বর্তমানে কর্মরত জোন-৫/২ এর ইমারত পরিদর্শক মো:তারিফুর রহমান একটি প্রাইভেট পলিটেকনিক হতে ডিপ্লোমা (সিভিল) পাশ করে ফেসিবাদী সরকার এর সময় দলীয় প্রার্থী কোঠায় ২০১৮ সালে জুলাই ০২ তারিখে রাজউক এ ইমারত পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেন এবং জোন-৭ এ পদায়ন হয়।ওই জোনে থাকাকালীন সময় অফিসে আসা যাওয়া ,ডেক্স এ বসে বসে জীমানো ছাড়া কোন কাজ ছিলো না।ফার্মগেট এর একটি মেচে সিট ভাড়া নিয়ে থাকতেন,কিভাবে লোকজনের সাথে কথা বলতে হয়,কিভাবে শার্ট পেন্ট ইন করে অফিসে আসতে হয় সেটাও জানা ছিলো না।
অফিসের সবাই তাঁকে কীপটা তারিফ নামে চিনতো।নিয়ম বহির্ভূত ভাবে টাকার বিনিময় জোন-৭ থেকে পোস্টিং নেন জোন -৬ পরিচালক এর কার্যালয়।আর তখন থেকে পেয়ে যান আলাদিনের চেরাগ,হয়ে যান আঙুল ফুলে কলাগাছ।টাকার নেশায় মরিয়া হয়ে উঠন।তার খুব কাছের আত্মীয় নাম না বলার শর্তে জানান তার বালিশের নিচে প্রতিদিন ২(দুই) লাখ টাকা না থাকলে ঘুম হয় না তার।পরিবর্তন হতে থাকে তার পোশাক থেকে শুরু করে বাসস্থান এর।জোন -৬ এ কিছুদিন দায়িত্বে থাকেন ডেমরা এলাকার যেখানে রাজুকের ড্যাপ এ কৃষি জমি হওয়ায় সব বাড়ী প্ল্যান না নিয়ে করা।
এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভবন মালিকদের মোবাইল কোর্ট এর ভয় দেখিয়ে প্রতি ভবন থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ হাতিয়ে নিতেন।যেসব ভবন মালিক টাকা দিতে অস্বীকার করতো তাদের ২সি নোটিশ দিয়ে থানার পুলিশ এর মাধ্যমে এবং মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা করতেন আবার বিদ্যুৎ এর মিটার নিয়া আসতেন পরবর্তীতে বিদ্যুৎ এর মিটার পূন্যসংযোগ দিতে মোটা অংকের টাকা নিতেন।এতটাই চতুর হয়ে যান ওই এলাকা থেকে অভিযোগ আসা শুরু করলেই ৭/৮ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে অন্য এলাকায় পোস্টিং নিয়ে নিতেন।এভাবে রামপুরা বনশ্রী হাজীপাড় মহানগর এলাকায় একই ভাবে ভবন মালিকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এবং পোস্টিং নেন জোন-৮/১ এর এলাকায়ে।অথরাইজ্ড অফিসার তার খুব কাছের হওয়ায় জোন-৮/১ নারায়ণগঞ্জ গড়ে তোলেন সিন্টিকেট ।
কোনো ফাইল তার কথা ছাড়া পাশ হতো না যতক্ষণ তাদের দাবী মতো ৪/৫/৬ তলা হিসেবে ৬/৮/১০ লাখ টাকা না দিতো।এভাবে হয়ে উঠেন টাকার কুমির।অথরাইজ্ড অফিসার জান- ৫/২ বোধলী হওয়ার কিছুদিন পরেই টাকার বিনিময় তারিফুর রহমান ও জোন -৫/২ আ বোধলী হন এবং বর্তমানে কর্মরত আছেন তার প্রীও অথরাইজ এর কাছে।মো:তারিফুর রহমান এর রয়েছে ৩ (তিন) বিলাশ বহুল ফ্ল্যাট, কয়েকটি প্লট এবং পার্টনারশীপ এ রিয়েল এস্টেট বিজনেস।আছে নামিদামি ব্র্যান্ড এর ২টি মোটরসাইকেল ও ২টি প্রাইভেট কার।নিজেকে এতটাই চালাক ভাবেন এসব অবৈধ টাকা তার এক বোন আমেরিকা প্রবাসী হওয়ায় হুন্ডির মাধ্যমে সেখানে পাঠিয়ে বাংলাদেশে ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়ে আসেন এবং সব সম্পত্তি তার বোন বাবার নামে ক্রয় করেন।তার চাকুরী টি যোগদানের সময় দেয়া সম্পত্তির বিবরণী দেখলেই এসব সত্যি বেড়িয়ে আসবে।বর্তমানে তিনি রামপুরা মহানগর এর ওআব্দা রোডের ১৫৮/৪ প্লট এর উপর মাজিদ ট্রেস নামে নির্মিত [ ENOSIS ] নামক ডেভলপার কোম্পানীর ৯(নয়) তলায় লিফট এর ডান পাশে ১৮০০ স্কয়ার ফিট এর ফ্ল্যাট টি ১ (এক) কোটি ২০ (বিশ) লাখ টাকায় ক্রয় করে বসবাস করেন।ফ্ল্যাট এর ভিতরে ইন্টারিওর কাজ করান ৩০/৩৫ লাখ টাকার এমনকি ড্রইং ডাইনিং রুমেও এসি লাগানো।
ফ্ল্যাট এর ভিতরে প্রবেশ করলে মনে হবে কোন রাজকীয় প্রসাদ।ডেভলোপার কোম্পানির তথ্য মতে সব লেনদেন রাজউক এর ইমারত পরিদর্শক তারিফুর রহমান নিজ হাতে করছেন ,সব প্রমাণ সংগ্রহ করে রাখা আছে।তার আরও ২টি ফ্ল্যাট রামপুরা ওমর আলী লেন এ যার একটির ঠিকানা – ১২/৪৭৮ এর ৪(চার) তলায় ৯৫০ স্কয়ার ফিট দাম ৫৫ (পঞ্চান্নো) লাখ টাকা অন্যটি তার পাশেই এগ্জিউ ডেভলপার এর ৩(তিন) তলায় ১৪০০ এস্কোয়ার ফিট দাম ৮৫(পঁচাশী) লাখ টাকা।আফতাবনগর এ আছে ২টি প্লট ২.৫ কাটা এবং ৩ কাটার প্লট।তারিফুর রহমান নিয়মিত পল্টন এর একটি আবাসিক হোটেল এ জুয়া খেলা, মদ পান করা এবং বিভিন্ন নারী নিয়ে রাজকীয় জীবন যাপন করেন।
সারারাত নাচ গান মদ পান করেন হোটেল ফার্স ,হোটেল ৭১ ,হোটেল সোনারগাঁও , বাংলামোটরের [ CHALET ] নামক বার সহ বনানীর [ সেরিনা লকি বার ] এ।খরচ করেন প্রতি রাতে ২-২.৫ (দুই থেকে আড়াই) লক্ষ টাকা সাথে থাকে ১০/১২ জন বন্ধু বান্ধবী।কিছুদিন আগে রোজি নামক এক বার ডান্সার এর জালে আটকা পরে দিতে হয় ১৫(পনেরো) লক্ষ টাকা।দুদকে তার নামে আছে একাধিক অভিযোগ।বর্তমানে জুয়ার আসর বসান রামপুরা হাজীপাড়ার একটি ভবন এর ৩(তিন) তলায় তার নিজস্ব ট্রাভেল এজেন্সির অফিস এ ।