২০২২ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন কীর্তিমান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। জায়েদ খান-নিপুণের দ্বন্দ্বের কারণে শুরু থেকে এই কমিটিকে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কমিটির নির্বাচিত ২১ জনকে কোনো মিটিংয়ে একসঙ্গে বসাতে পারেননি তারা। ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের অসহযোগিতার কারণে এমনটি হয়েছে। এ আক্ষেপ নিয়ে সমিতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদের অনুরোধে এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সম্প্রতি যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে প্রশ্ন ছিল— শিল্পী সমিতিতে মধুটা কীসের? সবাই যে এখানে আসতে চায়?
তিনি বলেন, আমি এখানে কোনো মধু খুঁজে পাইনি। শিল্পী সমিতির প্রথম সভাপতি ছিলেন রাজ্জাক ভাই, সেক্রেটারি ছিলেন আহমেদ শরীফ। এর পর খলিল ভাই সভাপতি হলেন, তখনো সেক্রেটারি আহমেদ শরীফ। তিনি (আহমেদ শরীফ) যখন সভাপতি হলেন, তখন আমি সেক্রেটারি হই। মানে শিল্পী সমিতির দ্বিতীয় সেক্রেটারি। তো সেই সময়ের কিছু অভিজ্ঞতা ও সব মিলিয়ে আমি মনে করি— একজন মানুষ যদি ভালো হয়। সবাই জানে যে সে আমাদের উপকার করবে। তাকে তো সম্মানের সঙ্গে আমাদের ভোট দেওয়া উচিত। কিন্তু ভোটের জন্য যে কাজগুলো করতে হয়, আমি তখনো কষ্ট পেয়েছি। কষ্ট পাওয়ার কারণেই কিন্তু দ্বিতীয় সেক্রেটারি হওয়ার পরও এত বছর ভোটে দাঁড়াতে আমি উৎসাহ পাইনি।
একজন রাজনীতিবিদের অনুরোধে গতবার সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জানিয়ে কাঞ্চন বলেন, নিপুণ শুধু আমাকে না, আমার ছেলেকেও ম্যানেজ করেছে। তবু আমি দাঁড়াতাম না। আমাদের দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদ অনুরোধ করেছিলেন। কারণ তার প্রতি আমার একটা ভালোবাসা-শ্রদ্ধা রয়েছে, যার কারণে আমার এ জায়গায় আসতে হয়েছে।
কমিটি নিয়ে তুলকালাম হয়ে যাওয়ার পরও পদত্যাগ না করার কারণ জানিয়ে চিত্রনায়ক কাঞ্চন বলেন, আসলে পদত্যাগ জিনিসটি ভালো নয়। আমার তরফ থেকে কোনো ক্রটি আমি করিনি। ভালো হতো আমাদের সবাই যদি এক মানসিকতার হতো। বছরে অন্তত একটি সাধারণ সভার নিয়ম আছে, কিন্তু আমরা সেটিও করতে পারিনি। আসলে এত অনিয়ম যে একা একটা মানুষ তো আর সব করতে পারে না।