আসন্ন ঈদুল আজহায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পশুবাহী ট্রাক, যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল নির্বিঘ্ন করতে নদী পারাপারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে সভায় জানানো হয়, আসন্ন ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি এবং ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। দৌলতদিয়া প্রান্তে তিনটি ফেরি ঘাট সচল থাকবে। ঈদে ঘরে ফেরা ও ঈদপরবর্তী কর্মে ফেরা যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরের পাঁচ দিন নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।
এছাড়া ঈদের তিন দিন আগে ও তিন দিন পর পর্যন্ত সড়ক পথে পণ্যবাহী পরিবহণ বন্ধ থাকবে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ বন্ধ থাকবে। ঈদের সময় লঞ্চে কোনো পণ্য পরিবহণ করা যাবে না। পশুবাহী ট্রাক ঘাটে এসে যাতে অপেক্ষা করতে না হয় সে বিষয়ে নজর রাখা হবে। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা ও তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে।
সভায় জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মো. ইব্রাহিম টিটন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সিদ্ধার্থ ভৌমিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মণ্ডল, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল ইসলাম প্রমুখ।