ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ২০১৭ সালে হঠাৎ একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে সন্তান নিয়ে হাজির হন। সে সময় তিনি জানান, তার এই সন্তানের বাবা ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার চিত্রনায়ক শাকিব খান।
এই ঘটনার পর এ পর্যন্ত অনেক জল গড়িয়েছে। অপু বিশ্বাসকে শাকিব খান ডিভোর্স দিয়েছে। দু’জনেই নিজেদের জীবনে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তবুও এখনও প্রায়সময়ই শাকিব খানের সঙ্গে সেই সম্পর্ক ও সন্তান নিয়ে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে হাজির হওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ঢালীউড কুইনখ্যাত অপু বিশ্বাসকে।
সম্প্রতি তেমনই এক অনুষ্ঠানে অপু জানালেন, আমার সেই ঘটনার পর অনেকেই মনে করেছেন, এভাবে সন্তান নিয়ে টেলিভিশনে না আসলেও পারতাম বা এটা আমার বড় ধরণের ভুল ছিল। পুরো বিষয়টিই পারিবারিকভাবে সমাধান করতে পারতাম।
এরপর এই অভিনেত্রী বললেন, ‘পারিবারিকভাবে আমরা সমাধানের অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু প্রতিবার মনে হচ্ছিল, কেউ পেছন থেকে রশিটা টেনে ধরছে। যে কারণে বাধনটা ছিঁড়ে গেছে।’
অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। সেই সংসারেও নায়কের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।
শাকিব খানকে ঘিরে অপু-বুবলী একাধিকবার বিভিন্ন বিবাদে জড়িয়েছেন। দু’জন দু’জনকে ইঙ্গিত করে প্রকাশ্যে কিংবা পরোক্ষভাবেই বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। যে কারণে এই দুইজনকে নিয়েও একাধিকবার বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
যে কারণে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বুবলীর নাম না উল্লেখ করেই এসকল বিতর্কের জবাবে অপু বললেন, ‘আমার সন্তান (আব্রাম খান জয়) না থাকলে যে প্রসঙ্গটা সৃষ্টি হয়, তাদের আমার যোগ্য বলেই আমি মনে করতাম না। কারণ যোগ্যতা একদিনে সৃষ্টি হয় না। আমি অপু বিশ্বাস, আমি একজন সুপারস্টার নায়িকা। এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ১৭ বছর চলছে। তাই তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না।’
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল এই দম্পতির বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই দিন পুত্র জয়কে নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে লাইভে আসেন অপু। ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন জনপ্রিয় এই তারকা জুটি।
এরপর ২০১৮ সালের ২০ জুলাই অভিনেত্রী শবনম বুবলীকে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান। ২০২০ সালের ২১ মার্চ জন্ম হয় তাদের সন্তান শেহজাদ খান বীরের। এরপরই শাকিবের এ সংসারেও বাঁজে ভাঙ্গনের সুর।