ঢাকা ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

এমপির পদ থেকেও পদত্যাগ করলেন বরিস জনসন

‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় দেওয়া এক তদন্ত প্রতিবেদনের জেরে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) পদ থেকেও পদত্যাগ করলেন বরিস জনসন। শুক্রবার তিনি পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন।

বরিস জানান, প্রিভিলেজেস কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে তাকে অন্যায়ভাবে এমপি পদ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের কারণে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার সকালে প্রিভিলেজেস কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পান জনসন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক বিবৃতিতে বরিস দাবি করেন, কমিটি তাদের প্রতিবেদনে এমন একটি প্রমাণও হাজির করতে সক্ষম হয়নি যাতে প্রমাণ হয় যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে হাউস অব কমনসকে (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ) বিভ্রান্ত করেছেন। ওই প্রতিবেদন অসত্য ও পক্ষপাতে পরিপূর্ণ।

এর আগে গত মার্চে বরিস তদন্ত কমিটির কাছে এটা স্বীকার করেছিলেন যে, করোনা বিধি উপেক্ষা করে বন্ধুদের নিয়ে পানাহারের আয়োজন করার বিষয়ে তিনি পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। তবে তিনি এও বলেছিলেন যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তা করেননি।

‘পার্টি গেট কেলেঙ্কারি’র জেরে বরিসকে ২০২২ সালের ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হয়।

২০২০-২১ সালে করোনা মহামারি চলাকালে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি ছিল। তখন লকডাউনের বিধি ভেঙে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস নিজ কার্যালয়ে একাধিক পানাহারের আয়োজন করে। যা নিয়ে তাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। এ বিষয়টিই ‘পার্টি গেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

এমপির পদ থেকেও পদত্যাগ করলেন বরিস জনসন

আপডেট সময় ১১:২৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় দেওয়া এক তদন্ত প্রতিবেদনের জেরে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) পদ থেকেও পদত্যাগ করলেন বরিস জনসন। শুক্রবার তিনি পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন।

বরিস জানান, প্রিভিলেজেস কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে তাকে অন্যায়ভাবে এমপি পদ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের কারণে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার সকালে প্রিভিলেজেস কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পান জনসন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক বিবৃতিতে বরিস দাবি করেন, কমিটি তাদের প্রতিবেদনে এমন একটি প্রমাণও হাজির করতে সক্ষম হয়নি যাতে প্রমাণ হয় যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে হাউস অব কমনসকে (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ) বিভ্রান্ত করেছেন। ওই প্রতিবেদন অসত্য ও পক্ষপাতে পরিপূর্ণ।

এর আগে গত মার্চে বরিস তদন্ত কমিটির কাছে এটা স্বীকার করেছিলেন যে, করোনা বিধি উপেক্ষা করে বন্ধুদের নিয়ে পানাহারের আয়োজন করার বিষয়ে তিনি পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। তবে তিনি এও বলেছিলেন যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তা করেননি।

‘পার্টি গেট কেলেঙ্কারি’র জেরে বরিসকে ২০২২ সালের ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হয়।

২০২০-২১ সালে করোনা মহামারি চলাকালে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি ছিল। তখন লকডাউনের বিধি ভেঙে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস নিজ কার্যালয়ে একাধিক পানাহারের আয়োজন করে। যা নিয়ে তাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। এ বিষয়টিই ‘পার্টি গেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত।