রাজধানীর দক্ষিন খানের ৪৭ নং ওয়ার্ডের উত্তর ফায়দাবাদ এলাকায় মসজিদুল কোবা জামে মসজিদ সড়কের নাম রাতের আধারে পরিবর্তন করে নিজের দাদা নামে সড়কের নামকরণের ব্যনার সাটিয়ে দিয়েছেন দক্ষিন খান থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি শেখ রাসেল ও তার ভাইয়েরা। রাস্তাটির নামকরণ নিয়ে এর আগে ঝামেলা করেন যুবদল নেতা শেখ রাসেল। সেই সময়ে এলাকাবাসী ও স্থানীয় সালিশের রায়ে রাস্তাটির নাম আগে যা ছিল অর্থাৎ মাসজিদুল কোবা জামে মসজিদ সড়কের পক্ষেই রায় দেন। কিন্তু ৫ আগষ্টের পর সুযোগ বুঝে মসজিদের নামে থাকা সড়কের নামপলকটি মুঝে নিজের দাদার নামের সড়কের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন যুবদলের এ নেতা।
ঘটনা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ব্যপক প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে। মসজিদের নামে থাকা সড়কের নাম রাতের আধারে এভাবে পরিবর্তন করাকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। সড়কের নাম পরিবর্তন বিষয়ে কথা না বলতে নানাভাবে এলাকাবাসীকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন রাসেলসহ তার সহযোগীরা।
জানাগেছে, গত প্রায় ৩০ বছর থেকেই রাস্তাটির নাম মসজিদুল কোবা জামে মসজিদ সড়ক হিসেবে পরিচিতি। প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা সড়ক শতাধিক বাড়ীর ন্যামপ্লেটসহ স্থানীয়দের জন্ম সনদ আইডি কার্ড থেকে শুরু করে সব জায়গা রাস্তাটির নাম রয়েছে, মসজিদুল কোবা সড়ক। কয়েক বছর আগেও এই সড়কের নাম পরিবর্তনের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে আবেদন করেন শেখ রাসেল। রাসেলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৬ সদস্যের একটি জুড়ি বোর্ড গঠন করে দেন স্থানীয় কাউন্সিলর। জুড়ি বোর্ডের একজন সদস্য জানান, রাস্তার নাম পরিবর্তনের জুরির সদস্য হিসেবে আমরা এই রোডের বাড়ি ওয়ালাদের ভোট গ্রহন করি। সেই ভোটে মসজিদুল কোবা সড়কের নামের পক্ষে ৬৪ জন বাড়ী ওয়ালা ভোট দেয়। মাত্র ১০টি বাড়ী ওয়ালা যুবদল নেতা শেখ রাসেলের দাদা মরহুম শেখ আবু উবায়েদ আল নদভীর নামে ভোট দেয়।
পরে আমরা কাউন্সিলরের প্রতিনিধি হিসেবে এ রাস্তাটির অতীত রেকর্ড তালাশ দিয়ে জানতে পারি পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ থাকা অবস্থায়ও এ রাস্তার নাম মসজিদুল কোবা সড়ক নামেই আছে। তাই রাস্তার নাম পরিবর্তনের আবেদনটি সকলের সম্মতিতে বাতিল হয়ে যায়।
স্থানীয় সালিশে সড়কের নাম পরিবর্তন করাতে না পারলেও স্থানীয় এ যুবদল নেতা নিজের দাদার নামে সড়কের নামকরণের ফলক লাগিয়ে দেয়। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, যুবদলের এ নেতা আগে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরের সাথে গভীর সখ্যতার সুযোগ নিয়ে রাস্তাটির নাম পরিবর্তনের চেষ্টা চালায়। সেসময় ব্যর্থ হয়ে এখন ক্ষমতার ধাপটে মসজিদের নাম থাকা সড়কের নাম জোরপূর্বক পরিবর্তন করে নেয়। রাতের আধারে এমন পরিবর্তনে সাধারণ মানুষ বিএনপির এমন কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
তারা বলছেন, পটপরিবর্তনের পর শেখ রাসেল ও তার ভাইয়েরা মিলে এলাকার দখল চাদাবাজি ডিস ইন্টারনেট ব্যবসার নিয়ন্ত্রন নিয়ে কাচা টাকার সন্ধান পেয়েছেন। এখন উনি বেপরোয়া আচরণ করছেন। মহানগর উত্তর বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতার ছত্রছাড়ায় এমনটা করছেন বলে জানান স্থানীয়রা। এ বিষয়ে রাসেলের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।