ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরগুনা-৩ আসন পুনর্বহালের দাবি ইভিএমে নয়, জাতীয় নির্বাচন হবে ব্যালটে : সিইসি মঠবাড়িয়ায় প্রবাসী ওয়াদুদের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি সহ প্রতারনার অভিযোগ লাকসামে মিনি ম্যারাথন(৫কিঃমিঃ) দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। দক্ষিনখানে মসজিদের নামে থাকা সড়কের নাম বদলে দিলেন যুবদল নেতা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দলের র‌্যালী জাতির পিতা, ৭ মার্চসহ কয়েকটি বিষয় সংসদের জন্য রেখে দিয়েছেন আদালত বিজয় দিবস উপলক্ষে পটুয়াখালীতে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। নাটোরে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ১ ভুয়া সাংবাদিক গ্রেপ্তার অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মির্জা আব্বাস

চট্টগ্রাম আদালতে হামলা: জহুর লাল,শৈবাল দাশ, জিনাত সুহানা, মানস সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক দুই কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ অঙ্গসংগঠন ও ইসকনের ২৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন মোহাম্মদ উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি। মামলায় তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করেন।

চট্টগ্রামের আদালত ভবনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়টি মামলা হয়েছে।

এর আগে হত্যা, পুলিশের কাজে বাধা দেয়াসহ আরও পাঁচটি মামলা হয়েছিল। এরমধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি, হত্যার শিকার আইনজীবী আলিফের বাবা ও ভাই বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩১নম্বর আন্দরিকল্লা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক জহুর লাল হাজারী, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ, নগর যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক জিনাত সুহানা চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা সমীর কুমার দে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিপন কান্তি নাথ, ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত আহমেদ, ইসকনের কর্মী, যুবলীগ নেতা মানস চৌধুরী সংগ্রাম, কাজী তানভীর প্রমুখ। মামলার বাকি আসামিরা সবাই ইসকনের কর্মী।

মামলার বাদী মোহাম্মদ উল্লাহর অভিযোগ, গত ২৬ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে তিনি ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে আইনি সহায়তা নিতে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের আইনজীবীর চেম্বারে গিয়েছিলেন। বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনি বাসায় ফেরার পথে সড়কে মামলায় এজাহারভুক্ত ২৯ জন আসামিসহ অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৫০ জন দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান করছিলেন। এ সময় অভিযুক্তরা তার মাথায় টুপি দেখে তাকে ‘শিবির ধর’ বলে ধাওয়া দেন। এ ঘটনায় তিনি ভীত হয়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে ঢুকে পড়েন।

এরপর বিকেলে রঙ্গম কনভেনশন হলের পাশে মেথরপট্টির সামনে অভিযুক্তরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় তার পায়জামার পকেটে থাকা ছয় হাজার টাকা অভিযুক্ত দুজন কৌশলে ছিনিয়ে নেন। এরপর তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, চিন্ময় দাশকে কারাগারে নেয়ার সময় সহিংসতার ঘটনায় এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে দুজন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নামও আছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বরগুনা-৩ আসন পুনর্বহালের দাবি

চট্টগ্রাম আদালতে হামলা: জহুর লাল,শৈবাল দাশ, জিনাত সুহানা, মানস সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় ১১:৫৪:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আদালতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক দুই কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ অঙ্গসংগঠন ও ইসকনের ২৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন মোহাম্মদ উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি। মামলায় তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করেন।

চট্টগ্রামের আদালত ভবনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়টি মামলা হয়েছে।

এর আগে হত্যা, পুলিশের কাজে বাধা দেয়াসহ আরও পাঁচটি মামলা হয়েছিল। এরমধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি, হত্যার শিকার আইনজীবী আলিফের বাবা ও ভাই বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩১নম্বর আন্দরিকল্লা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক জহুর লাল হাজারী, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ, নগর যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক জিনাত সুহানা চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা সমীর কুমার দে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিপন কান্তি নাথ, ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত আহমেদ, ইসকনের কর্মী, যুবলীগ নেতা মানস চৌধুরী সংগ্রাম, কাজী তানভীর প্রমুখ। মামলার বাকি আসামিরা সবাই ইসকনের কর্মী।

মামলার বাদী মোহাম্মদ উল্লাহর অভিযোগ, গত ২৬ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে তিনি ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে আইনি সহায়তা নিতে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের আইনজীবীর চেম্বারে গিয়েছিলেন। বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনি বাসায় ফেরার পথে সড়কে মামলায় এজাহারভুক্ত ২৯ জন আসামিসহ অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৫০ জন দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান করছিলেন। এ সময় অভিযুক্তরা তার মাথায় টুপি দেখে তাকে ‘শিবির ধর’ বলে ধাওয়া দেন। এ ঘটনায় তিনি ভীত হয়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে ঢুকে পড়েন।

এরপর বিকেলে রঙ্গম কনভেনশন হলের পাশে মেথরপট্টির সামনে অভিযুক্তরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় তার পায়জামার পকেটে থাকা ছয় হাজার টাকা অভিযুক্ত দুজন কৌশলে ছিনিয়ে নেন। এরপর তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, চিন্ময় দাশকে কারাগারে নেয়ার সময় সহিংসতার ঘটনায় এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে দুজন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নামও আছে।