ঢাকা ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

দৈনিক করোনা শনাক্তের সংখ্যা আর প্রকাশ করবে না চীন

চীনে সম্প্রতি করোনার প্রকোপ বেশ বেড়েছে। মানুষের মধ্যে অসন্তোষ এবং বিক্ষোভের কারণে ভাইরাস-বিরোধী কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করার পর এশিয়ার এই দেশটিতে দেখা দিয়েছে করোনা সংক্রমণের সুনামি।

এই পরিস্থিতিতে চীনে করোনার ঢেউয়ের নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নিয়েও ছড়াচ্ছে নানা তথ্য। আর এর মধ্যেই নতুন করে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আর প্রকাশ না করার কথা জানিয়েছে চীন। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এদিকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনও কারণ সামনে আনেনি চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘রেফারেন্স এবং গবেষণার জন্য কোভিডের প্রাসঙ্গিক তথ্য চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সংস্থার মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

এদিকে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে এক দিনে দেশটিতে অন্তত ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। আর সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ করোনা প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়ে উঠেছে চীন। গত শুক্রবার দেশটির সরকারের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন; যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ। সেই হিসাবে দৈনিক সংক্রমণ গড়ে ১ কোটি ২২ লাখ।

২০২২ সালের জানুয়ারিতে চীনে দৈনিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪০ লাখ মানুষ। সেই সংখ্যাকেও এবার ছাড়িয়ে গেছে দেশটি। বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনার সংক্রমণ এই দেশে। যা চীনকে করোনার চতুর্থ ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ধারণা, দেশটিতে এবার করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সিচুয়ান প্রদেশ এবং রাজধানী বেজিংয়ের অর্ধেকেরও বেশি বাসিন্দা এতে সংক্রমিত হয়েছেন।

মহামারি থেকে রক্ষার কৌশল সম্পর্কে জনগণকে সঠিক সময়ে তথ্য সরবরাহ করতে না পারা এবং বয়স্কদের টিকাদানে ব্যর্থতার কারণে দেশটিতে ভাইরাসটির ব্যাপক উত্থান ঘটেছে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

দৈনিক করোনা শনাক্তের সংখ্যা আর প্রকাশ করবে না চীন

আপডেট সময় ০৩:৪৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

চীনে সম্প্রতি করোনার প্রকোপ বেশ বেড়েছে। মানুষের মধ্যে অসন্তোষ এবং বিক্ষোভের কারণে ভাইরাস-বিরোধী কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করার পর এশিয়ার এই দেশটিতে দেখা দিয়েছে করোনা সংক্রমণের সুনামি।

এই পরিস্থিতিতে চীনে করোনার ঢেউয়ের নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নিয়েও ছড়াচ্ছে নানা তথ্য। আর এর মধ্যেই নতুন করে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আর প্রকাশ না করার কথা জানিয়েছে চীন। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এদিকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনও কারণ সামনে আনেনি চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘রেফারেন্স এবং গবেষণার জন্য কোভিডের প্রাসঙ্গিক তথ্য চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সংস্থার মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

এদিকে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে এক দিনে দেশটিতে অন্তত ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। আর সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ করোনা প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়ে উঠেছে চীন। গত শুক্রবার দেশটির সরকারের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন; যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ। সেই হিসাবে দৈনিক সংক্রমণ গড়ে ১ কোটি ২২ লাখ।

২০২২ সালের জানুয়ারিতে চীনে দৈনিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪০ লাখ মানুষ। সেই সংখ্যাকেও এবার ছাড়িয়ে গেছে দেশটি। বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনার সংক্রমণ এই দেশে। যা চীনকে করোনার চতুর্থ ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ধারণা, দেশটিতে এবার করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সিচুয়ান প্রদেশ এবং রাজধানী বেজিংয়ের অর্ধেকেরও বেশি বাসিন্দা এতে সংক্রমিত হয়েছেন।

মহামারি থেকে রক্ষার কৌশল সম্পর্কে জনগণকে সঠিক সময়ে তথ্য সরবরাহ করতে না পারা এবং বয়স্কদের টিকাদানে ব্যর্থতার কারণে দেশটিতে ভাইরাসটির ব্যাপক উত্থান ঘটেছে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন।