ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩

এক মাস সাগরে ভেসে ইন্দোনেশিয়া পৌঁছালেন ৫৭ রোহিঙ্গা

সাগরে এক মাস ভেসে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে পৌঁছেছেন ৫৭ জন রোহিঙ্গা। রোববার এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আচেহ পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা উইনার্দি। এই রোহিঙ্গাদের সবাই পুরুষ।

উইনার্দি বলেন, ‘কাঠের তৈরি নৌকাটির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল কয়েক দিন আগেই। সেই অবস্থাতেই কেবল বাতাস ও সাগরের ঢেউয়ে ভেসে সেটি আচেহ প্রদেশের লাদং গ্রামের সমুদ্রতীরে পৌঁছায়। এক মাস আগে রওনা দিয়েছিল তারা।’  মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ বর্মী জনগোষ্ঠীর ব্যাপক নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলিমরা গত কয়েক বছর ধরে দেশটি থেকে সাগরপথে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের উদ্দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ মালয়েশিয়া।

আবার ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে দেশটি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারাও সম্প্রতি টেকনাফ থেকে মালয়েশিয়া কিংবা ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে নৌযাত্রা করছেন। জাতিসংঘভিত্তিক শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে সাগরপথে যাত্রা করেছেন ১ হাজার ২ শ’রও বেশি রোহিঙ্গা।

সম্প্রতি আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি এলাকায় রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি ট্রলার ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসছে বলেও সংবাদ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। তবে আচেহ প্রদেশে পৌঁছানো এই ৫৭ রোহিঙ্গা কোথা থেকে রওনা হয়েছিলেন, সে সম্পর্কে এখনও নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আন্দানমান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এলাকার সেই ট্রলারটির সঙ্গে এই যাত্রীদের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা— তা ও নিশ্চিত নয়।

আচেহ প্রদেশের অভিবাসন বিভাগের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, এই শরণার্থীদের আপাতত একটি সরকারি কেন্দ্রে রাখা হবে। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর নির্মম নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা কয়েক লাখসহ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের ভিড়ঠাসা শরণার্থী শিবিরগুলোতে অবস্থান করছে।

বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব তো দেওয়াই হয় না, উল্টো তাদেরকে অনুপ্রবেশকারী, দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া অবৈধ শরণার্থী হিসেবে বিবেচনা করে দেশটির সেনাবাহিনী ও বর্মী জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশেও শরণার্থী শিবিরে যেসব রোহিঙ্গা আছেন, তাদের কাজের সুযোগ খুবই কম।

এই সুযোগে মানবপাচারকারীরা তাদেরকে মালয়েশিয়ার মতো দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কাজ জুটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাগরে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় প্রলুব্ধ করে। গত দুই মাসে এই ধরনের অন্তত ৫টি নৌকা বাংলাদেশ ছেড়েছে বলে জানা গেছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

এক মাস সাগরে ভেসে ইন্দোনেশিয়া পৌঁছালেন ৫৭ রোহিঙ্গা

আপডেট সময় ০৪:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

সাগরে এক মাস ভেসে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে পৌঁছেছেন ৫৭ জন রোহিঙ্গা। রোববার এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আচেহ পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা উইনার্দি। এই রোহিঙ্গাদের সবাই পুরুষ।

উইনার্দি বলেন, ‘কাঠের তৈরি নৌকাটির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল কয়েক দিন আগেই। সেই অবস্থাতেই কেবল বাতাস ও সাগরের ঢেউয়ে ভেসে সেটি আচেহ প্রদেশের লাদং গ্রামের সমুদ্রতীরে পৌঁছায়। এক মাস আগে রওনা দিয়েছিল তারা।’  মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ বর্মী জনগোষ্ঠীর ব্যাপক নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলিমরা গত কয়েক বছর ধরে দেশটি থেকে সাগরপথে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের উদ্দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ মালয়েশিয়া।

আবার ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে দেশটি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারাও সম্প্রতি টেকনাফ থেকে মালয়েশিয়া কিংবা ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে নৌযাত্রা করছেন। জাতিসংঘভিত্তিক শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে সাগরপথে যাত্রা করেছেন ১ হাজার ২ শ’রও বেশি রোহিঙ্গা।

সম্প্রতি আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি এলাকায় রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি ট্রলার ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসছে বলেও সংবাদ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। তবে আচেহ প্রদেশে পৌঁছানো এই ৫৭ রোহিঙ্গা কোথা থেকে রওনা হয়েছিলেন, সে সম্পর্কে এখনও নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আন্দানমান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এলাকার সেই ট্রলারটির সঙ্গে এই যাত্রীদের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা— তা ও নিশ্চিত নয়।

আচেহ প্রদেশের অভিবাসন বিভাগের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, এই শরণার্থীদের আপাতত একটি সরকারি কেন্দ্রে রাখা হবে। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর নির্মম নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা কয়েক লাখসহ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের ভিড়ঠাসা শরণার্থী শিবিরগুলোতে অবস্থান করছে।

বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব তো দেওয়াই হয় না, উল্টো তাদেরকে অনুপ্রবেশকারী, দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া অবৈধ শরণার্থী হিসেবে বিবেচনা করে দেশটির সেনাবাহিনী ও বর্মী জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশেও শরণার্থী শিবিরে যেসব রোহিঙ্গা আছেন, তাদের কাজের সুযোগ খুবই কম।

এই সুযোগে মানবপাচারকারীরা তাদেরকে মালয়েশিয়ার মতো দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কাজ জুটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাগরে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় প্রলুব্ধ করে। গত দুই মাসে এই ধরনের অন্তত ৫টি নৌকা বাংলাদেশ ছেড়েছে বলে জানা গেছে।