গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর/সংস্থার অন্তর্ভুক্ত বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সামাজিকমাধ্যমে মত প্রকাশের কারণে তাদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করা হচ্ছে।
পরিষদের মতে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা মৌলিক অধিকার ও চাকুরিবিধির পরিপন্থী।
এ বিষয়ে পরিষদের সাধারণ সভায় আলোচনা হয়, যেখানে পরিষদ সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা জানান, যাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা।
পরিষদ মনে করে, বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিস গঠন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিষ্ঠার অন্যতম কারণ। এ সরকার ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান দ্বারা গঠিত, যারা বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। ফলে সরকারের এই অবস্থানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ায় পরিষদ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এছাড়া পরিষদ জানায়, সরকার যেসব সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সেগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে তারা সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তবে, এভাবে সাময়িক বরখাস্ত অব্যাহত থাকলে সিভিল সার্ভিসে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে, যা সরকারের জন্য বিব্রতকর হতে পারে।
তদুপরি, পরিষদ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে জারিকৃত সাময়িক বরখাস্তের আদেশগুলো প্রত্যাহার করা হোক এবং এই ধরনের অভিযোগ থেকে কর্মকর্তাদের অব্যাহতি প্রদান করা হোক।