত জাতিগত সংখ্যালঘু মিলিশিয়ানরা। একটি সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন হিসাবে চীনের সাথে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকাগুলি অভ্যুত্থানের পর থেকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।

এছাড়াও গত অক্টোবরে জান্তা বিরোধী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে সেনাবাহিনীর অবস্থান অবনতি হয়েছে। যা নিয়ে শঙ্কিত চীন। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তের কিছু অংশ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। যদিও মিয়ামারের সঙ্গে চীনের কৌশলগত অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত। যার মধ্যে চীনের প্রধান তেল ও গ্যাস পাইপলাইন এবং বঙ্গোপসাগরে একটি পরিকল্পিত গভীর সমুদ্র বন্দর রয়েছে। এছাড়াও বেইজিং বায়ু শক্তি খাতে ব্যবহারের জন্য মিয়ানমার থেকে বিরল কিছু জিনিসও আমদানি করে।

মিয়ানমারের ওপর নজরদারিকারী স্বাধীন বিশ্লেষক ডেভিড ম্যাথিসন জান্তা প্রধানের এই সফর নিয়ে বলেন, ‘তিনি আরও চীনা সমর্থন পেতে বা আরও বেশি চীনা চাপ পেতে সেখানে যাচ্ছেন, যা জনগণের জন্যই খারাপ। চীন স্পষ্ট করেছে যে তারা SAC এবং তাদের নির্বাচনী রূপান্তর পরিকল্পনাকে সমর্থন করছে।’

এদিকে আগামী বছর নির্বাচনের জন্য জান্তা সরকারকে সমর্থন দিয়েছে চীন। যা আবার ভালোভাবে নিচ্ছে না জান্তা বিরোধীরা। চীনের এই প্রভাব মিয়ানমারের গণতন্ত্রের জন্য তাদের সংগ্রামের বাধা বলে অভিহিত করেছেন তারা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্ষমতা দখলের পর প্রথম চীন সফরে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান

আপডেট সময় ০২:২২:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে চলতি সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। যা ২০২১ সালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর এই নেতার প্রথম চীন সফর।

এই সফর নিয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘জান্তা প্রধান চীনের কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক ও আলোচনা করবেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের বিষয়ে কাজ করবেন।’

মিয়ানমার জান্তা এমন এক সময় এই সফরটি করছেন; যখন দেশটির সামরিক সরকারের কাছ থেকে বৃহৎ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠিত জাতিগত সংখ্যালঘু মিলিশিয়ানরা। একটি সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন হিসাবে চীনের সাথে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকাগুলি অভ্যুত্থানের পর থেকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।

এছাড়াও গত অক্টোবরে জান্তা বিরোধী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে সেনাবাহিনীর অবস্থান অবনতি হয়েছে। যা নিয়ে শঙ্কিত চীন। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তের কিছু অংশ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। যদিও মিয়ামারের সঙ্গে চীনের কৌশলগত অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত। যার মধ্যে চীনের প্রধান তেল ও গ্যাস পাইপলাইন এবং বঙ্গোপসাগরে একটি পরিকল্পিত গভীর সমুদ্র বন্দর রয়েছে। এছাড়াও বেইজিং বায়ু শক্তি খাতে ব্যবহারের জন্য মিয়ানমার থেকে বিরল কিছু জিনিসও আমদানি করে।

মিয়ানমারের ওপর নজরদারিকারী স্বাধীন বিশ্লেষক ডেভিড ম্যাথিসন জান্তা প্রধানের এই সফর নিয়ে বলেন, ‘তিনি আরও চীনা সমর্থন পেতে বা আরও বেশি চীনা চাপ পেতে সেখানে যাচ্ছেন, যা জনগণের জন্যই খারাপ। চীন স্পষ্ট করেছে যে তারা SAC এবং তাদের নির্বাচনী রূপান্তর পরিকল্পনাকে সমর্থন করছে।’

এদিকে আগামী বছর নির্বাচনের জন্য জান্তা সরকারকে সমর্থন দিয়েছে চীন। যা আবার ভালোভাবে নিচ্ছে না জান্তা বিরোধীরা। চীনের এই প্রভাব মিয়ানমারের গণতন্ত্রের জন্য তাদের সংগ্রামের বাধা বলে অভিহিত করেছেন তারা।