ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আমাজন

দেখা মিলল নতুন সম্প্রদায়ের

আমাজন অরণ্যের অনেক বিচিত্র প্রাণী সম্পর্কে এখনো জানে না সভ্য দুনিয়া। শুধু বিচিত্র প্রাণী নয়, এবার পাওয়া গেল একটি মানব সম্প্রদায়ের পরিচয়—যাদের সম্পর্কে এই প্রথম জানতে পারল সভ্য দুনিয়া। সম্প্রতি স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরার ফাঁদে ধরা পড়েছে মাসাকো নদী এলাকার এই জনগোষ্ঠীর ছবি।

ছবিতে একদল পুরুষকে দেখা যাচ্ছে। তাদের কৃষিখামার সম্পর্কে জানা গেছে। তবে তারা নিজেদের কী নামে ডাকে, তা জানা যায়নি। তাদের ভাষা বা সামাজিক কাঠামো, বিশ্বাস তথা জীবনাচার বিস্তারিত জানা যায়নি।

আমাজনের এমন সব আদিবাসীর সুরক্ষায় কাজ করছে ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল ইন্ডিজেনাস পিপলস ফাউন্ডেশন (ফুনাই)। ফুনাই বিভিন্ন জায়গায় স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা সেট করে রেখেছিল আদিবাসী সম্পর্কে জানার জন্য। সরকারি আইন অনুযায়ী, আমাজনের এসব আদিবাসীর সঙ্গে সভ্য জগতের যোগাযোগ নিষিদ্ধ। কারণ এর আগে সভ্যদের সংস্পর্শে এসে আদিবাসীদের প্রায় ৯০ শতাংশ বিলুপ্ত হয়ে গেছিল বিভিন্ন রোগে। ফুনাই বলছে, গত কয়েক দশকে সভ্য জগতের সংস্পর্শ না পাওয়ায় আদিবাসী সংখ্যা বাড়ছে।

সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশগত অবক্ষয় ও বহিরাগতদের দখলের ফলে যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকের জনসংখ্যা সম্প্রতি বাড়ছে। ২০২৩ সালে বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ব্রাজিলের পেরু এবং ভেনেজুয়েলা সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে এমন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ প্রকাশ করে। স্যাটেলাইট চিত্রে তাদের ফসলি জমি এবং সম্প্রসারিত ঘরবাড়ি দেখা গেছে।

সদ্য আবিষ্কৃত মাসাকো নদী এলাকার জনগোষ্ঠী সম্পর্কে ফুনাই বলছে, মাসাকো এলাকার লোকেরা তিন মিটার লম্বা তীর-ধনুক দিয়ে শিকার করে এবং মৌসুম অনুযায়ী গ্রাম স্থানান্তর করে। বাইরের লোকদের প্রতিরোধ করতে তারা মাটিতে হাজার হাজার কাঠের কাঁটা পুঁতে রাখে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আমাজন

দেখা মিলল নতুন সম্প্রদায়ের

আপডেট সময় ১১:৩৬:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আমাজন অরণ্যের অনেক বিচিত্র প্রাণী সম্পর্কে এখনো জানে না সভ্য দুনিয়া। শুধু বিচিত্র প্রাণী নয়, এবার পাওয়া গেল একটি মানব সম্প্রদায়ের পরিচয়—যাদের সম্পর্কে এই প্রথম জানতে পারল সভ্য দুনিয়া। সম্প্রতি স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরার ফাঁদে ধরা পড়েছে মাসাকো নদী এলাকার এই জনগোষ্ঠীর ছবি।

ছবিতে একদল পুরুষকে দেখা যাচ্ছে। তাদের কৃষিখামার সম্পর্কে জানা গেছে। তবে তারা নিজেদের কী নামে ডাকে, তা জানা যায়নি। তাদের ভাষা বা সামাজিক কাঠামো, বিশ্বাস তথা জীবনাচার বিস্তারিত জানা যায়নি।

আমাজনের এমন সব আদিবাসীর সুরক্ষায় কাজ করছে ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল ইন্ডিজেনাস পিপলস ফাউন্ডেশন (ফুনাই)। ফুনাই বিভিন্ন জায়গায় স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা সেট করে রেখেছিল আদিবাসী সম্পর্কে জানার জন্য। সরকারি আইন অনুযায়ী, আমাজনের এসব আদিবাসীর সঙ্গে সভ্য জগতের যোগাযোগ নিষিদ্ধ। কারণ এর আগে সভ্যদের সংস্পর্শে এসে আদিবাসীদের প্রায় ৯০ শতাংশ বিলুপ্ত হয়ে গেছিল বিভিন্ন রোগে। ফুনাই বলছে, গত কয়েক দশকে সভ্য জগতের সংস্পর্শ না পাওয়ায় আদিবাসী সংখ্যা বাড়ছে।

সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশগত অবক্ষয় ও বহিরাগতদের দখলের ফলে যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকের জনসংখ্যা সম্প্রতি বাড়ছে। ২০২৩ সালে বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ব্রাজিলের পেরু এবং ভেনেজুয়েলা সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে এমন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ প্রকাশ করে। স্যাটেলাইট চিত্রে তাদের ফসলি জমি এবং সম্প্রসারিত ঘরবাড়ি দেখা গেছে।

সদ্য আবিষ্কৃত মাসাকো নদী এলাকার জনগোষ্ঠী সম্পর্কে ফুনাই বলছে, মাসাকো এলাকার লোকেরা তিন মিটার লম্বা তীর-ধনুক দিয়ে শিকার করে এবং মৌসুম অনুযায়ী গ্রাম স্থানান্তর করে। বাইরের লোকদের প্রতিরোধ করতে তারা মাটিতে হাজার হাজার কাঠের কাঁটা পুঁতে রাখে।