ঢাকা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: হাসিনা-পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা পুড়ে যাওয়া তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকা পরিদর্শন জামায়াতের মদনে আ.লীগ নেতাসহ ২৮ নেতাকর্মী জেলহাজতে নির্মাণসামগ্রী না কেনায় শিক্ষককে ছাত্রদল নেতার পিটুনির প্রতিবাদ আগামী নির্বাচনকে এযাবৎকালের সেরা ও ঐতিহাসিক করতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা জয় বাংলা স্লোগান নয়, কিশোর গ্রুপের বিরোধে দুই হত্যাকাণ্ড বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার দাবি জামায়াতের কেরানীগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতির বিরুদ্ধে মার্কেট দখলের অভিযোগ চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ওয়ার্কসপ গেট এলাকা থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ফরিদপুরে সড়কে ঝরল চার প্রাণ, আহত ৩০

সিলিকন ভ্যালির পর বন্ধ আরেক মার্কিন ব্যাংক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পর পতন হয়েছে আরেকটি ব্যাংকের। নিউইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংক নামের এ প্রতিষ্ঠানটিরও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে মার্কিন ফেডারেল ডিপোজিট ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন (এফডিআইসি)।

এ ব্যাংকটি অবশ্য একটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান এবং এটির পরিধিও কম ছিল। তবে ব্যাংকটি ক্রিপ্টোকারেন্সি নির্ভর ছিল। ব্যাংকটির শেয়ারের অস্বাভাবিক পতন হলে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন ব্যাংকটিতে স্থিতিশীল অবস্থা ফেরানোর চেষ্টা করা হবে।

এদিকে এফডিআইসি ঘোষণা দিয়েছে, ব্যাংকগুলো যেন সঞ্চয়কারীদের অর্থ উত্তোলনসহ যাবতীয় সব প্রয়োজন মেটাতে পারে সেজন্য তাদের বাড়তি অর্থ দেওয়া হবে।

সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা আমাদের ব্যাংক খাততে শক্তিশালীকরণে ও সাধারণ মানুষের আস্থা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

“২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, এ কারণে এখন আমাদের ব্যাংক খাত খুবই শক্ত ভীতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ‘সঞ্চয়কারীদের অর্থের নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ওই সময়কার আর্থিক সংস্করণ এবং বর্তমান পদক্ষেপ আমাদের অঙ্গীকারকে নির্দেশ করছে।”

এদিকে এর আগে গত শুক্রবার বন্ধ হয়ে যায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। বর্তমানে ওই ব্যাংকের গ্রাহকদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আটকে গেছে। তবে মার্কিন সরকার নিশ্চয়তা দিয়েছে গ্রাহকদের সঞ্চিত অর্থ তারা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বৃহস্পতিবার জানায়, তারা নগদ অর্থ জোগাড়ে লসে কিছু বন্ড বিক্রি করে দিয়েছে। এছাড়া নগদ অর্থ জোগাড় করতে বাজারে আরও ২ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এমন ঘোষণার পরই ব্যাংকটির গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। তারা গণহারে অর্থ উত্তোলন শুরু করেন। এতে একপর্যায়ে ব্যাংকটিতে ধস নামে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: হাসিনা-পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিলিকন ভ্যালির পর বন্ধ আরেক মার্কিন ব্যাংক

আপডেট সময় ০২:৪০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পর পতন হয়েছে আরেকটি ব্যাংকের। নিউইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংক নামের এ প্রতিষ্ঠানটিরও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে মার্কিন ফেডারেল ডিপোজিট ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন (এফডিআইসি)।

এ ব্যাংকটি অবশ্য একটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান এবং এটির পরিধিও কম ছিল। তবে ব্যাংকটি ক্রিপ্টোকারেন্সি নির্ভর ছিল। ব্যাংকটির শেয়ারের অস্বাভাবিক পতন হলে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন ব্যাংকটিতে স্থিতিশীল অবস্থা ফেরানোর চেষ্টা করা হবে।

এদিকে এফডিআইসি ঘোষণা দিয়েছে, ব্যাংকগুলো যেন সঞ্চয়কারীদের অর্থ উত্তোলনসহ যাবতীয় সব প্রয়োজন মেটাতে পারে সেজন্য তাদের বাড়তি অর্থ দেওয়া হবে।

সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা আমাদের ব্যাংক খাততে শক্তিশালীকরণে ও সাধারণ মানুষের আস্থা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

“২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, এ কারণে এখন আমাদের ব্যাংক খাত খুবই শক্ত ভীতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ‘সঞ্চয়কারীদের অর্থের নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ওই সময়কার আর্থিক সংস্করণ এবং বর্তমান পদক্ষেপ আমাদের অঙ্গীকারকে নির্দেশ করছে।”

এদিকে এর আগে গত শুক্রবার বন্ধ হয়ে যায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। বর্তমানে ওই ব্যাংকের গ্রাহকদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আটকে গেছে। তবে মার্কিন সরকার নিশ্চয়তা দিয়েছে গ্রাহকদের সঞ্চিত অর্থ তারা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বৃহস্পতিবার জানায়, তারা নগদ অর্থ জোগাড়ে লসে কিছু বন্ড বিক্রি করে দিয়েছে। এছাড়া নগদ অর্থ জোগাড় করতে বাজারে আরও ২ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এমন ঘোষণার পরই ব্যাংকটির গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। তারা গণহারে অর্থ উত্তোলন শুরু করেন। এতে একপর্যায়ে ব্যাংকটিতে ধস নামে।