ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার নির্বাচন নিয়ে নাটকীয়তা

যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় মধ্যবর্তী নির্বাচন। এতে সংসদের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি।

এ নির্বাচনের আগে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ন্যান্সি পেলোসি। কিন্তু নির্বাচনে তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে এখানেই তার স্পিকার ক্যারিয়ারে সমাপ্তি ঘটে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে থেকে কেউ প্রতিনিধি পরিষদের নতুন স্পিকার নির্বাচিত হবেন। আর স্পিকার নির্বাচনের জন্য রিপাবলিকান পার্টি দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয় কেভিন ম্যাকার্থিকে। তবে তার স্পিকার নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদে হয়েছে নাটকীয়তা।

কারণ রিপাবলিকান পার্টির নিজ দলেরই কেউ কেউ কেভিন ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদে নতুন স্পিকার নির্বাচনে তিনবার ভোটাভুটি হয়েছে। কিন্তু তিনবারই ব্যর্থ হয়েছেন ম্যাকার্থি। তিনবার নির্বাচন আয়োজন করেও নতুন স্পিকার নির্বাচিত না হওয়ায় এরপর তা মুলতবি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে ১৯২৪ সালের পর এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। কেন ম্যাকার্থিকে ভোট দিচ্ছেন না তার নিজ দলের সদস্যরা?

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, ম্যাকার্থিকে রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত দুইভাবেই অনেকে অপছন্দ করেন। ফলে তাকে তারা সমর্থন দিতে চাচ্ছেন না। এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা ২২২ আসন পেয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে মাত্র চারটি আসন বেশি পেয়েছে দলটি। ফলে ম্যাকার্থির স্পিকার হতে প্রায় সবার সমর্থন লাগবে। আর এ বিষয়টিরই সুবিধা নিচ্ছেন কিছু কিছু আইনপ্রণেতা। যদি দলটি আরও আসন পেত তাহলে এমনটি হতো না। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত ম্যাকার্থিই স্পিকার হবেন। তবে এর আগে কিছু কিছু আইনপ্রণেতা নিজেদের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা চালাবেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার নির্বাচন নিয়ে নাটকীয়তা

আপডেট সময় ০১:৩১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় মধ্যবর্তী নির্বাচন। এতে সংসদের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি।

এ নির্বাচনের আগে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ন্যান্সি পেলোসি। কিন্তু নির্বাচনে তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে এখানেই তার স্পিকার ক্যারিয়ারে সমাপ্তি ঘটে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে থেকে কেউ প্রতিনিধি পরিষদের নতুন স্পিকার নির্বাচিত হবেন। আর স্পিকার নির্বাচনের জন্য রিপাবলিকান পার্টি দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয় কেভিন ম্যাকার্থিকে। তবে তার স্পিকার নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদে হয়েছে নাটকীয়তা।

কারণ রিপাবলিকান পার্টির নিজ দলেরই কেউ কেউ কেভিন ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদে নতুন স্পিকার নির্বাচনে তিনবার ভোটাভুটি হয়েছে। কিন্তু তিনবারই ব্যর্থ হয়েছেন ম্যাকার্থি। তিনবার নির্বাচন আয়োজন করেও নতুন স্পিকার নির্বাচিত না হওয়ায় এরপর তা মুলতবি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে ১৯২৪ সালের পর এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। কেন ম্যাকার্থিকে ভোট দিচ্ছেন না তার নিজ দলের সদস্যরা?

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, ম্যাকার্থিকে রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত দুইভাবেই অনেকে অপছন্দ করেন। ফলে তাকে তারা সমর্থন দিতে চাচ্ছেন না। এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা ২২২ আসন পেয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে মাত্র চারটি আসন বেশি পেয়েছে দলটি। ফলে ম্যাকার্থির স্পিকার হতে প্রায় সবার সমর্থন লাগবে। আর এ বিষয়টিরই সুবিধা নিচ্ছেন কিছু কিছু আইনপ্রণেতা। যদি দলটি আরও আসন পেত তাহলে এমনটি হতো না। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত ম্যাকার্থিই স্পিকার হবেন। তবে এর আগে কিছু কিছু আইনপ্রণেতা নিজেদের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা চালাবেন।