ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩

ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ রাখলো কানাডা

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর দেশটিতে মারণাস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রেখেছে কানাডা। যোগাযোগ সরঞ্জামের মতো যেসব উপকরণ প্রাণঘাতী নয়, শুধু সেগুলোই রপ্তানি করা হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ইসরায়েলে কোনো অস্ত্রই রপ্তানি করেনি কানাডা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। কানাডার সমরাস্ত্রের অন্যতম শীর্ষ ১০ ক্রেতাদেশের মধ্যে ইসরায়েল অন্যতম। কানাডার বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইসরায়েলে ২ কোটি ১০ লাখ কানাডিয়ান ডলার এবং ২০২১ সালে ২ কোটি ৬০ লাখ কানাডিয়ান ডলার সমমূল্যের সমরাস্ত্র রপ্তানি করেছে দেশটি। চলতি মার্চ মাসের শুরুর দকে কানাডার পার্লামেন্টে একটি অভিযোগ জমা দেন দেশটির আইনজীবীদের একাংশ এবং ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কানাডীয়রা। সেখানে তারা বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলমান থাকা অবস্থায় দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি করা কানাডার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

এই অভিযোগকে আমলে নিয়ে সোমবার একটি প্রস্তাব পাস করে কানাডার পার্লামেন্ট। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কানাডা ইসরায়েলে সামরিক যোগাযোগ ইক্যুইপমেন্ট বা এই জাতীয় সরঞ্জাম ব্যতীত কোনো প্রকার প্রাণঘাতী অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম পাঠাবে না। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামের দু’টি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন বা দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বানও জানানো হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায় উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। অতর্কিত সেই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। সেই সঙ্গে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাদের মধ্যে শতাধিককে ইতোমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৩২ হাজার, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার ফিলিস্তিনি। এই নিহত ও আহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক মানুষ।

এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় বাড়িঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ রাখলো কানাডা

আপডেট সময় ০৪:০০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর দেশটিতে মারণাস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রেখেছে কানাডা। যোগাযোগ সরঞ্জামের মতো যেসব উপকরণ প্রাণঘাতী নয়, শুধু সেগুলোই রপ্তানি করা হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ইসরায়েলে কোনো অস্ত্রই রপ্তানি করেনি কানাডা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। কানাডার সমরাস্ত্রের অন্যতম শীর্ষ ১০ ক্রেতাদেশের মধ্যে ইসরায়েল অন্যতম। কানাডার বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইসরায়েলে ২ কোটি ১০ লাখ কানাডিয়ান ডলার এবং ২০২১ সালে ২ কোটি ৬০ লাখ কানাডিয়ান ডলার সমমূল্যের সমরাস্ত্র রপ্তানি করেছে দেশটি। চলতি মার্চ মাসের শুরুর দকে কানাডার পার্লামেন্টে একটি অভিযোগ জমা দেন দেশটির আইনজীবীদের একাংশ এবং ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কানাডীয়রা। সেখানে তারা বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলমান থাকা অবস্থায় দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি করা কানাডার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

এই অভিযোগকে আমলে নিয়ে সোমবার একটি প্রস্তাব পাস করে কানাডার পার্লামেন্ট। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কানাডা ইসরায়েলে সামরিক যোগাযোগ ইক্যুইপমেন্ট বা এই জাতীয় সরঞ্জাম ব্যতীত কোনো প্রকার প্রাণঘাতী অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম পাঠাবে না। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামের দু’টি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন বা দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বানও জানানো হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায় উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। অতর্কিত সেই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। সেই সঙ্গে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাদের মধ্যে শতাধিককে ইতোমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৩২ হাজার, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার ফিলিস্তিনি। এই নিহত ও আহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক মানুষ।

এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় বাড়িঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।