ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীসহ ১৬ কর্মকর্তার নামে হত্যা মামলা । (প্রথম পর্ব ) তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান শরীফ বিন আকবর খান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানোর দায়ে দুটি মামলার আসামি । হত্যা,সন্ত্রাস ও ধর্ষণ যার নিত্যদিনের কাজ । গণপূর্ত অধিদপ্তরের বৃক্ষবিদ্যা প্রধানের বিরুদ্ধে কুদরত-ই খুদা’র অন্তহীন অভিযোগ । মোহাম্মদপুরের সাব-রেজিস্টার শাহিন আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ । গণতন্ত্র কীভাবে রক্ষা করতে হয় তা বিএনপি জানে : টুকু নতুন কর্মসূচি দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু ঝিকরগাছায় যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা একজন বৈষম্য বিরোধী ছাত্রের আত্মকথা মৎস্যজীবী ও মৎস্য খাত চরম বৈষম্যের শিকার: উপদেষ্টা

বড় কোন নেতার অনুরোধে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করেছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন

২০২২ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন কীর্তিমান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। জায়েদ খান-নিপুণের দ্বন্দ্বের কারণে শুরু থেকে এই কমিটিকে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কমিটির নির্বাচিত ২১ জনকে কোনো মিটিংয়ে একসঙ্গে বসাতে পারেননি তারা। ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের অসহযোগিতার কারণে এমনটি হয়েছে। এ আক্ষেপ নিয়ে সমিতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।

দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদের অনুরোধে এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সম্প্রতি যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে প্রশ্ন ছিল— শিল্পী সমিতিতে মধুটা কীসের? সবাই যে এখানে আসতে চায়?

তিনি বলেন, আমি এখানে কোনো মধু খুঁজে পাইনি। শিল্পী সমিতির প্রথম সভাপতি ছিলেন রাজ্জাক ভাই, সেক্রেটারি ছিলেন আহমেদ শরীফ। এর পর খলিল ভাই সভাপতি হলেন, তখনো সেক্রেটারি আহমেদ শরীফ। তিনি (আহমেদ শরীফ) যখন সভাপতি হলেন, তখন আমি সেক্রেটারি হই। মানে শিল্পী সমিতির দ্বিতীয় সেক্রেটারি। তো সেই সময়ের কিছু অভিজ্ঞতা ও সব মিলিয়ে আমি মনে করি— একজন মানুষ যদি ভালো হয়। সবাই জানে যে সে আমাদের উপকার করবে। তাকে তো সম্মানের সঙ্গে আমাদের ভোট দেওয়া উচিত। কিন্তু ভোটের জন্য যে কাজগুলো করতে হয়, আমি তখনো কষ্ট পেয়েছি। কষ্ট পাওয়ার কারণেই কিন্তু দ্বিতীয় সেক্রেটারি হওয়ার পরও এত বছর ভোটে দাঁড়াতে আমি উৎসাহ পাইনি।

একজন রাজনীতিবিদের অনুরোধে গতবার সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জানিয়ে কাঞ্চন বলেন, নিপুণ শুধু আমাকে না, আমার ছেলেকেও ম্যানেজ করেছে। তবু আমি দাঁড়াতাম না। আমাদের দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদ অনুরোধ করেছিলেন। কারণ তার প্রতি আমার একটা ভালোবাসা-শ্রদ্ধা রয়েছে, যার কারণে আমার এ জায়গায় আসতে হয়েছে।

কমিটি নিয়ে তুলকালাম হয়ে যাওয়ার পরও পদত্যাগ না করার কারণ জানিয়ে চিত্রনায়ক কাঞ্চন বলেন, আসলে পদত্যাগ জিনিসটি ভালো নয়। আমার তরফ থেকে কোনো ক্রটি আমি করিনি। ভালো হতো আমাদের সবাই যদি এক মানসিকতার হতো। বছরে অন্তত একটি সাধারণ সভার নিয়ম আছে, কিন্তু আমরা সেটিও করতে পারিনি। আসলে এত অনিয়ম যে একা একটা মানুষ তো আর সব করতে পারে না।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীসহ ১৬ কর্মকর্তার নামে হত্যা মামলা । (প্রথম পর্ব )

বড় কোন নেতার অনুরোধে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করেছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন

আপডেট সময় ০৩:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

২০২২ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন কীর্তিমান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। জায়েদ খান-নিপুণের দ্বন্দ্বের কারণে শুরু থেকে এই কমিটিকে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কমিটির নির্বাচিত ২১ জনকে কোনো মিটিংয়ে একসঙ্গে বসাতে পারেননি তারা। ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের অসহযোগিতার কারণে এমনটি হয়েছে। এ আক্ষেপ নিয়ে সমিতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।

দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদের অনুরোধে এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সম্প্রতি যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে প্রশ্ন ছিল— শিল্পী সমিতিতে মধুটা কীসের? সবাই যে এখানে আসতে চায়?

তিনি বলেন, আমি এখানে কোনো মধু খুঁজে পাইনি। শিল্পী সমিতির প্রথম সভাপতি ছিলেন রাজ্জাক ভাই, সেক্রেটারি ছিলেন আহমেদ শরীফ। এর পর খলিল ভাই সভাপতি হলেন, তখনো সেক্রেটারি আহমেদ শরীফ। তিনি (আহমেদ শরীফ) যখন সভাপতি হলেন, তখন আমি সেক্রেটারি হই। মানে শিল্পী সমিতির দ্বিতীয় সেক্রেটারি। তো সেই সময়ের কিছু অভিজ্ঞতা ও সব মিলিয়ে আমি মনে করি— একজন মানুষ যদি ভালো হয়। সবাই জানে যে সে আমাদের উপকার করবে। তাকে তো সম্মানের সঙ্গে আমাদের ভোট দেওয়া উচিত। কিন্তু ভোটের জন্য যে কাজগুলো করতে হয়, আমি তখনো কষ্ট পেয়েছি। কষ্ট পাওয়ার কারণেই কিন্তু দ্বিতীয় সেক্রেটারি হওয়ার পরও এত বছর ভোটে দাঁড়াতে আমি উৎসাহ পাইনি।

একজন রাজনীতিবিদের অনুরোধে গতবার সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জানিয়ে কাঞ্চন বলেন, নিপুণ শুধু আমাকে না, আমার ছেলেকেও ম্যানেজ করেছে। তবু আমি দাঁড়াতাম না। আমাদের দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদ অনুরোধ করেছিলেন। কারণ তার প্রতি আমার একটা ভালোবাসা-শ্রদ্ধা রয়েছে, যার কারণে আমার এ জায়গায় আসতে হয়েছে।

কমিটি নিয়ে তুলকালাম হয়ে যাওয়ার পরও পদত্যাগ না করার কারণ জানিয়ে চিত্রনায়ক কাঞ্চন বলেন, আসলে পদত্যাগ জিনিসটি ভালো নয়। আমার তরফ থেকে কোনো ক্রটি আমি করিনি। ভালো হতো আমাদের সবাই যদি এক মানসিকতার হতো। বছরে অন্তত একটি সাধারণ সভার নিয়ম আছে, কিন্তু আমরা সেটিও করতে পারিনি। আসলে এত অনিয়ম যে একা একটা মানুষ তো আর সব করতে পারে না।