ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মহাকাশে পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র তৈরি করতে চান পুতিন, যা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পশ্চিমা বিশ্বকে পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাশিয়া বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। ষষ্ঠবারের জন্য তিনি প্রেসিডেন্টের আসনে বসেছেন।

তবে পুতিনের এই পরমাণু যুদ্ধসংক্রান্ত বক্তব্য মোটেও ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছে দেশটি। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সেই ক্ষোভকে পুতিন আমল দিতে নারাজ বলেই মনে করছে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার মহাকাশেও পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র স্থাপন করতে চান পুতিন। এ নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।

আগেও একবার গুঞ্জন শোনা গেছে, পুতিন মহাকাশে পরমাণু অস্ত্র পাঠাতে চান। তবে পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জানান, ক্ষমতা থাকলেও মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র পাঠানোর কোনো ইচ্ছা নেই রাশিয়ার।

রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম তাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের মহাকাশে পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র নির্মাণসহ বাকি মহাকাশ প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

পাশাপাশি মহাকাশ প্রকল্পগুলোতে যাতে সঠিকভাবে অর্থের জোগান বজায় থাকে, সে বিষয়েও নজর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

ফেব্রুয়ারিতে সিএনএনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো এমন একটি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চলেছে, যা বিপুলসংখ্যক বাণিজ্যিক এবং সরকারি উপগ্রহকে বিকল করতে সক্ষম হবে।

এর পর আবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার দক্ষতা রয়েছে। আমাদের কাছে এমন সম্পদ রয়েছে, যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। এসব সম্পদের ভবিষ্যৎ নিয়েও বিশ্বাস রাখতে পারি।

পুতিন মন্তব্য করেন, সঠিক সময়ে পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রের প্রকল্পে অর্থ প্রদান করা হবে। শুধু কোন প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, সেটি ঠিক করে নিতে হবে। যেখানে সমস্যা রয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত মনোযোগ দিতে হবে বলেও সরকারি কর্তাদের নির্দেশ দেন পুতিন।

সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া মহাকাশে যে পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র স্থাপন করতে চলেছে, তা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক শক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা উপগ্রহগুলোকে বিকল করতে পারে। এ ধরনের যন্ত্রকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘নিউক্লিয়ার ইএমপি’ বলে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জো বাইডেন সরকার প্রকাশ্যে বলেছে যে, রাশিয়া মহাকাশে পাঠানোর জন্য একটি বিশেষ পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মতে, এই অস্ত্র যদি মহাকাশে পাঠানো হয়, তা হলে তা বিপজ্জনক হতে পারে।

অন্যদিকে রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা ‘রসকসমস’-এর প্রধান ইউরি বোরিসভ গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, রাশিয়া এবং চীন এমন একটি প্রকল্পে কাজ করছে, যা চাঁদে একটি পরমাণু রিঅ্যাক্টর স্থাপন করতে পারে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

মহাকাশে পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র তৈরি করতে চান পুতিন, যা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ০১:১১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পশ্চিমা বিশ্বকে পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাশিয়া বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। ষষ্ঠবারের জন্য তিনি প্রেসিডেন্টের আসনে বসেছেন।

তবে পুতিনের এই পরমাণু যুদ্ধসংক্রান্ত বক্তব্য মোটেও ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছে দেশটি। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সেই ক্ষোভকে পুতিন আমল দিতে নারাজ বলেই মনে করছে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার মহাকাশেও পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র স্থাপন করতে চান পুতিন। এ নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।

আগেও একবার গুঞ্জন শোনা গেছে, পুতিন মহাকাশে পরমাণু অস্ত্র পাঠাতে চান। তবে পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জানান, ক্ষমতা থাকলেও মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র পাঠানোর কোনো ইচ্ছা নেই রাশিয়ার।

রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম তাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের মহাকাশে পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র নির্মাণসহ বাকি মহাকাশ প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

পাশাপাশি মহাকাশ প্রকল্পগুলোতে যাতে সঠিকভাবে অর্থের জোগান বজায় থাকে, সে বিষয়েও নজর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

ফেব্রুয়ারিতে সিএনএনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো এমন একটি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চলেছে, যা বিপুলসংখ্যক বাণিজ্যিক এবং সরকারি উপগ্রহকে বিকল করতে সক্ষম হবে।

এর পর আবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার দক্ষতা রয়েছে। আমাদের কাছে এমন সম্পদ রয়েছে, যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। এসব সম্পদের ভবিষ্যৎ নিয়েও বিশ্বাস রাখতে পারি।

পুতিন মন্তব্য করেন, সঠিক সময়ে পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রের প্রকল্পে অর্থ প্রদান করা হবে। শুধু কোন প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, সেটি ঠিক করে নিতে হবে। যেখানে সমস্যা রয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত মনোযোগ দিতে হবে বলেও সরকারি কর্তাদের নির্দেশ দেন পুতিন।

সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া মহাকাশে যে পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র স্থাপন করতে চলেছে, তা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক শক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা উপগ্রহগুলোকে বিকল করতে পারে। এ ধরনের যন্ত্রকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘নিউক্লিয়ার ইএমপি’ বলে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জো বাইডেন সরকার প্রকাশ্যে বলেছে যে, রাশিয়া মহাকাশে পাঠানোর জন্য একটি বিশেষ পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মতে, এই অস্ত্র যদি মহাকাশে পাঠানো হয়, তা হলে তা বিপজ্জনক হতে পারে।

অন্যদিকে রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা ‘রসকসমস’-এর প্রধান ইউরি বোরিসভ গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, রাশিয়া এবং চীন এমন একটি প্রকল্পে কাজ করছে, যা চাঁদে একটি পরমাণু রিঅ্যাক্টর স্থাপন করতে পারে।