ইসলামীক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও মার্কেটের সাবেক উপ পরিচালকের বিরুদ্ধে নানা অপকর্ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকার আভিজাত্য এলাকায় আলিশান দুটি ফ্লাট,স্ত্রী ও শালীর একাউন্টে গচ্ছিত আছে কোটি কোটি টাকা। তথ্য সূত্রে জানা যায়,উপর পরিচালক রফিকুল ইসলাম একই পদে দীর্ঘ ২৪ বছর যাবত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।২০০১ সালে তিনি উক্ত পদে এসে মসনদে আসীন হয়ে উপরের বসদের ম্যানেজ করে রাম রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছেন। ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রমজান মাসের বরাদ্দের টাকা থেকে টাকা মেরে বিত্তবান হওয়ার খবর এখন চাউর হচ্ছে।
তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, মসজিদের খাদেমদের জন্য নির্ধারিত কক্ষের দরজাট একবারে জড়সড় অবস্থার কারণে খাদেমদের আবেদনের প্রেক্ষিতে অফিস থেকে নতুন দরজা লাগানোর জন্য ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। দরজা না লাগিয়ে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরি করে বরাদ্দকৃত টাকা খেয়ে ফেলেন। তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। গত ২০২২- ২৩ অর্থ বছরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার কাজে শত কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দিতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অংকের কমিশন গ্ৰহন করেন। স্বেচ্চাচারিতায় চলছে তাঁর দায়িত্ব ও কর্মজজ্ঞ ।
খাদেমদের মাঝে সবসময় আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে খাদেমরা তার আজ্ঞাবাহ তাকে সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। যারা তার কথা শুনে তাদের কে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করে থাকেন। তাকে তৈলমারা অনেক খাদেমকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকেন। মসজিদের অফিসিয়াল দায়িত্ব সকাল ৯.০০থেকে বিকাল ৫.০০পর্যন্ত । দায়িত্ব রেখে অফিস টাইমে বিভিন্ন স্থানে আরবি পড়িয়ে ২০/ ৩০ হাজার টাকা অর্জন করে থাকে। তাদের কাছ থেকে মসিক মাসোহারা গ্ৰহন করে বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকেন উপ পরিচালক রফিকুল ইসলাম।বায়তুল মোকাররম মসজিদে যত ভিক্ষুক ভিক্ষা করতে মসজিদের গেটগুলোতে বসে ভিক্ষাবৃত্তি করে তাদের কাছ থেকে জনপ্রিয় ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে গার্ড প্রধান নুরুল ইসলামের মাধ্যমে নিয়ে থাকেন। ঢাকার আভিজাত্য এলাকা খিলগাঁও দক্ষিণ গোড়ানে আলী আহমদ স্কুলের অপর দিকে পাশা পাশি দুটি ছয়তলা ভবনে দুটি ফ্লাটের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা এলাকার আবাল বৃদ্ধ বনিতা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। তার একটিতে তিনি থাকেন অন্যটি ভাড়া দেন।
এসকল বিষয় নিয়ে উপ পরিচালক রফিকুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করতে তার কর্যালয়ে দেখা করতে গেলে তিনি দেখা দেননি অনেক কাজে ব্যস্ত দেখিয়ে অফিস থেকে বেড়িয়ে গেছেন। পরবর্তীতে তার মোবাইল নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপ ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করে উল্লেখিত বিষয়গুলো সম্পর্কে বক্তব্য চাওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায় নি। এভাবেই চলছে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও মার্কেটের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ পরিচালক রফিকুল ইসলাম রাম রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ দুই যুগ একই পদে মসনদ আগলে রেখে মূর্তিমান আতঙ্কে রুপ নিয়েছে রফিকুল ইসলামের দপ্তর। বর্তমানে টাঙ্গাইলের ইসলামীক ফাউন্ডেশনের পরিচালক হয়ে কর্মরত আছেন।