ঢাকা ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

বাংলাদেশ-ভুটান-নেপালের প্রবেশদ্বার পশ্চিমবঙ্গ: মমতা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের গেটওয়ে বা প্রবেশদ্বার হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাজ্যটির রাজধানী কলকাতায় জি-২০ সম্মেলনের আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট।

অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ভৌগলিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্য। কারণ আমাদের রাজ্যটি উত্তর-পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারসহ আরও কয়েকটি রাজ্য ও দেশের প্রবেশদ্বার। তিনি বলেন, ‘সমগ্র বিশ্বই আমাদের মাতৃভূমি। এখানকার মানুষ অন্য দেশগুলোর মধ্যে কোনও বৈষম্য করে না… এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা আমাদের পরিবারের সদস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল যাতে মানুষ পায় তা নিশ্চিত করতে আমরা ‘আপনার দোরগোড়ায় সরকার’ (দুয়ারে সরকার) কর্মসূচি চালু করেছি। এই কর্মসূচি জাতীয় পুরস্কার জিতেছে।’

পশ্চিমবঙ্গের ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখানে শিল্প ও পর্যটন বাণিজ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই বিনিয়োগকারীদের পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

তিন দিনব্যাপী এই জি২০ ইভেন্ট চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সোমবার সম্মেলনের প্রথম দিনের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘ডিজিটাল ফাইনান্সিয়াল সিস্টেম’। এছাড়া তিন দিনের এই সম্মেলন রেমিট্যান্স খরচ এবং এসএমই ফাইন্যান্স প্রাপ্যতার ওপরও ফোকাস করবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিশ্বব্যাংক, মনিটারি অথরিটি অব সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স এবং এস্তোনিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১২ জন আন্তর্জাতিক বক্তা এই জি২০ সভায় যোগ দিচ্ছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

বাংলাদেশ-ভুটান-নেপালের প্রবেশদ্বার পশ্চিমবঙ্গ: মমতা

আপডেট সময় ০২:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের গেটওয়ে বা প্রবেশদ্বার হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাজ্যটির রাজধানী কলকাতায় জি-২০ সম্মেলনের আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট।

অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ভৌগলিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্য। কারণ আমাদের রাজ্যটি উত্তর-পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারসহ আরও কয়েকটি রাজ্য ও দেশের প্রবেশদ্বার। তিনি বলেন, ‘সমগ্র বিশ্বই আমাদের মাতৃভূমি। এখানকার মানুষ অন্য দেশগুলোর মধ্যে কোনও বৈষম্য করে না… এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা আমাদের পরিবারের সদস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল যাতে মানুষ পায় তা নিশ্চিত করতে আমরা ‘আপনার দোরগোড়ায় সরকার’ (দুয়ারে সরকার) কর্মসূচি চালু করেছি। এই কর্মসূচি জাতীয় পুরস্কার জিতেছে।’

পশ্চিমবঙ্গের ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখানে শিল্প ও পর্যটন বাণিজ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই বিনিয়োগকারীদের পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

তিন দিনব্যাপী এই জি২০ ইভেন্ট চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সোমবার সম্মেলনের প্রথম দিনের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘ডিজিটাল ফাইনান্সিয়াল সিস্টেম’। এছাড়া তিন দিনের এই সম্মেলন রেমিট্যান্স খরচ এবং এসএমই ফাইন্যান্স প্রাপ্যতার ওপরও ফোকাস করবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিশ্বব্যাংক, মনিটারি অথরিটি অব সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স এবং এস্তোনিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১২ জন আন্তর্জাতিক বক্তা এই জি২০ সভায় যোগ দিচ্ছেন।