ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক নিয়োগে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের পর চাঞ্চল্য তৈরি হলেও অধরা খায়রুল ইসলাম (২য় পর্ব) গায়েবী ছাত্রীকে জায়েজে প্রধান শিক্ষক মনোজের অভিনব কূটকৌশল রাজধানী হাজারীবাগে নকশা ছাড়া সাততলা বাড়ি, জানেনা রাজউক নকশা বহির্ভূত বাড়ি নির্মাণ: রাজউকের নোটিশের জবাব দিতে গড়িমসি ভবন মালিকের নির্মম নির্যাতনের বিচার পাবেন কী ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা? ঢাবি এলাকায় লম্পট বাবার যৌন নির্যাতনে মেয়ের মৃত্যু! নেত্রকোনায় আলোর ফেরিওয়ালা সেজে দুর্নীতির গডফাদার : অধ্যক্ষ ফারুকের বিচার ও অপসারণ দাবি যবিপ্রবির সামাজিক ক্লাব কতৃক -কোয়ান্টাম সাইন্স ফেস্ট -২০২৫ আয়োজন। পবিপ্রবিতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণে জলবায়ু পরিবর্তনে অর্থায়ন বিষয়ক কর্মশালা

পাসপোর্ট অফিসে দৌরাত্ম্য, দালাল চক্রের ২৬ জনের কারাদণ্ড

রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের আশপাশের এলাকায় দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। অভিযানে দালাল চক্রের ২৬ জনকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন র‌্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক এ তথ্য জানান। র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক জানান, সম্প্রতি সংঘবদ্ধ একটি দালাল চক্র আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে বেশ সরব ছিল। তারা পাসপোর্ট অফিস ও পার্শ্ববর্তী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানো পাসপোর্ট প্রার্থীদের ফরম পূরণ, ফরম সত্যায়িত করা, ব্যাংকে ফি জমা দেওয়ার কাজে সহায়তা করা করার আশ্বাস দিতো। এমনকি ভেরিফিকেশন ছাড়া ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় অতি দ্রুত পাসপোর্ট তৈরির সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করতো।

পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা এসব প্ররোচনায় রাজি না হওয়া পর্যন্ত তারা নানাভাবে বিরক্ত করতেই থাকতো। অল্প সময়ে পাসপোর্ট পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো তারা। আবার কখনো কখনো অনেক হয়রানির পর পাসপোর্ট প্রদান করতো। এসব ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হওয়ার পরও চক্রটি উপদ্রব চালাতে থাকে। বিজ্ঞপ্তিটি নোটিশ বোর্ডে টানানো ছাড়াও মাইকিং করে দালালদের সতর্ক করা হয়।

পরে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে রতন হোসেন (২৯), মো. নুরুজ্জামান (৪০), নজরুল শেখ (৪০), মো. হেলাল (৫০), খোরশেদ আলী (৩৫), বদরুল হায়দার (২৪), মো. আনোয়ার (৪৬), আবুল হোসেন (৪৩), মামুনুর রহমান (৩৫), টিপু সুলতান (২৮), নুরুল আমীনকে (৪৭), মো. মতিন (৩৩), রাসেল মামুন (৩৪), আবুল কালাম (৩৮), এমডি শাহীন রেজা (৩২) ও মো. মনিরুজ্জামানকে (৩৫) একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া ইমরান হোসেন (২৫), মো. হাসান (২৮), লিমন মিয়া (২৩), আশহাদুল হুদা (৫২), আসাদুজ্জামান (২৮), মো. দোলোয়ার হোসেন (৩৭), রেজোয়ান (২৭) ও শেখ মোছাদ্দেক (১৯) ও মো. আব্দুল্লাহ ফাহিমকে (২৪) ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি বাবুকে (২২) সাতদিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষক নিয়োগে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে

পাসপোর্ট অফিসে দৌরাত্ম্য, দালাল চক্রের ২৬ জনের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৬:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের আশপাশের এলাকায় দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। অভিযানে দালাল চক্রের ২৬ জনকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন র‌্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক এ তথ্য জানান। র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক জানান, সম্প্রতি সংঘবদ্ধ একটি দালাল চক্র আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে বেশ সরব ছিল। তারা পাসপোর্ট অফিস ও পার্শ্ববর্তী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানো পাসপোর্ট প্রার্থীদের ফরম পূরণ, ফরম সত্যায়িত করা, ব্যাংকে ফি জমা দেওয়ার কাজে সহায়তা করা করার আশ্বাস দিতো। এমনকি ভেরিফিকেশন ছাড়া ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় অতি দ্রুত পাসপোর্ট তৈরির সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করতো।

পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা এসব প্ররোচনায় রাজি না হওয়া পর্যন্ত তারা নানাভাবে বিরক্ত করতেই থাকতো। অল্প সময়ে পাসপোর্ট পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো তারা। আবার কখনো কখনো অনেক হয়রানির পর পাসপোর্ট প্রদান করতো। এসব ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হওয়ার পরও চক্রটি উপদ্রব চালাতে থাকে। বিজ্ঞপ্তিটি নোটিশ বোর্ডে টানানো ছাড়াও মাইকিং করে দালালদের সতর্ক করা হয়।

পরে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে রতন হোসেন (২৯), মো. নুরুজ্জামান (৪০), নজরুল শেখ (৪০), মো. হেলাল (৫০), খোরশেদ আলী (৩৫), বদরুল হায়দার (২৪), মো. আনোয়ার (৪৬), আবুল হোসেন (৪৩), মামুনুর রহমান (৩৫), টিপু সুলতান (২৮), নুরুল আমীনকে (৪৭), মো. মতিন (৩৩), রাসেল মামুন (৩৪), আবুল কালাম (৩৮), এমডি শাহীন রেজা (৩২) ও মো. মনিরুজ্জামানকে (৩৫) একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া ইমরান হোসেন (২৫), মো. হাসান (২৮), লিমন মিয়া (২৩), আশহাদুল হুদা (৫২), আসাদুজ্জামান (২৮), মো. দোলোয়ার হোসেন (৩৭), রেজোয়ান (২৭) ও শেখ মোছাদ্দেক (১৯) ও মো. আব্দুল্লাহ ফাহিমকে (২৪) ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি বাবুকে (২২) সাতদিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।