১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন শুরু করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। নির্ধারিত সময়ের আগেই নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। বিএনপির সঙ্গে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতাকর্মীরা। মানববন্ধন কর্মসূচিতে গুম-খুন পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত আছেন।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছে।
আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ১০টায় এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর রাজপথে এটি বিএনপির প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচি।
কর্মসূচিতে এই মুহূর্তে দুই থেকে তিন হাজার লোক উপস্থিত হয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কোন নেতা এখনো আসেননি। মূলত বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি ও মহানগরের অল্প পরিস্থিতি ও কর্মীপর্যায়ের লোক উপস্থিত হয়েছেন।
ঢাকায় বিএনপির মানববন্ধন শুরু
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় জামায়াতের মানববন্ধন
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। উপস্থিত আছেন বিএনপির শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, রেহানা আক্তার রানু, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী, এ্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হাসিনুর রহমান।
ঢাকায় বিএনপির মিত্রদলগুলোও বিভিন্ন স্পটে মানববন্ধন পালন করবে। এ উপলক্ষে ঢাকার বাইরে সারা দেশের জেলা পর্যায়েও মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি ও দলটির মিত্ররা।
সরকারবিরোধী এই পক্ষটি ক্ষমতাসীনরা যে মানবাধিকারের পরোয়া না করে রাজনৈতিক দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে একতরফাভাবে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তা পশ্চিমাসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে ফের তুলে ধরতে চায়।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় দলের মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে বিএনপি হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং তপশিল বাতিলের দাবিতে দশম দফায় ২০ দিন অবরোধ এবং তিন দফায় চার দিন হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে। সর্বশেষ দেশব্যাপী ৪৮ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি, যা গত শুক্রবার সকাল ৬টায় শেষ হয়।
একঘেয়ে হয়ে পড়ায় এক মাসের অধিক সময় ধরে চলা হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিতে সাময়িক বিরতি দিতে চায় বিএনপি। উদ্দেশ্য, নেতাকর্মীদের কিছুটা বিশ্রাম দেওয়া, আত্মগোপন অবস্থা থেকে তাদের বের করে আনা এবং নতুন করে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করা। এর অংশ হিসেবে গত ২৪ নভেম্বর থেকে হরতাল-অবরোধের ফাঁকে ফাঁকে ঢাকায় পেশাজীবী এবং কারাবন্দি ও গুম-খুন পরিবারের ব্যানারে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বিএনপি ও যুগপতের শরিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানববন্ধনের কর্মসূচি নির্বিঘ্নে পালিত হলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত হরতাল-অবরোধের বিকল্প কর্মসূচি আসতে পারে। এক্ষেত্রে ঢাকাসহ সারাদেশে গণমিছিল, সমাবেশের কর্মসূচি বিবেচনায় রয়েছে তাদের। এছাড়া আগামী ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বর দুটি জাতীয় দিবসও পালন করা হবে। বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালনের বিষয়টি চিঠি দিয়ে গত বৃহস্পতিবার পুলিশকে অবহিত করেছে বিএনপি। আর মানববন্ধনের কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করা হলে ফের হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি আসতে পারে।