ঢাকা ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ধরিত্রী প্রোপার্টিজের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ

হাওয়ার বাড়ি,হাওয়ার গাড়ি;হাওয়ার-ই কারখানা’ গানের সারমর্মের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে দেশের আবাসন ব্যবসার ক্ষেত্রে। ক্রয়কৃত জমি নেই। গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়ারে তৈরি কাল্পনিক আবাসিক প্রকল্পের প্লট বিক্রি করে যাচ্ছেন। হাওয়ার ওপর ভর করে চালিয়ে যাচ্ছেন প্লট বিক্রির ব্যবসা। ঢাকা শহরে এমন শতাধিক কোম্পানীর সন্ধান পাওয়া গেছে যারা প্লট বিক্রির নামে জনসাধারনের সাথে প্রতারনা করছেন।
এমনই একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ধরিএী প্রোপার্টিজ লি:। এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে কোম্পানীর সাইনবোর্ড টানিয়ে প্লট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মাওয়ায় ধরিএী প্রোপার্টিজ’র সামান্য কিছু জমি ক্রয় করা আছে। কিন্তু প্লট বিক্রি করা হয়েছে তার সহস্রগুন। একই প্লট একাধিক ক্রেতাকে দেখিয়ে বিক্রি করছেন। প্লট বুঝিয়ে দেয়ার সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও অনেকে ক্রেতাকে প্লট বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। আবার ক্রেতারা প্লট বুঝিয়ে দেয়ার জন্যে চাপ দিলে তাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথেও প্রতারনা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রমতে,ধরিএী প্রোপার্টিজ’র কর্ণধার হচ্ছেন আতাউর রহমান রেজা। আতাউর রহমান রেজা ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা পাচারের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। ৮ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী এ.এইচ.এম আতাউর রহমান রেজাই এখন ধরিএী প্রোপার্টিজ লি: এর এমডি। আইন শৃংখলা বাহিনীর কাগজ পত্রে তিনি পলাতক আসামী হলেও দিব্যি ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন!
জানাগেছে, প্রতারনার কৌশল হিসেবে কখনো তার নিজ নামে, কখনো তার স্ত্রী,ভাই-বোন, ভাগ্নে বা আত্মীয়ের নামে আতাউর রহমান রেজা ব্যবসা পরিচালনা করেন। ইতিপূর্বে তিনি মৈত্রী প্রপারটিজ, (নোয়াখালী টাউয়ার, পুরানা পল্টন), সেরাজেম( মালিবাগ), নিরাপদ হাসপাতাল (মালিবাগ মোড়, সি আই ডি অফিসের পাশে), পুষ্প ধারা হাউজিং( সিদ্ধেশরী),উদ্যোগ প্রপারটিজ লি:সহ আরও অনেক কোম্পানি খুলে বিভিন্ন ভাবে প্রতারনা করেছেন। বর্তমানে রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত ধরিএী প্রোপার্টিজ লিমিটেডের নামে প্রতারনা করে যাচ্ছেন।
ধরিএী প্রোপার্টিজ লিমিটেডের নামে রেজা ফেসবুকে লোভনীয় বিজ্ঞাপন, লিফলেট এবং ব্যক্তি ভিজিটিং কার্ডের পিছনে বিভিন্ন অফার দিয়ে ঢাকা-মাওয়া রোডে সামান্য কিছু জমি ক্রয় করে  এক জমি একাধিক জনের কাছে   বিক্রি করে;   রেজিষ্ট্রি    করে না দিয়ে কিস্তি সুবিধার নাম করে প্রতারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্লট বুঝে না পেয়ে গ্রাহক তাদের টাকা ফেরত চাইলে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।
এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্যে ধরিএী প্রোপার্টিজ লি: এর এমডি এ.এইচ.এম আতাউর রহমান রেজার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গুলশান-বাড্ডা এলাকায় তিনজনকে কুপিয়ে বিপুল টাকা-ডলার-ইউরো ছিনতাই

