ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও নিজেকে ক্ষমতাবিমুখ এক নির্মোহ ব্যক্তিত্বে পরিনত করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। প্রায়াত কোকোকে নিয়ে একান্ত স্বাক্ষাৎকারে বিএনপি নেতা মাওলানা শামীম আহমেদ অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র ‍বিতরণ শিক্ষক নিয়োগে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের পর চাঞ্চল্য তৈরি হলেও অধরা খায়রুল ইসলাম (২য় পর্ব) গায়েবী ছাত্রীকে জায়েজে প্রধান শিক্ষক মনোজের অভিনব কূটকৌশল রাজধানী হাজারীবাগে নকশা ছাড়া সাততলা বাড়ি, জানেনা রাজউক নকশা বহির্ভূত বাড়ি নির্মাণ: রাজউকের নোটিশের জবাব দিতে গড়িমসি ভবন মালিকের নির্মম নির্যাতনের বিচার পাবেন কী ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা? ঢাবি এলাকায় লম্পট বাবার যৌন নির্যাতনে মেয়ের মৃত্যু! নেত্রকোনায় আলোর ফেরিওয়ালা সেজে দুর্নীতির গডফাদার : অধ্যক্ষ ফারুকের বিচার ও অপসারণ দাবি

নদী-খাল-বিল নেই তবুও হচ্ছে সাড়ে তিন কোটি টাকার ব্রিজ!

নদী নেই, খাল-বিলও নেই, রাস্তাও নেই- তবুও নির্মাণ করা হচ্ছে সাড়ে তিন কোটি টাকার ব্রিজ। আছে শুধু দিগন্ত জোড়া ফসলি মাঠ। অজানা কারণে এই ফসলি মাঠের মধ্যেই স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রিজটি।

এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ৬৪ মিটার দৈর্ঘ্যের সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এ ব্রিজ। ইতোমধ্যে ব্রিজের পাইলিংয়ের কাজ চলছে। ব্রিজটি যেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে এটি শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের সর্বশেষ প্রান্ত কড়ইতলা গ্রাম। এরপরে রয়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলা কলসপাড় ইউনিয়নের নাকশি ও গাগলাজানি গ্রাম। ওই নির্মাণাধীন ব্রিজ এলাকা থেকে নালিতাবাড়ী-গাজীরখামার-শেরপুর সড়কের দূরত্ব প্রায় আধা কিলোমিটার।

সাধারণত ব্রিজ নির্মাণ করা হয় পানিপ্রবাহ কিংবা যেখানে কোনো খাল-বিল এবং নদীনালা থাকে; কিন্তু শেরপুর জেলার সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের কড়ইকান্দা গ্রামের শেষপ্রান্তে এ নির্মাণাধীন ব্রিজটির আশপাশে নেই কোনো রাস্তা, নেই কোনো জলাশয় বা নদী।

স্থানীয় নজরুল ও শফিক বলেন, নদী বা খালের পানিপ্রবাহের পথ তো দূরে থাক ব্রিজের আশপাশে ফসলের জমি ছাড়া কিছুই নেই।

আরেক গ্রামবাসী রুহুল আমীন বলেন, গরু ছাড়া গোয়ালের যেমন মূল্য নেই। ঠিক তেমনি রাস্তা ছাড়া ব্রিজের কোনো মূল্য নেই। খোলা মাঠে এখানে কেন ব্রিজ করা হচ্ছে আমরা গ্রামবাসী কেউ জানি না।

গাজীরখামার ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদুল ইসলাম বলেন, আপাতদৃষ্টিতে ব্রিজের আশপাশে রাস্তা দেখা না গেলেও ভবিষ্যতে রাস্তা করার জন্য পাশের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাস্তা করার জন্য উনি জমির ব্যবস্থা করে দেবেন।

এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তফিজুর রহমান জানিয়েছেন, পূর্বে এখানে রাস্তা ছিল কিন্তু প্রভাবশালী মহল রাস্তা ছোট করে দখল করেছে। তবে এখানে ব্রিজও হবে, রাস্তাও হবে। এতে কোনো সরকারি টাকা অপচয় হবে না।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও নিজেকে ক্ষমতাবিমুখ এক নির্মোহ ব্যক্তিত্বে পরিনত করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। প্রায়াত কোকোকে নিয়ে একান্ত স্বাক্ষাৎকারে বিএনপি নেতা মাওলানা শামীম আহমেদ

নদী-খাল-বিল নেই তবুও হচ্ছে সাড়ে তিন কোটি টাকার ব্রিজ!

আপডেট সময় ১১:০২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

নদী নেই, খাল-বিলও নেই, রাস্তাও নেই- তবুও নির্মাণ করা হচ্ছে সাড়ে তিন কোটি টাকার ব্রিজ। আছে শুধু দিগন্ত জোড়া ফসলি মাঠ। অজানা কারণে এই ফসলি মাঠের মধ্যেই স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রিজটি।

এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ৬৪ মিটার দৈর্ঘ্যের সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এ ব্রিজ। ইতোমধ্যে ব্রিজের পাইলিংয়ের কাজ চলছে। ব্রিজটি যেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে এটি শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের সর্বশেষ প্রান্ত কড়ইতলা গ্রাম। এরপরে রয়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলা কলসপাড় ইউনিয়নের নাকশি ও গাগলাজানি গ্রাম। ওই নির্মাণাধীন ব্রিজ এলাকা থেকে নালিতাবাড়ী-গাজীরখামার-শেরপুর সড়কের দূরত্ব প্রায় আধা কিলোমিটার।

সাধারণত ব্রিজ নির্মাণ করা হয় পানিপ্রবাহ কিংবা যেখানে কোনো খাল-বিল এবং নদীনালা থাকে; কিন্তু শেরপুর জেলার সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের কড়ইকান্দা গ্রামের শেষপ্রান্তে এ নির্মাণাধীন ব্রিজটির আশপাশে নেই কোনো রাস্তা, নেই কোনো জলাশয় বা নদী।

স্থানীয় নজরুল ও শফিক বলেন, নদী বা খালের পানিপ্রবাহের পথ তো দূরে থাক ব্রিজের আশপাশে ফসলের জমি ছাড়া কিছুই নেই।

আরেক গ্রামবাসী রুহুল আমীন বলেন, গরু ছাড়া গোয়ালের যেমন মূল্য নেই। ঠিক তেমনি রাস্তা ছাড়া ব্রিজের কোনো মূল্য নেই। খোলা মাঠে এখানে কেন ব্রিজ করা হচ্ছে আমরা গ্রামবাসী কেউ জানি না।

গাজীরখামার ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদুল ইসলাম বলেন, আপাতদৃষ্টিতে ব্রিজের আশপাশে রাস্তা দেখা না গেলেও ভবিষ্যতে রাস্তা করার জন্য পাশের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাস্তা করার জন্য উনি জমির ব্যবস্থা করে দেবেন।

এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তফিজুর রহমান জানিয়েছেন, পূর্বে এখানে রাস্তা ছিল কিন্তু প্রভাবশালী মহল রাস্তা ছোট করে দখল করেছে। তবে এখানে ব্রিজও হবে, রাস্তাও হবে। এতে কোনো সরকারি টাকা অপচয় হবে না।