ঢাকা ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেপরোয়া ভালুকার সাইবার সন্ত্রাসীরা দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ থেকে আগষ্টিন হাতিয়েছেন শত কোটি টাকা দীর্ঘ তিন বছর পর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী টিটুকে চেয়ারম্যান ঘোষণা উত্তরণ আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব -২০২৪ অনুষ্ঠিত সময় আসবে একদিন…তখন আফসোস করবি বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করার জন্য পটুয়াখালীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনস্বার্থে খাল পরিস্কার কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ভারতে জমাজলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ যুবকের মৃত্যু কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বোর্ডে ভাসছে ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’! ঢাকাসহ ছয় বিভাগে বজ্র বৃষ্টির পূর্বাভাস ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা মিজান গ্রেফতার

‘মুক্তিযুদ্ধে নয়, ভাষণের সংগ্রামে ছিল আ.লীগ’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ব্যাপারে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান আছে, এটা আমরা অস্বীকার করি না। কিন্তু যুদ্ধে কোনো অবদান আওয়ামী লীগের নেই। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ ছিল না। তারা (আওয়ামী লীগ) ছিল ভাষণের সংগ্রামে। মুজিবনগরে একদিনের জন্যও শেখ মুজিবুর রহমান ভিজিটে যাননি। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের পুঁজি।’

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র শহিদ জিয়া ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক বাংলাদেশ লেবার পার্টির আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলাল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে যে অবদান রেখেছেন, সেই অবদান আওয়ামী লীগের পক্ষে রাখা সম্ভব ছিল না, এখনো নেই। জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে সরাসরি যুদ্ধে চলে গিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ফোর্সের কমান্ডার। জেড ফোর্স হয়েছিল সবার আগে, বাকিগুলো হয়েছিল আরও আড়াই মাস পরে।’

তিনি বলেন, ‘যদি তেলিয়াপাড়া চা বাগানে যান, সেখানে একটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আছে। ওই জায়গায় ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল জেনারেল ওসমানী, মেজর জিয়া, মেজর সফিউল­াহ, মেজর রফিক-তাদের সঙ্গে প্রথম মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। ওখানে একটি ছোট্ট বই আকারে আছে তা পড়লে দেখবেন। ওই বৈঠকে একটি প্রস্তাবনা ছিল অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগসহ দেশের যেসব রাজনৈতিক দল আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিযুদ্ধকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে হবে। অর্থাৎ ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটা সরকারি দলিল এর স্বীকৃতি।’

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন-জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, ফারুক হাসান, লেবার পার্টির এসএম ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, আবদুর রহমান খোকন, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, কামরুজ্জামান চৌধুরী মুকুল, মনির হোসেন খান, নাসিমা নাজনিন সরকার, ছাত্র মিশনের সৈয়দ মো. মিলন, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, এনামুল হক প্রমুখ।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেপরোয়া ভালুকার সাইবার সন্ত্রাসীরা

‘মুক্তিযুদ্ধে নয়, ভাষণের সংগ্রামে ছিল আ.লীগ’

আপডেট সময় ১২:১৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ব্যাপারে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান আছে, এটা আমরা অস্বীকার করি না। কিন্তু যুদ্ধে কোনো অবদান আওয়ামী লীগের নেই। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ ছিল না। তারা (আওয়ামী লীগ) ছিল ভাষণের সংগ্রামে। মুজিবনগরে একদিনের জন্যও শেখ মুজিবুর রহমান ভিজিটে যাননি। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের পুঁজি।’

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র শহিদ জিয়া ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক বাংলাদেশ লেবার পার্টির আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলাল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে যে অবদান রেখেছেন, সেই অবদান আওয়ামী লীগের পক্ষে রাখা সম্ভব ছিল না, এখনো নেই। জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে সরাসরি যুদ্ধে চলে গিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ফোর্সের কমান্ডার। জেড ফোর্স হয়েছিল সবার আগে, বাকিগুলো হয়েছিল আরও আড়াই মাস পরে।’

তিনি বলেন, ‘যদি তেলিয়াপাড়া চা বাগানে যান, সেখানে একটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আছে। ওই জায়গায় ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল জেনারেল ওসমানী, মেজর জিয়া, মেজর সফিউল­াহ, মেজর রফিক-তাদের সঙ্গে প্রথম মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। ওখানে একটি ছোট্ট বই আকারে আছে তা পড়লে দেখবেন। ওই বৈঠকে একটি প্রস্তাবনা ছিল অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগসহ দেশের যেসব রাজনৈতিক দল আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিযুদ্ধকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে হবে। অর্থাৎ ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটা সরকারি দলিল এর স্বীকৃতি।’

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন-জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, ফারুক হাসান, লেবার পার্টির এসএম ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, আবদুর রহমান খোকন, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, কামরুজ্জামান চৌধুরী মুকুল, মনির হোসেন খান, নাসিমা নাজনিন সরকার, ছাত্র মিশনের সৈয়দ মো. মিলন, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, এনামুল হক প্রমুখ।