ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

শীতে গর্ভবতীদের জন্য উপকারী ৫ খাবার

মা হওয়ার খবর পাওয়া হলো পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর খবর। আর যারা মা হতে যাচ্ছেন তারা সবসময় চান এই সময়ে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে। গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো খাবারের ব্যাপারে সচেতন থাকা। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে শিশুর স্বাস্থ্যের বিষয়টিও। এই সময়ে পর্যাপ্ত পুষ্টি, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাবারের তালিকায় রাখা মা ও অনাগত শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

অন্যদিকে শীতকালে পাওয়া যায় পুষ্টিতে ভরপুর সবুজ শাক-সবজি এবং তাজা ফলমূল। যা গর্ভবতী মায়ের জন্য ভীষণ উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শীতকালে গর্ভবতীদের কোন ৫টি খাবার খাওয়া উচিত-

চর্বিযুক্ত মাছ

ডাঃ রোহিনী প্যাটেলের মতে,মাছ খাবারের তালিকায় একটি চমৎকার সংযোজন। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামুদ্রিক খাবারে এই পুষ্টি উপাদান প্রচুর রয়েছে। যা শিশুর ব্রেইন এবং চোখের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে। এছাড়াও এগুলো অকাল গর্ভপাত রোধ করতে সাহায্য করে।

মসুর ডাল, মটর, মটরশুটি, ছোলা, সয়াবিন এবং চিনাবাদাম হলো লেগুম জাতীয় খাবার। এগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরণের সুস্বাদু খাবারও তৈরি করা যায়। লেগুম উদ্ভিদজ্জ ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, ফোলেট এবং ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে। ভিটামিন-বি এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ফলিক অ্যাসিড (B9)। গর্ভাবস্থায় শরীরে এই পুষ্টি উপাদানগুলোর বেশি প্রয়োজন। বিশেষ করে প্রথম তিন মাসে এটি আপনার এবং আপনার অনাগত সন্তান উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০০ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট শরীরের জন্য প্রয়োজন। যা এই খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব।

মিষ্টি আলু

শীতের খাবারের কথা বলতে গেলেই চলে আসে মিষ্টি আলুর নাম। গর্ভাবস্থায় মিষ্টি আলু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট। এটি শরীরে শক্তি বাড়াতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ যা ভ্রুণের বিকাশেও সাহায্য করে। ডাঃ রোহিনী প্যাটেলের মতে এটি ত্বক, চোখ এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য ভালো।

সবুজ মটরশুঁটি

সবুজ মটরশুঁটি কাঁচা এবং রান্না দুইভাবেই খাবারের তালিকায় রাখা ভালো। এতে রয়েছে প্রচুর ফলিক এসিড যা গর্ভাবস্থায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও এগুলো জন্মগতভাবে ব্রেইন এবং মেরুদণ্ডের সমস্যা প্রতিরোধ করে। মটরশুঁটি খেলে সন্তান জন্মদানের পর পর্যাপ্ত দুধ উৎপাদন করতেও সাহায্য করে।

আখরোট

বাদাম সাধারণত ফাইবারের উৎস। আখরোট ভিটামিন ই প্রদান করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি শীতকালে ঠান্ডা, সর্দি-কাশি থেকেও বাঁচায়। আখরোট ওমেগা-৩ এরও উৎস যা শিশুর ব্রেইনের বিকাশে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় শীতে আখরোট খাওয়া ভালো।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

শীতে গর্ভবতীদের জন্য উপকারী ৫ খাবার

আপডেট সময় ০২:২০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

মা হওয়ার খবর পাওয়া হলো পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর খবর। আর যারা মা হতে যাচ্ছেন তারা সবসময় চান এই সময়ে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে। গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো খাবারের ব্যাপারে সচেতন থাকা। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে শিশুর স্বাস্থ্যের বিষয়টিও। এই সময়ে পর্যাপ্ত পুষ্টি, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাবারের তালিকায় রাখা মা ও অনাগত শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

অন্যদিকে শীতকালে পাওয়া যায় পুষ্টিতে ভরপুর সবুজ শাক-সবজি এবং তাজা ফলমূল। যা গর্ভবতী মায়ের জন্য ভীষণ উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শীতকালে গর্ভবতীদের কোন ৫টি খাবার খাওয়া উচিত-

চর্বিযুক্ত মাছ

ডাঃ রোহিনী প্যাটেলের মতে,মাছ খাবারের তালিকায় একটি চমৎকার সংযোজন। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামুদ্রিক খাবারে এই পুষ্টি উপাদান প্রচুর রয়েছে। যা শিশুর ব্রেইন এবং চোখের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে। এছাড়াও এগুলো অকাল গর্ভপাত রোধ করতে সাহায্য করে।

মসুর ডাল, মটর, মটরশুটি, ছোলা, সয়াবিন এবং চিনাবাদাম হলো লেগুম জাতীয় খাবার। এগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরণের সুস্বাদু খাবারও তৈরি করা যায়। লেগুম উদ্ভিদজ্জ ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, ফোলেট এবং ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে। ভিটামিন-বি এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ফলিক অ্যাসিড (B9)। গর্ভাবস্থায় শরীরে এই পুষ্টি উপাদানগুলোর বেশি প্রয়োজন। বিশেষ করে প্রথম তিন মাসে এটি আপনার এবং আপনার অনাগত সন্তান উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০০ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট শরীরের জন্য প্রয়োজন। যা এই খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব।

মিষ্টি আলু

শীতের খাবারের কথা বলতে গেলেই চলে আসে মিষ্টি আলুর নাম। গর্ভাবস্থায় মিষ্টি আলু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট। এটি শরীরে শক্তি বাড়াতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ যা ভ্রুণের বিকাশেও সাহায্য করে। ডাঃ রোহিনী প্যাটেলের মতে এটি ত্বক, চোখ এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য ভালো।

সবুজ মটরশুঁটি

সবুজ মটরশুঁটি কাঁচা এবং রান্না দুইভাবেই খাবারের তালিকায় রাখা ভালো। এতে রয়েছে প্রচুর ফলিক এসিড যা গর্ভাবস্থায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও এগুলো জন্মগতভাবে ব্রেইন এবং মেরুদণ্ডের সমস্যা প্রতিরোধ করে। মটরশুঁটি খেলে সন্তান জন্মদানের পর পর্যাপ্ত দুধ উৎপাদন করতেও সাহায্য করে।

আখরোট

বাদাম সাধারণত ফাইবারের উৎস। আখরোট ভিটামিন ই প্রদান করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি শীতকালে ঠান্ডা, সর্দি-কাশি থেকেও বাঁচায়। আখরোট ওমেগা-৩ এরও উৎস যা শিশুর ব্রেইনের বিকাশে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় শীতে আখরোট খাওয়া ভালো।