ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩
খালেদ মুহিউদ্দীনকে হাসনাত

আমি ১০ জনের লিস্ট দিয়েছি এমন প্রমাণ কি আছে?

জনপ্রিয় উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দীনের মুখোমুখি হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। খালেদ মুহিউদ্দীনের লাইভ টক শো ঠিকানা অনুষ্ঠানে হাসনাত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এসময় হাসনাত আবদুল্লাহও পাল্টা প্রশ্ন করেন উপস্থাপক মুহীউদ্দীনকে। ওই প্রশ্নে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন খালেদ।

টক শোর শুরুতে মুহিউদ্দীন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আপনি আহ্বায়ক। আমরা জানি যে, ১৫৮ জন সমন্বয়ক আছেন। আরও অনেকেই এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু আপনি যে, এটার আহ্বায়ক হলেন এটা কি কোনো নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে হয়েছে?

উত্তরে হাসনাত আব্দুল্লাহ পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে মুহিউদ্দীনকে বলেন, আমরা আপনাকে চিনি খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। তখন খালেদ বলেন, আমি এখনও ঠিকানায়। হাসনাত বলেন, আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে চাই, ফ্যাক্ট এজামশন এবং হেজিম এ বিষয়গুলো এক কিনা?

উত্তরে খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, এটা অনেক বড় দার্শনিক কথা বলা যায়। তাছাড়া ফ্যাক্ট এবং এজামশন এক নয়।

পরে হাসনাত বলেন, ফ্যাক্ট এবং এজামশন যদি এক না হয় তাহলে আপনি ওই দিন একটা প্রোগ্রামে বলেছেন আমি সময় টেলিভিশনে ১০ জনের একটা লিস্ট ধরাই দিয়া আমি চলে আসছি, তার মানে আপনি ক্লেইম করেছেন, কোনো প্রোপার সার্পোটিং ডিটেইলস ছাড়া। আপনি কিন্ত একটা ক্লেইম করেছেন যে, হাসনাত আবদুল্লাহ ১০ জনের একটা লিস্ট ধরিয়ে দিয়ে চলে আসছে। এখন এটার সার্পোটিং ডিটেইলসটা কী? আপনার কাছে এটার কি কোনো প্রমাণ আছে যে, আমি ১০ জনের লিস্ট দিয়েছি?

উত্তরে খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, এএফপি একটি রিপোর্ট করেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে আপনি ১০ জনের অথবা ৫ জনের একটা তালিকা লিস্ট দিয়েছেন। সেখোনে বলা হয়েছে, হাসনাত আবদুল্লাহ ১০ জনকে চাকরিচ্যুতির কথা বলেছেন। পরবর্তীতে আপনি বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। পোস্টে বলেছেন আপনি সেখানে যান নাই এবং আপনি যাওয়ার পরে যে ৫ জনকে চাকরি থেকে বাদ করা হয়েছে সেই ৫ জনকে চাকরিচ্যুত করার ব্যাপারেও আপনি আপত্তি জানিয়েছেন।

পরে হাসনাত বলেন, আপনি এএফপির বরাত দেন নাই। বরং আপনি আপনার জায়গা থেকে ক্লেইম করেছেন। আমি ১০ জনের লিস্ট ধরিয়ে চলে আসছি।  যখন আপনাদের কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য আসে তখন আমাদেরকে আহত করে যোগ করেন হাসনাত। কারণ সময় টেলিভিশন যে ধরনের গুণ্ডামি করেছে। এরা জার্নালিজম করে নাই। তারা এক ধরনের গুণ্ডামি করেছে। সেই বিষয়ে কথা বলার জন্য সেখানে গিয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করবো আপনাদের কাছ থেকে বস্তনিষ্ঠ সাংবাদিকতা। যে সাংবাদিকতার জন্য খালেদ মুহিউদ্দীনরা বছরের পর বছর লড়াই করেছেন। সেই ধরনের সাংবাদিকতা, ক্ষমতাকে প্রশ্ন করার সাংবাদিকতা অব্যাহত থাকবে। তবে সেটা ক্লিক ব্যাজড জার্নালিজম যাতে না হয়। ব্যক্তিগত ক্যারেক্টারেরে জন্য না হয়।

পরে আবার খালেদ প্রশ্ন করেন, আপনি সেখানে সময় টিভির গুণ্ডামি প্রতিরোধ করতে গিয়েছিলেন?

উত্তরে হাসনাত বলেন, আসলে সেখানে যে প্রক্রিয়ায় যাওয়ার কথা, সে প্রক্রিয়ায় যাওয়া হয়নি। এজন্য আমি ক্ষমাও চেয়েছি। তবে এটা কারও এজেন্ডা বা কারও পক্ষ থেকে যাওয়া হয়নি। এটা নিজে উদ্যোগে অপসাংবাদিকত বন্ধে সময় টেলিভিশনের কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য যাওয়া হয়েছে। যাতে বিরোধী দল এবং মতকে কেউ দমন না করে। তবে প্রেস কাউন্সিল, তথ্য উপদেষ্টা কাউকে জানানো হয়নি।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে হাসনাত বলেন, যেমন করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে পতন করার জন্য কারও কাছে যাওয়া হয়নি তেমনি এখানেও একইভাবে গিয়েছি। সেখানে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ হাসান সাহেবের সঙ্গে বিভিন্ন অপসাংবাদিকতার বিষয়ে কথা বলেছি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

খালেদ মুহিউদ্দীনকে হাসনাত

আমি ১০ জনের লিস্ট দিয়েছি এমন প্রমাণ কি আছে?

