ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ রাখলো কানাডা

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর দেশটিতে মারণাস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রেখেছে কানাডা। যোগাযোগ সরঞ্জামের মতো যেসব উপকরণ প্রাণঘাতী নয়, শুধু সেগুলোই রপ্তানি করা হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ইসরায়েলে কোনো অস্ত্রই রপ্তানি করেনি কানাডা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। কানাডার সমরাস্ত্রের অন্যতম শীর্ষ ১০ ক্রেতাদেশের মধ্যে ইসরায়েল অন্যতম। কানাডার বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইসরায়েলে ২ কোটি ১০ লাখ কানাডিয়ান ডলার এবং ২০২১ সালে ২ কোটি ৬০ লাখ কানাডিয়ান ডলার সমমূল্যের সমরাস্ত্র রপ্তানি করেছে দেশটি। চলতি মার্চ মাসের শুরুর দকে কানাডার পার্লামেন্টে একটি অভিযোগ জমা দেন দেশটির আইনজীবীদের একাংশ এবং ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কানাডীয়রা। সেখানে তারা বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলমান থাকা অবস্থায় দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি করা কানাডার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

এই অভিযোগকে আমলে নিয়ে সোমবার একটি প্রস্তাব পাস করে কানাডার পার্লামেন্ট। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কানাডা ইসরায়েলে সামরিক যোগাযোগ ইক্যুইপমেন্ট বা এই জাতীয় সরঞ্জাম ব্যতীত কোনো প্রকার প্রাণঘাতী অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম পাঠাবে না। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামের দু’টি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন বা দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বানও জানানো হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায় উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। অতর্কিত সেই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। সেই সঙ্গে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাদের মধ্যে শতাধিককে ইতোমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৩২ হাজার, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার ফিলিস্তিনি। এই নিহত ও আহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক মানুষ।

এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় বাড়িঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ রাখলো কানাডা

আপডেট সময় ০৪:০০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর দেশটিতে মারণাস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রেখেছে কানাডা। যোগাযোগ সরঞ্জামের মতো যেসব উপকরণ প্রাণঘাতী নয়, শুধু সেগুলোই রপ্তানি করা হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ইসরায়েলে কোনো অস্ত্রই রপ্তানি করেনি কানাডা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। কানাডার সমরাস্ত্রের অন্যতম শীর্ষ ১০ ক্রেতাদেশের মধ্যে ইসরায়েল অন্যতম। কানাডার বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইসরায়েলে ২ কোটি ১০ লাখ কানাডিয়ান ডলার এবং ২০২১ সালে ২ কোটি ৬০ লাখ কানাডিয়ান ডলার সমমূল্যের সমরাস্ত্র রপ্তানি করেছে দেশটি। চলতি মার্চ মাসের শুরুর দকে কানাডার পার্লামেন্টে একটি অভিযোগ জমা দেন দেশটির আইনজীবীদের একাংশ এবং ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কানাডীয়রা। সেখানে তারা বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলমান থাকা অবস্থায় দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি করা কানাডার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

এই অভিযোগকে আমলে নিয়ে সোমবার একটি প্রস্তাব পাস করে কানাডার পার্লামেন্ট। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কানাডা ইসরায়েলে সামরিক যোগাযোগ ইক্যুইপমেন্ট বা এই জাতীয় সরঞ্জাম ব্যতীত কোনো প্রকার প্রাণঘাতী অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম পাঠাবে না। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামের দু’টি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন বা দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বানও জানানো হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায় উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। অতর্কিত সেই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। সেই সঙ্গে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাদের মধ্যে শতাধিককে ইতোমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৩২ হাজার, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার ফিলিস্তিনি। এই নিহত ও আহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক মানুষ।

এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় বাড়িঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।