ঢাকা ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সিগন্যালের ভুলে দুর্ঘটনা : রেল কর্তৃপক্ষ

ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের বালেশ্বরে শুক্রবার, ২ জুন সন্ধ্যার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮ জন হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯০০ জন। দুটি যাত্রীবাহী ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে কয়েক মিনিটে এই দুর্ঘটনা সিগন্যালে ত্রুটির কারণে হয়েছে বলে রেলের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে।

ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তদন্তের পরে রেলের প্রাথমিক রিপোর্টে করমণ্ডল দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সিগন্যালে ত্রুটির দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। তবে বিস্তারিত তদন্তে দুর্ঘটনার কারণ আরও স্পষ্ট হবে বলে রেলের কর্মকর্তাদের একাংশের বক্তব্য।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, আপ মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি সেই লাইনে ঢোকেইনি। ট্রেন ঢুকেছিল লুপ লাইনে। সেখানে আগে থেকে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। তার সঙ্গে সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এর মধ্যে ডাউন লাইন দিয়ে বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনেরও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কিন্তু মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল পাওয়া সত্ত্বেও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কীভাবে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক্ষেত্রে সিগন্যাল দেওয়ায় কোনও ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে রেলওয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বাহানগর বাজার স্টেশনে মেইন লাইন দিয়ে না ঢুকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। আর লুপ লাইনে আগে থেকে একটি মালবাহী ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল।

রেল মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, এরপর ঘণ্টায় ১২৭ কিলোমিটার বেগে চলা করমণ্ডল এক্সপ্রেস ওই মালবাহী ট্রেনে ধাক্কা দেয় এবং মেইন লাইনে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিপরীত দিক থেকে আসা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ধাক্কা দেয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

সিগন্যালের ভুলে দুর্ঘটনা : রেল কর্তৃপক্ষ

আপডেট সময় ১১:৪৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের বালেশ্বরে শুক্রবার, ২ জুন সন্ধ্যার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮ জন হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯০০ জন। দুটি যাত্রীবাহী ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে কয়েক মিনিটে এই দুর্ঘটনা সিগন্যালে ত্রুটির কারণে হয়েছে বলে রেলের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে।

ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তদন্তের পরে রেলের প্রাথমিক রিপোর্টে করমণ্ডল দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সিগন্যালে ত্রুটির দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। তবে বিস্তারিত তদন্তে দুর্ঘটনার কারণ আরও স্পষ্ট হবে বলে রেলের কর্মকর্তাদের একাংশের বক্তব্য।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, আপ মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি সেই লাইনে ঢোকেইনি। ট্রেন ঢুকেছিল লুপ লাইনে। সেখানে আগে থেকে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। তার সঙ্গে সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এর মধ্যে ডাউন লাইন দিয়ে বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনেরও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কিন্তু মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল পাওয়া সত্ত্বেও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কীভাবে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক্ষেত্রে সিগন্যাল দেওয়ায় কোনও ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে রেলওয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বাহানগর বাজার স্টেশনে মেইন লাইন দিয়ে না ঢুকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। আর লুপ লাইনে আগে থেকে একটি মালবাহী ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল।

রেল মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, এরপর ঘণ্টায় ১২৭ কিলোমিটার বেগে চলা করমণ্ডল এক্সপ্রেস ওই মালবাহী ট্রেনে ধাক্কা দেয় এবং মেইন লাইনে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিপরীত দিক থেকে আসা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ধাক্কা দেয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসে।