ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩

কুখ্যাত মানবপাচারকারী গ্রেফতার

ইউরোপের অন্যতম কুখ্যাত মানবপাচারকারী বারজান মাজিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার সকালে ইরাকের কুর্দিস্তান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।

বারজান মাজিদকে নিয়ে সম্প্রতি বিবিসি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে। এতে বলা হয়, কয়েক বছর ধরে তিনি এবং তার চক্রটি ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ও লরি দিয়ে মানবপাচার ব্যবসার সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন।

কুর্দিস্তানের সুলায়মানিয়া শহরে বারজানের খোঁজ পায় বিবিসি। তিনি স্করপিয়ন নামেও পরিচিত। বারজান বলেন, তিনি কয়েক হাজার অভিবাসীকে ইংলিশ চ্যানেল পার করিয়েছিলেন।

যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশের পুলিশের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় বারজানের নাম রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিও (এনসিএ) তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

যুক্তরাজ্যের পুলিশ কর্মকর্তারা যখন অবৈধ অভিবাসীদের আটক করেন, তখন তাদের মুঠোফোনগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখেন। ২০১৬ সালের পর থেকে সন্দেহজনক একটি নম্বরই বারবার সামনে আসছিল। ওই মুঠোফোনগুলোয় নম্বরটি স্করপিয়ন নামে রাখা ছিল। কখনো কখনো একটি কাঁকড়াবিছার ছবি দিয়েও নম্বরটি সেভ করা হয়েছিল।

এই স্করপিয়ন কে, তা আমাদের কাছে খোলাসা করেছিলেন মার্টিন ক্লার্ক নামের যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির একজন জ্যেষ্ঠ তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি বলেছিলেন, তদন্তের একপর্যায়ে বোঝা যায়, স্করপিয়ন আসলে বারজান মাজিদ নামের এক কুর্দি ইরাকি।

মাজিদ কিন্তু নিজেই পাচারের শিকার হয়েছিলেন। ২০০৬ সালের ঘটনা। তখন তার বয়স ২০ বছর। একটি লরিতে করে তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। তবে এক বছর পর তাকে দেশটি ছেড়ে যেতে বলা হয়। যদিও আরও কয়েক বছর যুক্তরাজ্যে থেকে গিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে কিছু সময় নানা অপরাধে কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাকে।

শেষ পর্যন্ত ২০১৫ সালে মাজিদকে ইরাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর কিছু সময় পর মানবপাচারের জগতে পা রাখেন তিনি। স্করপিয়ন নামে তার পরিচিত বাড়ে। ধারণা করা হয়, বড় ভাইয়ের হাত ধরেই এ অপরাধে জড়িয়েছিলেন তিনি। তার বড় ভাই তখন বেলজিয়ামের কারাগারে সাজা খাটছিলেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

কুখ্যাত মানবপাচারকারী গ্রেফতার

আপডেট সময় ১১:৪৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

ইউরোপের অন্যতম কুখ্যাত মানবপাচারকারী বারজান মাজিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার সকালে ইরাকের কুর্দিস্তান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।

বারজান মাজিদকে নিয়ে সম্প্রতি বিবিসি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে। এতে বলা হয়, কয়েক বছর ধরে তিনি এবং তার চক্রটি ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ও লরি দিয়ে মানবপাচার ব্যবসার সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন।

কুর্দিস্তানের সুলায়মানিয়া শহরে বারজানের খোঁজ পায় বিবিসি। তিনি স্করপিয়ন নামেও পরিচিত। বারজান বলেন, তিনি কয়েক হাজার অভিবাসীকে ইংলিশ চ্যানেল পার করিয়েছিলেন।

যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশের পুলিশের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় বারজানের নাম রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিও (এনসিএ) তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

যুক্তরাজ্যের পুলিশ কর্মকর্তারা যখন অবৈধ অভিবাসীদের আটক করেন, তখন তাদের মুঠোফোনগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখেন। ২০১৬ সালের পর থেকে সন্দেহজনক একটি নম্বরই বারবার সামনে আসছিল। ওই মুঠোফোনগুলোয় নম্বরটি স্করপিয়ন নামে রাখা ছিল। কখনো কখনো একটি কাঁকড়াবিছার ছবি দিয়েও নম্বরটি সেভ করা হয়েছিল।

এই স্করপিয়ন কে, তা আমাদের কাছে খোলাসা করেছিলেন মার্টিন ক্লার্ক নামের যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির একজন জ্যেষ্ঠ তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি বলেছিলেন, তদন্তের একপর্যায়ে বোঝা যায়, স্করপিয়ন আসলে বারজান মাজিদ নামের এক কুর্দি ইরাকি।

মাজিদ কিন্তু নিজেই পাচারের শিকার হয়েছিলেন। ২০০৬ সালের ঘটনা। তখন তার বয়স ২০ বছর। একটি লরিতে করে তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। তবে এক বছর পর তাকে দেশটি ছেড়ে যেতে বলা হয়। যদিও আরও কয়েক বছর যুক্তরাজ্যে থেকে গিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে কিছু সময় নানা অপরাধে কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাকে।

শেষ পর্যন্ত ২০১৫ সালে মাজিদকে ইরাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর কিছু সময় পর মানবপাচারের জগতে পা রাখেন তিনি। স্করপিয়ন নামে তার পরিচিত বাড়ে। ধারণা করা হয়, বড় ভাইয়ের হাত ধরেই এ অপরাধে জড়িয়েছিলেন তিনি। তার বড় ভাই তখন বেলজিয়ামের কারাগারে সাজা খাটছিলেন।