ঢাকা ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় বিএসটিআই এর অভিযানে ও জরিমানা শুভ উদ্বোধন হলো ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) এর রংপুর শাখা রাজবাড়ীতে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় সাফল্যের শীর্ষে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পুরো ঘটনাটাই ঘটেছিল উদ্দেশ্য প্রনিত ধুম্রজালে দখল-চাঁদাবাজি-ইজারায় হাত বদল: হেমায়েতপুর-আমিনবাজারে ‘নতুন সম্রাট’ মুশা সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শুভ উদ্বোধন হলো ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) এর রংপুর শাখা পানিতে ডুবে প্রতিটি মৃত্যুই প্রতিরোধযোগ্য: পঙ্কজ বড়ুয়া চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত

বিপিডিবির লোকসান দাঁড়াবে ১৮ হাজার কোটি টাকা

সরকারের ভুলনীতির কারণে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) লোকসান ২০২৫ সাল নাগাদ ১৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে। সরকারের ভর্তুকি এবং বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পরও এই বিপুল পরিমাণ লোকসান হবে। রোববার মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে সিপিডি (সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ) বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করে। এতে সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে পরিকল্পনা নিয়েছে, সেটা উচ্চাভিলাষী। ওই সময় ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত রিজার্ভ ধরেও সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যথেষ্ট হবে। সক্ষমতার অতিরিক্ত বিদ্যুতের কারণে জ্বালানি সংকট হচ্ছে। বিতরণ ও সঞ্চালন লাইনের সীমাবদ্ধতার কারণে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। ফলে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ থাকার পরও লোডশেডিং হচ্ছে। আবার বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। ফলে বিপিডিবির লোকসান বাড়ছে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, দেশে এখন বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ৩০ হাজার ৭৩৮ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। ব্যবহার করা না গেলেও কেন উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে? তিনি বলেন, সরকার এখন যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি করেছে, তা ২০৩০ সালেও প্রয়োজন হবে না। আগামী ছয় বছরে চাহিদা দাঁড়াতে পারে ১৯ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। ২৫ শতাংশ রিজার্ভ ধরলে তখন ২৩ হাজার ২৫২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ হলেই হয়। সক্ষমতা বাড়লেও দেশে এখনো লোডশেডিং হচ্ছে। গরমে গড়ে ১১শ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেটে লোডশেডিং করা হয়। বাজেটে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত নিয়ে স্পষ্ট কিছু নেই। সরকার এ খাত নিয়ে কী করবে, তাও কেউ জানে না। অন্ধকারে সবাই।

গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, ব্যয়বহুল সত্তে¡ও সরকার জ্বালানি আমদানি বাড়িয়ে যাচ্ছে। উচ্চমূল্যের জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানে আরও বেশি আন্তরিক হওয়া দরকার। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎব্যবস্থার জন্য সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের উন্নয়নের পাশাপাশি স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য সরকারকে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক শিল্পকারখানা বসে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছরের তুলনায় কারখানার যন্ত্রপাতি, কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্যের আমদানি কমেছে ৪৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে কমেছে সরকারের রাজস্ব আয়। গতবার এনবিআর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। এবার ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, সেটা পূরণ করা সম্ভব না। এনবিআর চেয়ারম্যান নিজে এটা স্বীকার করেছেন। এভাবে চললে বিদ্যুৎ খাতে বাজেটে যে ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, সেটা আদৌ সরকার দিতে পারবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা দেশের উন্নয়নে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের বিকল্প নেই। এজন্য সরকারের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দরকার।

নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ না থাকায় দেশে বিনিয়োগ আসছে না উলে­খ করে এ কে আজাদ আরও বলেন, প্রায় ২৫ শতাংশ কমেছে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি। শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে ২২ শতাংশ। বাজেটের অধিকাংশ ব্যয় অনুন্নয়ন খাতে। সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য হাজার কোটি টাকা খরচ করে দামি গাড়ি কেনা হচ্ছে, যেখানে ভারতের মন্ত্রীরা নিজেদের দেশের গাড়িতে চড়েন। ভারতের বিনিয়োগ পলিসির কথা তুলে ধরে এ কে আজাদ বলেন, তাদের জমি, বিদ্যুৎ জ্বালানি সাবসিডাইজ, ৫ বছরের জন্য কর্মীদের বেতন দেয় সরকার, বিনিয়োগ তো সে দেশেই হবে। তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না হলে কর্মসংস্থান হবে না।

