জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে । বিগত সময়ে চিকিৎসা সেবা ও ব্যবস্হাপনায় দেশ সেরা সাফল্যের স্বীকৃতি পেলেও বর্তমানে অপ্রতুল জনবল নিয়ে হাসপাতালটি পরিচালনা ও চিকিৎসা সেবায় চাপে রয়েছেন কর্তৃপক্ষ । কাম্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী।
তবে চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকটের বিষয়টি মাথায় নিয়েও রোগীদর কাংখিত সেবা প্রদানে যথাসাধ্য কাজ করছেন বলে জানান উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তরুন কুমার পাল। প্রায় আড়াই লক্ষ জনসংখ্যা অধ্যুষিত উপজেলাটিতে ১৯৭৩ সালে শহর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে মহিপুর গ্রামের ১১ একর ১৬ শতক জায়গার উপর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অবস্হিত। জানা গেছে, হাসপাতালটিতে মোট ১৭৮ পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ১০৫ জন । শুন্য পদের সংখ্যা ৭৩ জন । এর মধ্যে সিনিয়র, জুনিয়র ডাক্তার ও কনসালটেন্ট পদ মোট ২৯ জনের স্হলে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ১২ জন। নার্স ও মিডওয়াইফ পদে ৪০ জনের স্হলে রয়েছেন ৩৯ জন । অন্যান্য তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ১০৯ জনের স্হলে রয়েছেন ৫৪ জন।
উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তরুন কুমার পাল বলেন, অনেক প্রতিকুলতার মধ্যেও আমরা প্রতিদিন আউটডোরে ৩ শত থেকে ৪ শত রোগী দেখছি । এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় সময় ৫০ জনের স্হলে ০/৮০ জন অনেক সময় ১ শর অধিক রোগী ভর্তি থাকে। হাসপাতালে বিভিন্ন ছোট অপারেশন ছাড়াও প্রতি মাসে কয়েকটি সিজার অপারেশন করা হচ্ছে । এদের জন্য পোস্ট অপারেটিভ কক্ষেরও ব্যবস্হা করা হয়েছে। তিনি জানান ডাক্তার সংকট হওয়ার কারনে স্বল্প সংকট কর্মরত ডাক্তারগণ অতিরিক্ত ডিউটি করছেন। এতে করে অনেক ডাক্তার অসুস্থও হয়ে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেবার চেষ্টা করছি । ডাক্তার সংকট থাকায় প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি আমি নিজেও নিয়মিত ওয়ার্ডে ও অফিসে রোগী দেখি। তবে জনবল সংকটের কারনে একমাত্র ইসিজি ছাড়া সার্বক্ষণিক ভাবে অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া পরীক্ষার জন্য রিয়েজেন্ট ও এক্সরে ফিল্মের সংকট রয়েছে । আল্ট্রাসাউন্ড বিশেষজ্ঞ না থাকায় এধরণের রোগীদের পরীক্ষাও যথাযথ ভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না । তবে চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকটের বিষয়টি সংশ্লিস্ট উর্ধতন মহলকে অবগত করা হয়েছে।