ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাশিয়ার ২ জাহাজসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ইউক্রেনের হামলা

অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে নোঙর করে রাখা রাশিয়ার দুটি বড় জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবাহিনীর ব্যবহার করা বিভিন্ন স্থাপনায়ও হামলা করেছে দেশটি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাময়িকভাবে দখল করে রাখা ক্রিমিয়া উপদ্বীপে নোঙর করে থাকা রুশ জাহাজ আজভ ও ইয়ামালে সফলভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের একটি যোগাযোগ কেন্দ্রসহ কয়েকটি স্থাপনাতেও রাতভর হামলা করা হয়েছে। তবে কীভাবে এসব হামলা পরিচালনা করা হয়েছে, তা ওই বিবৃতিতে স্পষ্ট করেনি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।

এদিকে রাতভর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ার নিয়োগ করা ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলের গভর্নর মিখাইল রাজভোঝায়েভ। টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সেভাস্তোপোল বন্দরের ওপর থেকে অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিমিয়ায় এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মিখাইল আরও জানান, ইউক্রেনের হামলায় ৬৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তি মারা গেছেন এবং চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কিছু নৌযান ও বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী ও ১৩টি স্কুল বাস রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে শহরে একটি বড় বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। সেখানে বাতাসে আগুনের গোলা এবং কালো ধোঁয়া দেখা গেছে।

কিয়েভ দাবি করেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস করেছে। সাধারণত ওই এলাকায় বিস্ফোরকভর্তি সমুদ্রভিত্তিক ড্রোন ব্যবহার করে রাতে হামলা করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

রাশিয়ার ২ জাহাজসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ইউক্রেনের হামলা

আপডেট সময় ১১:৪২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে নোঙর করে রাখা রাশিয়ার দুটি বড় জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবাহিনীর ব্যবহার করা বিভিন্ন স্থাপনায়ও হামলা করেছে দেশটি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাময়িকভাবে দখল করে রাখা ক্রিমিয়া উপদ্বীপে নোঙর করে থাকা রুশ জাহাজ আজভ ও ইয়ামালে সফলভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের একটি যোগাযোগ কেন্দ্রসহ কয়েকটি স্থাপনাতেও রাতভর হামলা করা হয়েছে। তবে কীভাবে এসব হামলা পরিচালনা করা হয়েছে, তা ওই বিবৃতিতে স্পষ্ট করেনি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।

এদিকে রাতভর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ার নিয়োগ করা ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলের গভর্নর মিখাইল রাজভোঝায়েভ। টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সেভাস্তোপোল বন্দরের ওপর থেকে অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিমিয়ায় এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মিখাইল আরও জানান, ইউক্রেনের হামলায় ৬৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তি মারা গেছেন এবং চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কিছু নৌযান ও বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী ও ১৩টি স্কুল বাস রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে শহরে একটি বড় বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। সেখানে বাতাসে আগুনের গোলা এবং কালো ধোঁয়া দেখা গেছে।

কিয়েভ দাবি করেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস করেছে। সাধারণত ওই এলাকায় বিস্ফোরকভর্তি সমুদ্রভিত্তিক ড্রোন ব্যবহার করে রাতে হামলা করা হয়।