ধরিত্রী প্রোপার্টিজের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:৫৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

হাওয়ার বাড়ি,হাওয়ার গাড়ি;হাওয়ার-ই কারখানা’ গানের সারমর্মের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে দেশের আবাসন ব্যবসার ক্ষেত্রে। ক্রয়কৃত জমি নেই। গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়ারে তৈরি কাল্পনিক আবাসিক প্রকল্পের প্লট বিক্রি করে যাচ্ছেন। হাওয়ার ওপর ভর করে চালিয়ে যাচ্ছেন প্লট বিক্রির ব্যবসা। ঢাকা শহরে এমন শতাধিক কোম্পানীর সন্ধান পাওয়া গেছে যারা প্লট বিক্রির নামে জনসাধারনের সাথে প্রতারনা করছেন।
এমনই একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ধরিএী প্রোপার্টিজ লি:। এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে কোম্পানীর সাইনবোর্ড টানিয়ে প্লট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মাওয়ায় ধরিএী প্রোপার্টিজ’র সামান্য কিছু জমি ক্রয় করা আছে। কিন্তু প্লট বিক্রি করা হয়েছে তার সহস্রগুন। একই প্লট একাধিক ক্রেতাকে দেখিয়ে বিক্রি করছেন। প্লট বুঝিয়ে দেয়ার সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও অনেকে ক্রেতাকে প্লট বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। আবার ক্রেতারা প্লট বুঝিয়ে দেয়ার জন্যে চাপ দিলে তাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথেও প্রতারনা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রমতে,ধরিএী প্রোপার্টিজ’র কর্ণধার হচ্ছেন আতাউর রহমান রেজা। আতাউর রহমান রেজা ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা পাচারের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। ৮ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী এ.এইচ.এম আতাউর রহমান রেজাই এখন ধরিএী প্রোপার্টিজ লি: এর এমডি। আইন শৃংখলা বাহিনীর কাগজ পত্রে তিনি পলাতক আসামী হলেও দিব্যি ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন!
জানাগেছে, প্রতারনার কৌশল হিসেবে কখনো তার নিজ নামে, কখনো তার স্ত্রী,ভাই-বোন, ভাগ্নে বা আত্মীয়ের নামে আতাউর রহমান রেজা ব্যবসা পরিচালনা করেন। ইতিপূর্বে তিনি মৈত্রী প্রপারটিজ, (নোয়াখালী টাউয়ার, পুরানা পল্টন), সেরাজেম( মালিবাগ), নিরাপদ হাসপাতাল (মালিবাগ মোড়, সি আই ডি অফিসের পাশে), পুষ্প ধারা হাউজিং( সিদ্ধেশরী),উদ্যোগ প্রপারটিজ লি:সহ আরও অনেক কোম্পানি খুলে বিভিন্ন ভাবে প্রতারনা করেছেন। বর্তমানে রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত ধরিএী প্রোপার্টিজ লিমিটেডের নামে প্রতারনা করে যাচ্ছেন।
ধরিএী প্রোপার্টিজ লিমিটেডের নামে রেজা ফেসবুকে লোভনীয় বিজ্ঞাপন, লিফলেট এবং ব্যক্তি ভিজিটিং কার্ডের পিছনে বিভিন্ন অফার দিয়ে ঢাকা-মাওয়া রোডে সামান্য কিছু জমি ক্রয় করে  এক জমি একাধিক জনের কাছে   বিক্রি করে;   রেজিষ্ট্রি    করে না দিয়ে কিস্তি সুবিধার নাম করে প্রতারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্লট বুঝে না পেয়ে গ্রাহক তাদের টাকা ফেরত চাইলে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।
এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্যে ধরিএী প্রোপার্টিজ লি: এর এমডি এ.এইচ.এম আতাউর রহমান রেজার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।