আন্দোলনের মুখে বন্ধ থাকা অডিটরিয়াম ও মার্কেট নির্মাণের আবারও উদ্যোগ নিয়েছে গাইবান্ধা জেলা পরিষদ। ফলে নাগরিক সমাজ চরম ড়্গুব্ধ হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা ডাকবাংলোর পেছনের শতবর্ষী পুকুরটি ভরাট করে আধুনিক অডিটরিয়াম ও মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এতে পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় নাগরিক সমাজ আন্দোলন শুরম্ন করেন। এক পর্যায়ে কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় জেলা পরিষদ কর্তৃপড়্গ।
এ বিষয়ে জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, ডাকবাংলার পেছনের শতবর্ষী পুকুরটি মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছিল। আন্দোলনের মুখে কাজ বন্ধ করে ছিল জেলা পরিষদ। আবারও অবকাঠামো নির্মাণের পাঁয়তারা চলছে। মার্কেট নির্মাণের জন্য গাছ কাটা পড়বে যা পরিবেশের জন্য খুবই ড়্গতিকর। আমরা পুকুরটি পুনঃখনন করে পূর্বের অবস’ায় ফেরত চাই। গাইবান্ধা জেলা পরিষদ ভবনের সামনে শতবর্ষী খালটি সংস্কারপূর্বক শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সকল বাধা প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করে খালটির পানি প্রবাহ সচল করতে হবে।
বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনীতিক আমিনুল ইসলাম গোলাপ বলেন, গাইবান্ধাবাসীর বাধা ও পরিবেশ আইনবিদ অ্যাসোয়িশেন-বেলার রিটের প্রেড়্গিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় কাজ বন্ধ হয়। কিন’ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লেআউট দেওয়া হয়েছে। আমরা পরিবেশের জন্য ড়্গতিকর যে কোনো ধরনের উদ্যোগ বন্ধ চাই।
জেলা পরিষদের প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যে জায়গার ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেখানে কাজ করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমেদ মোবাইল ফোনে বলেন, আমি নতুন এসেছি, এব্যাপারে কিছু জানি না।