এই সংসদ-সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মাত্র চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে এখন উৎপাদনক্ষমতা ২৮ হাজার মেগাওয়াট পার হয়েছে। এতে জিডিপি বেড়েছে। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। কাজ করতে গেলে কিছু ভুলত্র“টি হবে, তা সংশোধন হচ্ছে, আরও হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বুয়েটের অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় বিএসটিআই এর অভিযানে ও জরিমানা

বিপিডিবির লোকসান দাঁড়াবে ১৮ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় ১২:১৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

সরকারের ভুলনীতির কারণে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) লোকসান ২০২৫ সাল নাগাদ ১৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে। সরকারের ভর্তুকি এবং বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পরও এই বিপুল পরিমাণ লোকসান হবে। রোববার মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে সিপিডি (সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ) বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করে। এতে সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে পরিকল্পনা নিয়েছে, সেটা উচ্চাভিলাষী। ওই সময় ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত রিজার্ভ ধরেও সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যথেষ্ট হবে। সক্ষমতার অতিরিক্ত বিদ্যুতের কারণে জ্বালানি সংকট হচ্ছে। বিতরণ ও সঞ্চালন লাইনের সীমাবদ্ধতার কারণে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। ফলে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ থাকার পরও লোডশেডিং হচ্ছে। আবার বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। ফলে বিপিডিবির লোকসান বাড়ছে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, দেশে এখন বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ৩০ হাজার ৭৩৮ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। ব্যবহার করা না গেলেও কেন উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে? তিনি বলেন, সরকার এখন যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি করেছে, তা ২০৩০ সালেও প্রয়োজন হবে না। আগামী ছয় বছরে চাহিদা দাঁড়াতে পারে ১৯ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। ২৫ শতাংশ রিজার্ভ ধরলে তখন ২৩ হাজার ২৫২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ হলেই হয়। সক্ষমতা বাড়লেও দেশে এখনো লোডশেডিং হচ্ছে। গরমে গড়ে ১১শ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেটে লোডশেডিং করা হয়। বাজেটে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত নিয়ে স্পষ্ট কিছু নেই। সরকার এ খাত নিয়ে কী করবে, তাও কেউ জানে না। অন্ধকারে সবাই।

গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, ব্যয়বহুল সত্তে¡ও সরকার জ্বালানি আমদানি বাড়িয়ে যাচ্ছে। উচ্চমূল্যের জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানে আরও বেশি আন্তরিক হওয়া দরকার। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎব্যবস্থার জন্য সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের উন্নয়নের পাশাপাশি স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য সরকারকে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক শিল্পকারখানা বসে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছরের তুলনায় কারখানার যন্ত্রপাতি, কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্যের আমদানি কমেছে ৪৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে কমেছে সরকারের রাজস্ব আয়। গতবার এনবিআর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। এবার ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, সেটা পূরণ করা সম্ভব না। এনবিআর চেয়ারম্যান নিজে এটা স্বীকার করেছেন। এভাবে চললে বিদ্যুৎ খাতে বাজেটে যে ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, সেটা আদৌ সরকার দিতে পারবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা দেশের উন্নয়নে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের বিকল্প নেই। এজন্য সরকারের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দরকার।

নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ না থাকায় দেশে বিনিয়োগ আসছে না উলে­খ করে এ কে আজাদ আরও বলেন, প্রায় ২৫ শতাংশ কমেছে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি। শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে ২২ শতাংশ। বাজেটের অধিকাংশ ব্যয় অনুন্নয়ন খাতে। সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য হাজার কোটি টাকা খরচ করে দামি গাড়ি কেনা হচ্ছে, যেখানে ভারতের মন্ত্রীরা নিজেদের দেশের গাড়িতে চড়েন। ভারতের বিনিয়োগ পলিসির কথা তুলে ধরে এ কে আজাদ বলেন, তাদের জমি, বিদ্যুৎ জ্বালানি সাবসিডাইজ, ৫ বছরের জন্য কর্মীদের বেতন দেয় সরকার, বিনিয়োগ তো সে দেশেই হবে। তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না হলে কর্মসংস্থান হবে না।

এই সংসদ-সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মাত্র চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে এখন উৎপাদনক্ষমতা ২৮ হাজার মেগাওয়াট পার হয়েছে। এতে জিডিপি বেড়েছে। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। কাজ করতে গেলে কিছু ভুলত্র“টি হবে, তা সংশোধন হচ্ছে, আরও হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বুয়েটের অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম প্রমুখ।