ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদেরসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা। পটুয়াখালীতে অগ্নিকাণ্ডে ৬ টি দোকান পুড়ে ভস্মিভূত, ক্ষতি অর্ধ কোটি টাকা এসআই কামাল প্রত্যাহার হলেও এএসআই তানভীর বহাল তবিয়তে গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে চলছে বুঙ্গার ব্যবসা বৈষম্য বিরোধীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা গাজীপুরে দিন দিন কমছে বনভূমি-জলাশয়,বাড়ছে দখলকারী কবিরহাটের অবৈধ ইটভাটা ভেঙ্গে দিয়েছে প্রশাসন জাফলংয়ে জুম পাড় কেটে পাথর উত্তোলন, হুমকিতে বল্লাঘাট মন্দির ও ফসলি জমি মিঠাপুকুরে ওয়ার্ল্ডভিশণ কতৃক শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ দিশেহারা ইটভাটার মালিকেরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি ক্রেতা শূন্য ইটভাটা নাগেশ্বরীর কচাকাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্বসাধারণের জন্য এম্বুলেন্স প্রধান

সম্পর্ক দৃঢ় করতে রাজনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়ানোর তাগিদ মিনের

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া। সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্য দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ে আরও যোগাযোগ বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের ভবিষ্যৎ কৌশল বিষয়ক বিশেষ দূত জ্যাং সুং মিন।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত।

বিশেষ দূত বলেন, কোরিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতা বাড়াতে চাই। গত ৫০ বছরের সম্পর্কের অভিজ্ঞতায় আমরা পরবর্তী ৫০ বছরের দিকে তাকাতে চাই। আমরা দুই দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী ও আগামীর দিকে তাকাতে চাই।

তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চাই। আমাদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে হবে। আমরা কী চিন্তা করছি সেটা একে অপরকে জানাতে হবে। এটি আমার প্রেসিডেন্টের দর্শন। এজন্য তিনি আমাকে বাংলাদেশ পাঠিয়েছেন।

সুং মিন বলেন, আমাদের রাষ্ট্রপতি জানেন দুই দেশেরই ভাইব্রেন্ট ইকোনমি রয়েছে। দুই দেশের কনজুমার মার্কেটও অনেক বড়। তাই আমরা একযোগে এগিয়ে যেতে চাই।

দুই দেশের সম্পর্ক বাড়ানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ নেতাদের সফর বিনিময়ে জোর দেন বিশেষ দূত মিন। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে সফর বিনিময় করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের বিষয় কূটনৈতিক পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব। আমাদের বিবেচনা, সামনের বছর নির্বাচনের পরে তিনি আসলে বিষয়টি আরও ভালো হবে।

এ সময় বিশেষ দূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ঢাকায় এসে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। তিনিই বাংলাদেশের উন্নয়নের ভিত্তি গড়েছিলেন। তিনি স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন।

সুং মিন বলেন, কোরিয়া ও বাংলাদেশ উভয়েই স্বাধীনতার জন্য কঠিন সংগ্রাম করেছে। সে কারণে আমাদের অনেক সামঞ্জস্য রয়েছে। তাই আমরা একযোগে কাজ করতে চাই।

প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার অগ্রগতি অনেক বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে আমরা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে পারি।

ইপিএসের আওতায় আরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিশেষ দূত বলেন, কোরিয়া কর্মীদের মানবাধিকারে প্রাধান্য দেয়। তবে অন্য দেশের তুলনায় কোরিয়ায় সু্যোগ সুবিধা বেশি বলে কোরিয়ায় যেতে অনেকেই আগ্রহী। কোরিয়ানরা বাংলাদেশি কর্মীদের পরিবারের সদস্য মনে করে। তবে আরও বেশি কর্মী নেওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা আমার জন্য কঠিন।

দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি ইয়ং ওয়ানের জমি নিয়ে জটিলতা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিয়ে একটা জটিলতা হয়েছে। সমস্যাটা একটু কঠিন। আমরা এটার সমাধান করতে চাই।

দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত মিন। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মিন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদেরসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা।

সম্পর্ক দৃঢ় করতে রাজনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়ানোর তাগিদ মিনের

আপডেট সময় ১২:৫৫:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া। সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্য দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ে আরও যোগাযোগ বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের ভবিষ্যৎ কৌশল বিষয়ক বিশেষ দূত জ্যাং সুং মিন।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত।

বিশেষ দূত বলেন, কোরিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতা বাড়াতে চাই। গত ৫০ বছরের সম্পর্কের অভিজ্ঞতায় আমরা পরবর্তী ৫০ বছরের দিকে তাকাতে চাই। আমরা দুই দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী ও আগামীর দিকে তাকাতে চাই।

তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চাই। আমাদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে হবে। আমরা কী চিন্তা করছি সেটা একে অপরকে জানাতে হবে। এটি আমার প্রেসিডেন্টের দর্শন। এজন্য তিনি আমাকে বাংলাদেশ পাঠিয়েছেন।

সুং মিন বলেন, আমাদের রাষ্ট্রপতি জানেন দুই দেশেরই ভাইব্রেন্ট ইকোনমি রয়েছে। দুই দেশের কনজুমার মার্কেটও অনেক বড়। তাই আমরা একযোগে এগিয়ে যেতে চাই।

দুই দেশের সম্পর্ক বাড়ানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ নেতাদের সফর বিনিময়ে জোর দেন বিশেষ দূত মিন। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে সফর বিনিময় করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের বিষয় কূটনৈতিক পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব। আমাদের বিবেচনা, সামনের বছর নির্বাচনের পরে তিনি আসলে বিষয়টি আরও ভালো হবে।

এ সময় বিশেষ দূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ঢাকায় এসে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। তিনিই বাংলাদেশের উন্নয়নের ভিত্তি গড়েছিলেন। তিনি স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন।

সুং মিন বলেন, কোরিয়া ও বাংলাদেশ উভয়েই স্বাধীনতার জন্য কঠিন সংগ্রাম করেছে। সে কারণে আমাদের অনেক সামঞ্জস্য রয়েছে। তাই আমরা একযোগে কাজ করতে চাই।

প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার অগ্রগতি অনেক বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে আমরা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে পারি।

ইপিএসের আওতায় আরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিশেষ দূত বলেন, কোরিয়া কর্মীদের মানবাধিকারে প্রাধান্য দেয়। তবে অন্য দেশের তুলনায় কোরিয়ায় সু্যোগ সুবিধা বেশি বলে কোরিয়ায় যেতে অনেকেই আগ্রহী। কোরিয়ানরা বাংলাদেশি কর্মীদের পরিবারের সদস্য মনে করে। তবে আরও বেশি কর্মী নেওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা আমার জন্য কঠিন।

দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি ইয়ং ওয়ানের জমি নিয়ে জটিলতা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিয়ে একটা জটিলতা হয়েছে। সমস্যাটা একটু কঠিন। আমরা এটার সমাধান করতে চাই।

দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত মিন। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মিন।