সবুজ পাহাড়ের মাঝে সারি সারি আনারস গাছ। প্রাকৃতিক সৌন্দযের সব কিছু যেনো এক বিএনকে আনারস বাগানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কেউ প্রবাস ফেরত, কেউ বা উচ্চ শিক্ষিত তরুণ যুবক। কেউ ব্যবসায়ী। আবার কেউ রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মানূষ গড়ার কারিগড় অর্থাৎ শিক্ষক। কিন্তু তাদের সবারই ব্যস্ততা এখন শুধু বিএনকে আনারস বাগান ঘিরে।
দুচোখে সফলতার স্বপ্ন নিয়ে তাদের সময় কাটে আনারস বাগানের কর্মযজ্ঞে। বাগানে তাদের সকলের পরিশ্রমের ফলে চমক সৃষ্টি হয়েছে। আনারস চাষে অধিক লাভের সম্ভাবনার মুখ দেখছেন তারা। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউপির খর্দাপাড়া ও বারকোট এলাকার টিলার ফাঁকে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে উপজেলার বিএনকে উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নিকটে বিএনকে আনারস বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে আনারসের বাগান। পাশাপাশি আছে মাল্টাসহ অন্যান্য ফসল। তবে সবুজঘেরা টিলায় মাঝে দৃষ্টি দিলে যে কারও দৃষ্টি থমকে যাবে। পরিপাটি আনারস বাগানের সারি সারিতে ফুলের মত ফুটে উঠা রসালো আনারসে। এ যেন হাতের কাছে আনারসের স্বর্গরাজ্য।
বিএনকে আনারস বাগানের একাধিক চাষি প্রতিবেদককে বলেন, আমরা কয়েকজন যৌথভাবে এক বছরি ফসল আনারস রোপন করি। চারা লাগানোর পর প্রায় ১৫ মাস সময় লেগেছে ফল পরিপক্ব হতে। এতে জমি লিজ, চারা রোপণ, শ্রমিক খরচসহ প্রায় ৪ একর জমি চাষে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবে আশা করছি ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি লাভও বেশি হবে। আজ প্রথম আনারস কাটা শুরু হয়েছে এবং রমজান মাসেই বিক্রি শেষ হবে।
তারা আরও বলেন, আজ থেকে আনারস বিক্রি শুরু হয়েছে। ঢাকাদক্ষিণ বাজার থেকে অনেকে আনারস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। রমজান মাসে আনারস বিক্রির ধুম পড়বে।
আনারস বাগানে কর্মরত শ্রমিক বাবলু বলেন, জৈব সার ছাড়া কোনো ধরনের কীটনাশক এই ফসলে ব্যবহার করা হয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাপগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাশরাফুল আলম বলেন, প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা। পাশাপাশি আনারসের জন্যও এ এলাকা বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। তবে এসব চাষিদের জন্য সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার সুযোগ নেই। ফলে আমরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকি। ইত্যিমধ্যে আমরা জেনেছি অনাবাদী জমিতে আনারস সহ বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদনে সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্ঠি হচ্ছে। চলতি বছরে এই উপজেলায় প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আনারস চাষ হয়েছে।