ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ইউক্রেনের পর ইউরোপ ও ন্যাটো আক্রমণের পরিকল্পনা, যা বললেন পুতিন

ইউক্রেনের পর রাশিয়া ইউরোপ এবং ন্যাটোতে আক্রমণ করতে চায় এমন ধারণাকে ‘অবাস্তব’ এবং ‘বাজে কথা’ বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বুধবার মস্কোর উত্তরে টাভার অঞ্চলের তোরঝোক শহরে সামরিক পাইলটদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন। খবর ইয়েনি শাফাকের।

বৈঠকে তিনি বলেন, পশ্চিমা রাজনীতিবিদরা নিজ দেশের জনগণকে ‘ভীতি প্রদর্শন’ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আরও অর্থ সংগ্রহ করতে একটি কাল্পনিক রুশ হুমকির কথা বলছেন।

পুতিন আরও বলেন,বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয়ের প্রায় ৪০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র করে থাকে। আর রাশিয়ায় সামরিক ব্যায়ের এই পরিমাণ শুধুমাত্র ৩.৫ শতাংশ। ‘আমরা কি এই বৈষম্য (প্রতিরক্ষা ব্যয়ের) নিয়ে ন্যাটোর সাথে যুদ্ধ করতে যাচ্ছি নাকি অন্য কিছু? এটি শুধু বাজে কথা!’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও জানান,’ইউক্রেনের পরে ইউরোপে আক্রমণ করার বিষয়ে তারা যা বলে তা সম্পূর্ণ বাজে কথা, তাদের নিজস্ব জনসংখ্যাকে ভয় দেখানো, জনগণের কাছ থেকে অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ‘

সামরিক পাইলটদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি রাশিয়ার কোন আক্রমনাত্মক উদ্দেশ্য নেই, এবং ‘যদি ডনবাসে সামরিক পদক্ষেপের পরে একটি অভ্যুত্থান না হলে ইউক্রেন যুদ্ধি শুরু হত না বলেও উল্লেখ করেন।

মিনস্ক চুক্তির সঙ্গে আট বছর প্রতারণা’ করার পর রাশিয়া শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে অন্য উপায় অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েয়ে বলেও জানান তিনি।

পুতিন বলেন,’২০১৪ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। তারপরও আমরা মিনস্ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু এরপরও দেখা যাচ্ছে আরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছি। আট বছর ধরে, তারা তাদের এই চুক্তি বাস্তবায়নে বিলম্বের কারনে অবশেষে আমাদের স্বার্থ এবং জনগণকে রক্ষা করার জন্য আমাদেরকে ভিন্ন ধরনের ট্রানজিট গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়েছে। ‘

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

ইউক্রেনের পর ইউরোপ ও ন্যাটো আক্রমণের পরিকল্পনা, যা বললেন পুতিন

আপডেট সময় ০৪:৪২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ইউক্রেনের পর রাশিয়া ইউরোপ এবং ন্যাটোতে আক্রমণ করতে চায় এমন ধারণাকে ‘অবাস্তব’ এবং ‘বাজে কথা’ বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বুধবার মস্কোর উত্তরে টাভার অঞ্চলের তোরঝোক শহরে সামরিক পাইলটদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন। খবর ইয়েনি শাফাকের।

বৈঠকে তিনি বলেন, পশ্চিমা রাজনীতিবিদরা নিজ দেশের জনগণকে ‘ভীতি প্রদর্শন’ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আরও অর্থ সংগ্রহ করতে একটি কাল্পনিক রুশ হুমকির কথা বলছেন।

পুতিন আরও বলেন,বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয়ের প্রায় ৪০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র করে থাকে। আর রাশিয়ায় সামরিক ব্যায়ের এই পরিমাণ শুধুমাত্র ৩.৫ শতাংশ। ‘আমরা কি এই বৈষম্য (প্রতিরক্ষা ব্যয়ের) নিয়ে ন্যাটোর সাথে যুদ্ধ করতে যাচ্ছি নাকি অন্য কিছু? এটি শুধু বাজে কথা!’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও জানান,’ইউক্রেনের পরে ইউরোপে আক্রমণ করার বিষয়ে তারা যা বলে তা সম্পূর্ণ বাজে কথা, তাদের নিজস্ব জনসংখ্যাকে ভয় দেখানো, জনগণের কাছ থেকে অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ‘

সামরিক পাইলটদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি রাশিয়ার কোন আক্রমনাত্মক উদ্দেশ্য নেই, এবং ‘যদি ডনবাসে সামরিক পদক্ষেপের পরে একটি অভ্যুত্থান না হলে ইউক্রেন যুদ্ধি শুরু হত না বলেও উল্লেখ করেন।

মিনস্ক চুক্তির সঙ্গে আট বছর প্রতারণা’ করার পর রাশিয়া শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে অন্য উপায় অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েয়ে বলেও জানান তিনি।

পুতিন বলেন,’২০১৪ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। তারপরও আমরা মিনস্ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু এরপরও দেখা যাচ্ছে আরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছি। আট বছর ধরে, তারা তাদের এই চুক্তি বাস্তবায়নে বিলম্বের কারনে অবশেষে আমাদের স্বার্থ এবং জনগণকে রক্ষা করার জন্য আমাদেরকে ভিন্ন ধরনের ট্রানজিট গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়েছে। ‘