ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনদুপুরে ব্যাংকের ১১ কোটি টাকা লুট সাজানো নাটক: মির্জা ফখরুল

১১ ই মার্চ শনিবার ২০২৩, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি টাকা দিনদুপুরে লুট হলো। কী করল, চড়থাপ্পড় দিয়ে নিয়ে গেল! কী সাজানো নাটক! সবাই মিলে এখন ভাগ করে বলছে, না না, ৯ কোটি টাকা উদ্ধার হয়নি, ৪ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকি টাকা কোথায় গেল—এর জবাব দেবে কে? শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে সব জেলা ও মহানগরে একযোগে মানববন্ধন করে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট। রাজধানী ঢাকায় যাত্রাবাড়ী থেকে টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর ব্রিজ পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার সড়কে এ মানববন্ধন হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বিএনপির কর্মসূচির পাল্টা আওয়ামী লীগও নাকি পাহারায় থাকবে। এরা কাকে পাহারা দেয়। তাহলে ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি টাকা লুট হলো কেন? আওয়ামী লীগ পাহারা দেয় আমরা যারা নিরীহ মানুষ তাদের। যারা জনগণের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করছে, তাদের গ্রেফতার করছে। কিন্তু আমরা তো কোনো অপরাধ করিনি। মানুষের ওপর জুলুম হচ্ছে, আমরা এর প্রতিবাদ করলে গ্রেপ্তার করবেন—এটা তো হতে পারে না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা থাকার খায়েশ জেগেছে। সেই নীলনকশা নিয়েই তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো একই কায়দায় ২০২৩ সালের নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু মানুষ এবার তা হতে দেবে না। উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করে জনগণ এদের পরাজিত করবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে এই সরকার পরিকল্পিতভাবে এ দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। সংবিধানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ১৯৭২ সালে যে সংবিধান হয়েছিল, পরবর্তীকালে সংবিধানে জনগণের প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছিল, তাকে ভেঙেচুরে তারা এখন একদলীয় শাসনব্যবস্থা করার লক্ষ্যে দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনের উদাহরণ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনে কোনো ভোটার বা মানুষের অংশগ্রহণ ছিল না। ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছে আগের রাত্রে। এখন আবার খায়েশ হয়েছে যে তারা ২০৪১ সাল পর্যন্ত থাকবে। সেই ব্লুপ্রিন্ট (নীলনকশা) নিয়ে তারা আবার ২০২৩ সালের নির্বাচন করতে চায় একই কায়দায়। কেন? কারণ, তাদের তো আজীবন ক্ষমতায় থাকতে হবে। এই দেশ তো তাদের জমিদারি, আমরা সব প্রজা। সেই প্রজার মতোই ব্যবহার তারা আমাদের সঙ্গে শুরু করেছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে কথায় হবে না। এই আন্দোলনে মানুষকে আরও সম্পৃক্ত করতে হবে। জনগণের উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করে এদের পরাজিত করতে হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনদুপুরে ব্যাংকের ১১ কোটি টাকা লুট সাজানো নাটক: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০১:৪০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

১১ ই মার্চ শনিবার ২০২৩, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি টাকা দিনদুপুরে লুট হলো। কী করল, চড়থাপ্পড় দিয়ে নিয়ে গেল! কী সাজানো নাটক! সবাই মিলে এখন ভাগ করে বলছে, না না, ৯ কোটি টাকা উদ্ধার হয়নি, ৪ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকি টাকা কোথায় গেল—এর জবাব দেবে কে? শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে সব জেলা ও মহানগরে একযোগে মানববন্ধন করে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট। রাজধানী ঢাকায় যাত্রাবাড়ী থেকে টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর ব্রিজ পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার সড়কে এ মানববন্ধন হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বিএনপির কর্মসূচির পাল্টা আওয়ামী লীগও নাকি পাহারায় থাকবে। এরা কাকে পাহারা দেয়। তাহলে ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি টাকা লুট হলো কেন? আওয়ামী লীগ পাহারা দেয় আমরা যারা নিরীহ মানুষ তাদের। যারা জনগণের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করছে, তাদের গ্রেফতার করছে। কিন্তু আমরা তো কোনো অপরাধ করিনি। মানুষের ওপর জুলুম হচ্ছে, আমরা এর প্রতিবাদ করলে গ্রেপ্তার করবেন—এটা তো হতে পারে না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা থাকার খায়েশ জেগেছে। সেই নীলনকশা নিয়েই তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো একই কায়দায় ২০২৩ সালের নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু মানুষ এবার তা হতে দেবে না। উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করে জনগণ এদের পরাজিত করবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে এই সরকার পরিকল্পিতভাবে এ দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। সংবিধানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ১৯৭২ সালে যে সংবিধান হয়েছিল, পরবর্তীকালে সংবিধানে জনগণের প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছিল, তাকে ভেঙেচুরে তারা এখন একদলীয় শাসনব্যবস্থা করার লক্ষ্যে দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনের উদাহরণ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনে কোনো ভোটার বা মানুষের অংশগ্রহণ ছিল না। ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছে আগের রাত্রে। এখন আবার খায়েশ হয়েছে যে তারা ২০৪১ সাল পর্যন্ত থাকবে। সেই ব্লুপ্রিন্ট (নীলনকশা) নিয়ে তারা আবার ২০২৩ সালের নির্বাচন করতে চায় একই কায়দায়। কেন? কারণ, তাদের তো আজীবন ক্ষমতায় থাকতে হবে। এই দেশ তো তাদের জমিদারি, আমরা সব প্রজা। সেই প্রজার মতোই ব্যবহার তারা আমাদের সঙ্গে শুরু করেছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে কথায় হবে না। এই আন্দোলনে মানুষকে আরও সম্পৃক্ত করতে হবে। জনগণের উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করে এদের পরাজিত করতে হবে।