আপডেট সময় ০৪:৫৫:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

জনপ্রিয় উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দীনের মুখোমুখি হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। খালেদ মুহিউদ্দীনের লাইভ টক শো ঠিকানা অনুষ্ঠানে হাসনাত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এসময় হাসনাত আবদুল্লাহও পাল্টা প্রশ্ন করেন উপস্থাপক মুহীউদ্দীনকে। ওই প্রশ্নে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন খালেদ।

টক শোর শুরুতে মুহিউদ্দীন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আপনি আহ্বায়ক। আমরা জানি যে, ১৫৮ জন সমন্বয়ক আছেন। আরও অনেকেই এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু আপনি যে, এটার আহ্বায়ক হলেন এটা কি কোনো নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে হয়েছে?

উত্তরে হাসনাত আব্দুল্লাহ পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে মুহিউদ্দীনকে বলেন, আমরা আপনাকে চিনি খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। তখন খালেদ বলেন, আমি এখনও ঠিকানায়। হাসনাত বলেন, আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে চাই, ফ্যাক্ট এজামশন এবং হেজিম এ বিষয়গুলো এক কিনা?

উত্তরে খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, এটা অনেক বড় দার্শনিক কথা বলা যায়। তাছাড়া ফ্যাক্ট এবং এজামশন এক নয়।

পরে হাসনাত বলেন, ফ্যাক্ট এবং এজামশন যদি এক না হয় তাহলে আপনি ওই দিন একটা প্রোগ্রামে বলেছেন আমি সময় টেলিভিশনে ১০ জনের একটা লিস্ট ধরাই দিয়া আমি চলে আসছি, তার মানে আপনি ক্লেইম করেছেন, কোনো প্রোপার সার্পোটিং ডিটেইলস ছাড়া। আপনি কিন্ত একটা ক্লেইম করেছেন যে, হাসনাত আবদুল্লাহ ১০ জনের একটা লিস্ট ধরিয়ে দিয়ে চলে আসছে। এখন এটার সার্পোটিং ডিটেইলসটা কী? আপনার কাছে এটার কি কোনো প্রমাণ আছে যে, আমি ১০ জনের লিস্ট দিয়েছি?

উত্তরে খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, এএফপি একটি রিপোর্ট করেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে আপনি ১০ জনের অথবা ৫ জনের একটা তালিকা লিস্ট দিয়েছেন। সেখোনে বলা হয়েছে, হাসনাত আবদুল্লাহ ১০ জনকে চাকরিচ্যুতির কথা বলেছেন। পরবর্তীতে আপনি বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। পোস্টে বলেছেন আপনি সেখানে যান নাই এবং আপনি যাওয়ার পরে যে ৫ জনকে চাকরি থেকে বাদ করা হয়েছে সেই ৫ জনকে চাকরিচ্যুত করার ব্যাপারেও আপনি আপত্তি জানিয়েছেন।

পরে হাসনাত বলেন, আপনি এএফপির বরাত দেন নাই। বরং আপনি আপনার জায়গা থেকে ক্লেইম করেছেন। আমি ১০ জনের লিস্ট ধরিয়ে চলে আসছি।  যখন আপনাদের কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য আসে তখন আমাদেরকে আহত করে যোগ করেন হাসনাত। কারণ সময় টেলিভিশন যে ধরনের গুণ্ডামি করেছে। এরা জার্নালিজম করে নাই। তারা এক ধরনের গুণ্ডামি করেছে। সেই বিষয়ে কথা বলার জন্য সেখানে গিয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করবো আপনাদের কাছ থেকে বস্তনিষ্ঠ সাংবাদিকতা। যে সাংবাদিকতার জন্য খালেদ মুহিউদ্দীনরা বছরের পর বছর লড়াই করেছেন। সেই ধরনের সাংবাদিকতা, ক্ষমতাকে প্রশ্ন করার সাংবাদিকতা অব্যাহত থাকবে। তবে সেটা ক্লিক ব্যাজড জার্নালিজম যাতে না হয়। ব্যক্তিগত ক্যারেক্টারেরে জন্য না হয়।

পরে আবার খালেদ প্রশ্ন করেন, আপনি সেখানে সময় টিভির গুণ্ডামি প্রতিরোধ করতে গিয়েছিলেন?

উত্তরে হাসনাত বলেন, আসলে সেখানে যে প্রক্রিয়ায় যাওয়ার কথা, সে প্রক্রিয়ায় যাওয়া হয়নি। এজন্য আমি ক্ষমাও চেয়েছি। তবে এটা কারও এজেন্ডা বা কারও পক্ষ থেকে যাওয়া হয়নি। এটা নিজে উদ্যোগে অপসাংবাদিকত বন্ধে সময় টেলিভিশনের কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য যাওয়া হয়েছে। যাতে বিরোধী দল এবং মতকে কেউ দমন না করে। তবে প্রেস কাউন্সিল, তথ্য উপদেষ্টা কাউকে জানানো হয়নি।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে হাসনাত বলেন, যেমন করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে পতন করার জন্য কারও কাছে যাওয়া হয়নি তেমনি এখানেও একইভাবে গিয়েছি। সেখানে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ হাসান সাহেবের সঙ্গে বিভিন্ন অপসাংবাদিকতার বিষয়ে কথা বলেছি।